• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

অতিরিক্ত এক্সারসাইজ মৃত্যুর কারণ!

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

সুস্থ থাকার উপায় হিসেবে ব্যায়াম বা এক্সারসাইজ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সুস্থ থাকতে গেলে এক্সারসাইজ করতেই হবে। এমনই বলেন বিশেষজ্ঞরা। ফিটনেস থাকবে চূড়ান্ত পর্যায়ে। স্ট্যামিনা বাড়বে। তাই ভোর হলেই পার্কে বা জিমে ভিড় জমান স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা গা ঘামান। কিন্তু কত ঘণ্টা? আসলে এক্সারসাইজ করারও একটা সীমা আছে। সেই সীমারেখা অতিক্রম করে গেলেই কিন্তু বিপদ।

অত্যধিক ব্যায়াম করলে জয়েন্টের সমস্যা হতে পারে। এমনকী হার্টের সমস্যাও। তাই অত্যধিক অনুশীলনে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ে। একাধিক গবেষণাতেও প্রমাণ হয়ে গিয়েছে, বেশি এক্সারসাইজ আদতে ক্ষতি করে। তাহলে দীর্ঘ জীবনের জন্য কতক্ষণ ব্যায়াম করা উচিত? দেখে নেওয়া যাক সেটাই।

 ২০২১ সালে মায়ো ক্লিনিক প্রসিডিংস জার্নালে অত্যধিক এক্সারসাইজের ফলে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়। সেখানে প্রায় ৯ হাজার প্রাপ্তবয়স্কের উপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, অত্যধিক কার্ডিও ব্যায়াম, ওজন উত্তোলনের ফলে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ে। গবেষণায় বলা হয়েছে, সপ্তাহে সাড়ে চার ঘণ্টার বেশি অনুশীলন করা উচিত নয়।

আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজি: বেসিক টু ট্রান্সলেশনাল সায়েন্সের জার্নালে এই বছর ইঁদুরের উপর একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে অত্যধিক ব্যায়াম হার্টের ক্ষতি করতে পারে। গবেষকরা দেখেছেন যে ইঁদুরের তীব্র ব্যায়াম, যা মানুষের জন্য ১০-১২ বছর ধরে দিনে ৬০ মিনিট, সপ্তাহে পাঁচ দিন দৌড়ানোর সমতুল্য। এর ফলে ধমনী শক্ত হয়ে যায়। হৃদপিন্ডের সংকোচন এবং প্রসারণ নিয়ন্ত্রণকারী এনজাইম ভারসাম্য হারায়।

দৌড়নোতেও ঝুঁকি: প্রতি সপ্তাহে যারা ৬০ মিনিট থেকে ২.৪ ঘণ্টা দৌড়ন তাদের মৃত্যুর সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। এতে দৌড়ের কোনও উপকারও পাওয়া যায় না।

বয়স ৪০ পেরোলেই ওয়ার্কআউট কমাতে হবে: যৌবনই কার্ডিও এক্সারসাইজের মতো তীব্র ওয়ার্কআউটের সবচেয়ে ভাল সময়। ৪০-৪৫ বছর বয়সের পর হার্ট অল্পেই আঘাত পায়। অতিরিক্ত ব্যায়ামের ধকল সে আর সইতে পারে না। তাই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র ওয়ার্কআউটের বদলে হাঁটা, সাইকেল চালানো, বাগান করা ইত্যাদি সহজ শারীরিক ক্রিয়াকলাপে জোর দিতে হবে। এতে হয় তো ফিটনেস ক্ষমতা হ্রাস পাবে। তবে মৃত্যুর ঝুঁকি কমবে।

কতক্ষণ ব্যায়াম করা উচিত: সপ্তাহে ৭৫-১৫০ মিনিট দৌড়নো, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো ইত্যাদি ১৫-৩০ মিনিটের তীব্র ওয়ার্কআউটের সমান। তবে সপ্তাহে ৫ দিন, তার বেশি নয়। মাঝারি ওয়ার্কআউট করতে চাইলে সপ্তাহে দেড়শো মিনিট। এতেও একই স্বাস্থ্য সুবিধা পাওয়া যাবে।

সূত্র: নিউজ বাংলা  ১৮

Place your advertisement here
Place your advertisement here