• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

১৪ই ডিসেম্বরঃ দিনাজপুরে কোণঠাসা হয় পাকবাহিনী

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯  

Find us in facebook

Find us in facebook

১৪ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে দিনাজপুর সদর, বিরল ও খানসামা হানাদার মুক্ত হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের মতে, ১৪ ডিসেম্বর দিনাজপুর পুরোপুরিভাবে মুক্ত হয়েছিল। ৭নং সেক্টরের চেয়ারম্যান এবং সংবিধান প্রনয়ণ কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট এম আব্দুর রহিম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন।

দিনাজপুরে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অনুসারে, ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের শুরুতেই মুক্তিযোদ্ধাদের হামলার মুখে পাকিস্তানি সেনারা কোণঠাসা হয়ে পড়ে। ৮ ডিসেম্বর চিরিরবন্দরে মুক্তিযোদ্ধারা ৫১ জন রাজাকারকে বন্দি করে। ১০ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা বিরলে পাকিস্তানি সেনাদের ঘাঁটির ওপর হামলা চালান। ১১ ডিসেম্বর বিরলে হানাদার বাহিনী হামলা চালিয়ে বহু নিরীহ মানুষকে হত্যা করে চলে যায়। ১৩ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনারা বিরলের ৪৩ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করে সৈয়দপুরের দিকে রওয়ানা হয়। ১৩ ডিসেম্বরে মিত্রবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে কোণঠাসা হয়ে পাকিস্তানি সেনারা সৈয়দপুরে চলে যায়। ১৪ ডিসেম্বর বিরল উপজেলার মঙ্গলপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মিত্রবাহিনী যোগ দেয়। 

এরপর ওইদিনই হানাদাররা কাঞ্চন নদীর রেলওয়ের লোহার ব্রিজ, ভূষিরবন্দর ব্রিজ, মোহনপুর ব্রিজ, দিনাজপুর টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ভেঙ্গে দেয়াসহ অনেক ক্ষতি করে। ১৪ ডিসেম্বরেই দিনাজপুর মুক্ত হয়।

দিনাজপুর জেলা সেক্টর কমান্ডার ফোরামের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ জানান, চারদিক থেকে মুক্তিযোদ্ধা আর মিত্রবাহিনী ১৪ই ডিসেম্বর দিনাজপুর শহরের বাহাদার বাজারে এসে বিজয় উল্লাস করতে থাকেন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৮ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন হয়েছিল ও প্রশাসন চালু হয়েছিল। 

দিনাজপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মকসেদ আলী মঙ্গলীয়া বলেন, দিনাজপুর একটি সীমান্তবর্তী জেলা। মুক্তিযোদ্ধারা সেই সময়ে বিভিন্ন দিক দিয়ে দিনাজপুরে প্রবেশ করেন। কেউ আগে প্রবেশ করতে পেরেছেন আবার কেউ প্রবেশ করতে পারেননি। প্রথম মুক্তি বাহিনীরা ১৪ই ডিসেম্বর প্রবেশ করে তাই ১৪ই ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়।

হানাদার মুক্ত দিবসটি উপলক্ষ্যে যথাযোগ্য মর্যাদায় সেই দিবসগুলো পালনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ফোরাম। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানাতে ১৪ই ডিসেম্বর দিনটি গুরুত্বপূর্ণ।

Place your advertisement here
Place your advertisement here