• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

রংপুর-১ আসনে বাবলুর চেয়ে অনেক এগিয়ে রাঙ্গা

দৈনিক রংপুর

প্রকাশিত: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮  

Find us in facebook

Find us in facebook

একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রচারণায় তুঙ্গে রংপুর-১ গঙ্গাচড়ায় আসন। এ আসনে ভোটের লড়াইয়ে এগিয়ে আছেন মহাজোট প্রার্থী মসিউর রহমান রাঙ্গা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবলু।

২০১৪ সালের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা। এবারো তিনি লাঙল প্রতীকে মহাজোটের প্রার্থী। তবে মহাজোট থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোটরগাড়ি প্রতীকে লড়ছেন আসাদুজ্জামান বাবলু। এর আগে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত সাত ইউপির ৩৩ চরাঞ্চলের মানুষ নির্বাচনের ফলাফলে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। নির্বাচনী এলাকায় জোরেশোরে চলছে প্রচার-প্রচারণা। প্রার্থীদের পাশাপাশি মাঠে নেমেছেন দলীয় সমর্থক ও নেতাকর্মীরা।

আসাদুজ্জামান বাবলু বলেন, রংপুর-১ আসনে স্থানীয় কোনো প্রার্থী নেই। এলাকার সন্তান হিসেবে দেখেছি, গঙ্গাচড়া অর্থনৈতিকভাবে খুব পিছিয়ে। ইউপি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে উন্নয়ন কাজ করেছি। সেই উন্নয়নের ধারা আমি গঙ্গাচড়ার তৃণমূলেও পৌছে দিতে চাই।

মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন- তিস্তা সেতু, তিস্তা নদীর ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণ, নদী শাসনসহ এলাকার রাস্তঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ ছাড়াও অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেছি। গঙ্গাচড়ার হতদরিদ্র মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে অর্থনৈতিক জোন, ইপিজেড নির্মাণ, কর্মসংস্থান বৃদ্ধিসহ নানা পরিকল্পনা রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে গঙ্গাচড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক রুহুল আমিন, যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী, সাইয়েদুল ইসলাম মাস্টার, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি হাজী সামছুল আলম, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক জাহিদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের উপজেলা কমিটির সদস্য আব্দুল আউয়াল পাভেল, ইউপি সদস্য আব্দুল খালেকসহ মহাজোটের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

রংপুর-১ আসনে জাতীয় পার্টির দখলে দীর্ঘদিন ধরেই। ১৯৯১ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী শিল্পপতি করিম উদ্দিন ভরসা জয়লাভ করেন। ১৯৯৬ সালের জাতীয় পার্টির প্রার্থী হয়ে সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু, ২০০১ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মসিউর রহমান রাঙ্গা, ২০০৮ সালে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের ভাতিজা হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনে আবার এমপি নির্বাচিত হন মসিউর রহমান রাঙ্গা।

সব মিলিয়ে এখানে ভোটারসংখ্যা ২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৮৫। এর মধ্যে নতুন যুক্ত হওয়া রংপুর সিটি কর্পোরেশনের আটটি ওয়ার্ডের ভোটার আছেন ৮৫ হাজার।

Place your advertisement here
Place your advertisement here