• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

ভোটের অধিকার নিশ্চিত করাই ছিল আমার মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী

দৈনিক রংপুর

প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০১৮  

Find us in facebook

Find us in facebook

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ নির্বাচন নির্বাচন কমিশন মুক্ত ও স্বাধীন একটি প্রতিষ্ঠান এবং তিনি আশাবাদী তারা একটি স্বচ্ছ সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠান করবেন।গত কয়েকদিন আগে ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগের সঙ্গে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি দেশের রাজনীতি-অর্থনীতি সমাজ শিক্ষা সংস্কৃতি সহ জাতীয় আন্তর্জাতিক নানা বিষয় তুলে ধরেন।

বঙ্গবন্ধু হত্যা ও সেনা শাসনের কঠোর সমালোচনা করে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ভোটের অধিকার নিশ্চিত করাই ছিল আমার মূল লক্ষ্য। সেজন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন সংগ্রাম যেটাই করেছি, আমার স্লোগানই ছিল ‘ আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি তাকে দেব’। এই স্লোগানটা দিয়ে মানুষের ভেতরে তার ভোটের অধিকার সম্পর্কে তাকে সচেতন করা। আমি সেটা সফলভাবে করতে পেরেছি।’

বঙ্গবন্ধু হত্যা পরবর্তী সময়ের কথা বর্ণনা করে শেখ হাসিনা বলেন, মিলিটারি ডিক্টেটররা ক্ষমতা দখল করেছিল তারা কিন্তু জনগণের ভোটকে সুসংহত করা বা সুরক্ষিত করা বা ভোটের মাধ্যমে জনগণ যে তাদের পছন্দমতো সরকার গঠন করবে সে সুযোগটা তারা দেয়নি।

তিনি বলেন, কোনো মিলিটারি ডিক্টেটররা যখন ক্ষমতায় আসে তখন রাজনীতিবিদদের বকাঝকা দিয়েই আসে। এরপর নিজেই রাজনীতিবিদ হয়ে যায়। উর্দি খুলে কাপড় চেঞ্জ করে রাজনীতিবিদ হয়। দল গঠন করে। আর সেই দল দিয়ে তারা চেষ্টা করে ভোট রিগিং করে টু থার্ড মেজরিটি... পার্লামেন্টে। উদ্দেশ্য একটাই- সেটা হলো তাদের যে অবৈধ ক্ষমতা দখল এবং মার্শাল ল’ অর্ডিনেন্স দিয়ে যে আইন-টাইন করে, যে নির্দেশ দেয় সেগুলোকে লেজিটিমাইজ করা। সেটা করতে গেলে টু থার্ড মেজরিটি লাগবে। সংবিধান আবার যদি রিভাইভ করতে ... টু থার্ড মেজরিটি লাগবে। সংবিধান সংশোধন তারা করে... এই প্রক্রিয়াটা করার মধ্য দিয়ে তারা বাংলাদেশের জনগণের ভোটের অধিকারটা হরণ করা হয়। যেহেতু অবৈধ ক্ষমতা দখল সেটিকে বৈধতা দেয়ার জন্য নির্বাচনের নামে প্রহসন, আর ওই প্রহসনের মাধ্যমে টু থার্ড মেজরিটি নিয়ে, ভোটের খেলা খেলে একটা অবৈধ ক্ষমতা বৈধ করা।

‘ওই জায়গা থেকে বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনা ও বাংলাদেশে ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা এটাই ছিল আমার মূল লক্ষ্য। সেজন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন সংগ্রাম যেটাই করেছি, আমার স্লোগানই ছিল ‘ আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি তাকে দেব’। এই স্লোগানটা দিয়ে মানুষের ভেতরে তার ভোটের অধিকার সম্পর্কে তাকে সচেতন করা। আমি সেটা সফলভাবে করতে পেরেছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ৭৩ সালে জনগণ ভোট দিল। যে কোনো দেশে বিপ্লবের পর এত দ্রুত গণতন্ত্র দেয়ার ইতিহাস কোথাও নেই। একমাত্র সেটা করেছে, জাতির পিতা শেখ মুজিব সে দৃষ্টান্তটা স্থাপন করেছিলেন। আর এই ধারাবাহিকতাটা যদি চলতে পারতো তাহলে বাংলাদেশ স্বাধীনতার ১০ বছরের মধ্যেই উন্নত দেশ হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতো। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য সেটা সেভাবে হয়নি। ৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। তিনি রাষ্ট্রপতি ছিলেন, ক্ষমতার জন্য তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। শুধু তাই না, গোটা পরিবারকে হত্যা করা হলো। এরপর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হলো। এই হত্যার উদ্দেশ্যটাই হলো স্বাধীনতার চেতনাটাকে ধ্বংস করা। আর এই যে, এতদিনের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জনগণের যে মৌলিক অধিকারগুলোই যে অর্জন হয়েছিল, ভোটের অধিকার অর্জন হয়েছিল, দেশের মানুষ তার বেঁচে থাকার সুন্দর সুযোগ পাচ্ছিল সেই জিনিসটাকে ধ্বংস করে দেয়া হলো।

Place your advertisement here
Place your advertisement here