• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

শীতে কাপঁছে কুড়িগ্রামের মানুষ

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারি ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

শীতে কাপঁছে কুড়িগ্রামের জনপদ। ঘন কুয়াশা আর হিমেল ঠান্ডা হাওয়ায় বিপর্যস্থ অবস্থা জেলার কর্মজীবী মানুষের।   মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। 
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিমেল ঠান্ডা হাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী ও ছিন্নমুল মানুষ। ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় বিশেষ কাজ ছাড়া সকালে বাইরে বের হচ্ছে না অনেকেই।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ পরিচালক ড. মোস্তাফিজার রহমান প্রধান জানান, চলতি বছর  জেলায় ৫ হাজার ১৩০ হেক্টর জমিতে বীজতলা লাগানোর টার্গেট নির্ধারণ করা হলেও অর্জিত হয় ৫ হাজার ৯৯৪ হেক্টর জমিতে। এছাড়াও আলুর টার্গেট ছিল ৫ হাজার ৬৮৮ হেক্টর জমিতে এখন পর্যন্ত অর্জন হয়েছে ৬ হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে। টানা শীতের কারণে কিছু কিছু এলাকায় বোরো ও আলু ক্ষেতের কিছুটা ক্ষতি হলেও দিনে রোদের কারণে ক্ষতিটা পুষিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে। এছাড়াও সার্বক্ষণিকভাবে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম জেনালের হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: পুলক কুমার সরকার জানান, প্রচন্ড শীতের প্রকোপে শীতজনিত রোগে প্রতিদিন হাসপাতালগুলোতে ভীর লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এরমধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি। ডায়রিয়া ও নিউমেনিয়ায় প্রতিদিন গড়ে ৩৫ থেকে ৪০জন শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আরো কয়েকদিন আবহাওয়া এমন থাকবে। মঙ্গলবার কুড়িগ্রামে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকড করা হয় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। 
জেলা ত্রাণ ও পূণর্বাসন কর্মকর্তা দীলিপ কুমার সাহা জানান, শীতকে মোকাবেলা করার জন্য ইতিমধ্যে ৬৩ হাজার ১৪ পিচ কম্বল উপজেলা পর্যায়ে বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি শিশুদের জন্য ৩ লক্ষ টাকার শীতের পোষাক কেনা হয়েছে। এছাড়াও শিশু খাদ্যের জন্য ১ লক্ষ টাকা ও কম্বল কেনার জন্য ১০ লক্ষ টাকা পাওয়া গেছে। মজুদ আছে ২ হাজার শুকনো খাবার। 

Place your advertisement here
Place your advertisement here