• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

অবৈধ সুদকারবারিদের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট      

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৭ অক্টোবর ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

দেশজুড়ে গ্রামগঞ্জে সমবায় সমিতির নামে ছড়িয়ে পড়া অনুমোদনহীন সুদকারবারি ব্যক্তি (মহাজন) ও প্রতিষ্ঠানের (সমবায় সমিতি ও এনজিও) বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি আবু তাহের মো: সাইফুর রহমান ও বিচারপতি জাকির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চের লিখিত আদেশে এ নির্দেশনা দেয়া হয়। এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর অনিবন্ধিত ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও সমবায় সমিতি বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, তিন পৃষ্ঠার লিখিত আদেশ গতকাল বুধবার হাতে পেয়েছি। দেশজুড়ে যেসব সুদকারবারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সুদ নেয়ার অনুমোদন নেই, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর সারা দেশে অনিবন্ধিত ঋণব্যবসা বন্ধের পাশাপাশি জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ। সারা দেশে চড়া সুদে ঋণদাতা মহাজনদের চিহ্নিত করার নির্দেশনা চেয়ে করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত রুলসহ এ আদেশ দেন।

আদেশে অনুমোদনহীন ক্ষুদ্রঋণের ব্যবসা নিয়ে তদন্ত করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। আদেশের অনুলিপি পাওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে এ কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্তের সময় যদি অননুমোদিত বা লাইসেন্স ছাড়া ক্ষুদ্রঋণ কারবারি সমবায়, বা কোনো অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব পাওয়া যায়, তাহলে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সেসব প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় বন্ধের পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এছাড়া আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে স্থানীয় পর্যায়ে সুদকারবারিদের তালিকা দিতে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই রিট মামলার বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ৩০ নভেম্বর তারিখ রাখা হয়েছে।

এ ছাড়া রুল জারি করেছেন আদালত। রুলে লাইসেন্স এবং অনুমোদন ছাড়া ক্ষুদ্রঋণদানকারী বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও তদারকিতে বিবাদিদের নীরবতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। অর্থসচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান ও সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সুদকারবারিদের তালিকা প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিটের শুনানিতে প্রতারিত মানুষের অবস্থা তুলে ধরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ নিয়ে গত ২০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের একই ভার্চুয়াল বেঞ্চে শুনানি হয়। পরে এ বিষয়ে আদেশের জন্য ২৭ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক করেন আদালত। তারই ধারাবাহিকতায় এ আদেশ দেন আদালত।

রিটে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), ৬৪ জেলার ডিসি এবং এসপিকে বিবাদি করা হয়।

গত ৭ সেপ্টেম্বর সারা দেশে চড়া সুদে ঋণদাতা মহাজনদের চিহ্নিত করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে এই রিট আবেদন করেন আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রিটে বলা হয়, দেশের প্রতিটি এলাকায়, প্রতিটি গ্রামে সমবায় সমিতি ও এনজিওর নামে সুদের ব্যবসা চলছে। আবার অনেকে ব্যক্তিগতভাবে ঋণ দেয়ার নামে উচ্চ হারে সুদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এসব ব্যবসার কোনো নিবন্ধন নেই। সাধারণ মানুষ এসব সুদকারবারিদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। গত ২৮ আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিকে ‘চড়া সুদে ঋণের জালে কৃষকেরা’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে জনস্বার্থে তিনি রিট আবেদনটি করেন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here