রংপুরে প্রতিবন্ধীর বাড়ী গুড়িয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা: আটক ৩

রংপুরের পীরগাছায় জমি জমা সংক্রান্ত ঘটনায় এক প্রতিবন্ধীর বসতবাড়ী ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে সৎ মায়ের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা। এমনকি ওই প্রতিবন্ধী ও তার পরিবারের লোকজনদের বেদম মারপিট করে ঘরে থাকা আসবাবপত্র ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার পূর্ব নগরজিৎপুর গ্রামে।  এ ঘটনায় পীরগাছা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠায়।

মামলা সুত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের শামসুল হক তার দুই স্ত্রী ও সন্তানদের রেখে মারা যাবার পর ছোট স্ত্রী মেনেকা বেগমের সন্তান নিয়ামুল ইসলাম পিতার সব সম্পদ নিজের বলে দাবি করে এবং ভূয়া কাগজপত্র দেখায়। এ নিয়ে বেশ কয়েক বার শালিস বৈঠক হওয়ার পর বাড়ি সংলগ্ন জমিতে মৃত শামসুল হকের প্রথম স্ত্রীর প্রতিবন্ধী সন্তান শাফিকুল ইসলাম বসবাসের জন্য ২টি ঘর তোলেন। ঘটনার দিন গতকাল শুক্রবার রাতে সৎ মা মেনেকা বেগমের সন্তান নিয়ামুল ইসলাম পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এসে বাড়ির পাশের্^ ফাকা মাঠে প্যান্ডেল তৈরি করে পিকনিকের আয়োজন করে। পরে রাত গভীর হলে ওই সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রতিবন্ধী শফিকুল ইসলামের বসতবাড়ীতে হামলা চালায়। 

এসময় শব্দ পেয়ে শফিকুল ইসলাম, তার মা ছামিনা বেওয়া, ভাই এনামুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রানী বেগম বেড়িয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তাদের বেদম মারপিট করে ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে এবং দুইটি টিনের ঘর ব্যাপক ভাংচুর করে সকল আসবাবপত্র ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ২ লাখ ২০ হাজার টাকা। পরে গ্রামবাসী আহতদের উদ্ধার করে পীরগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায় ও থানা পুলিশকে খবর দেয়। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চন্ডিপুর গ্রামের মোখলেছারের ছেলে সন্ত্রাসী ফেরদৌস মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এঘটনায় পীরগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের হলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সৎ মা মেনেকা বেগম (৫০) ও তার ছেলে নিয়ামুল ইসলাম (৩০) কে গ্রেফতার করে।

এ বিষয়ে পীরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম বলেন, ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করে রংপুর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।