• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

ভিন্ন চিন্তায় সমাধান দেখছেন তামিম

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ প্লেয়ার্স ড্রাফটের দিন করাচিতে কোয়ারেন্টিনে ছিলেন তামিম ইকবাল। হোটেলরুমে বসেই জেনেছেন ফরচুন বরিশাল প্রথম ডাকেই নিয়েছে তাঁকে এবং এরপর পুরো স্কোয়াড। সেটি জানার পরই ঢাকায় দলের কোচিং স্টাফদের কাউকে কাউকে ফোন করে উষ্মাই প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। সেটি গতকাল মিরপুরে দলীয় অনুশীলনে এসেও গোপন করেননি তামিম। তবে এ দল নিয়েও শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখেন তিনি, যে স্বপ্ন ডানা মেলবে ‘আউট অব দ্য বক্স’ ক্রিকেটে ভর করে।

‘কোনো সন্দেহ নেই আমরা ড্রাফটে (খেলোয়াড় বাছাইয়ে) কিছু ভুল করেছি। আমাদের কিছু ভুল হয়েছে বলেই দলের সম্ভাবনা নিয়ে কথা উঠছে’, অধিনায়কের এমন বিশ্লেষণ শোনার পর ফরচুন বরিশালের ড্রেসিংরুম চুপসে পড়ার কথা। কিন্তু তামিম পরক্ষণেই অনুপ্রেরণার অক্সিজেন ছড়িয়েছেন দলের তাঁবুতে, ‘কিন্তু মনে রাখবেন ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা। আমার দলে এমন কিছু খেলোয়াড় আছে, যাদের অনেককে হয়তো আমরা হিসাবের মধ্যে ধরছি না। দেখা গেল তারাই টুর্নামেন্ট মাতিয়ে দিল। যেকোনো কিছু হতে পারে।’ আড়াল থেকে ক্রিকেট মাঠে নৈপুণ্যের দ্যুতি ছড়ানোর অসংখ্য উদাহরণ আছে। তামিমের হাতে আছে গত মাসেই অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্টস কাপ, ‘প্রেসিডেন্টস কাপের কথা নিশ্চয় মনে আছে। আমরা আশাই করিনি এমন দু-তিনজন খেলোয়াড় খুব ভালো খেলেছে। তাদের নিয়েই কিন্তু বেশি আলোচনা হয়েছে। আশা করি, এই আসরেও যারা আলোচনায় নেই, তারা ওরকম পারফরম্যান্স করবে।’

এক যুগেরও বেশি সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে তামিম ইকবাল চিনেছেন বড় আসরে সীমিত সামর্থ্যের বাংলাদেশকে ভালো কিছু করার পথও, যে পথে হাঁটতে হবে তাঁর বরিশালকেও, ‘আমাদের এই স্কোয়াড নিয়ে সফল হতে হলে আউট অব দ্য বক্স ক্রিকেট খেলতে হবে। ছক বাঁধা পরিকল্পনা নিয়ে খেললে জেতাটা কঠিন হবে। আমাদের দলে সামর্থ্য আছে। এখন যদি ভিন্ন কোনো ছকে খেলে প্রতিপক্ষকে চমকে দিতে পারি, তাহলে অবশ্যই ভালো কিছু করা সম্ভব।’

জাতির বয়েই গেছে ভিন্ন ফরম্যাটের একটি বাজেট টুর্নামেন্টে ওয়ানডে অধিনায়ককে বিশেষ ছাড় দেওয়ার! তাই ওয়ানডে অধিনায়ককেও ব্যাখ্যা দিতে হলো এই টি-টোয়েন্টি আসরে তিনি আন্তর্জাতিক অধিনায়কত্ব নিয়ে কী ভাবছেন? বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ তো তামিমের নিজেকে প্রমাণের একটা ময়দানও। নেতৃত্বের ভার নিতে পারবেন তো? বহুল চর্চিত এ তত্ত্বে বিশ্বাস নেই তামিমের, একটু যেন বিরক্তও, ‘অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর তো এখনো পর্যন্ত কোনো ওয়ানডে ম্যাচই খেলিনি! প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ আগে খেলতে দিন। অধিনায়কত্বের প্রেশার আসলে আপনাদের (সাংবাদিকদের) বানানো। এখনো কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলিনি। অধিনায়কত্ব পাওয়ার দিনই বলেছি, যে কাউকে বিচার করবেন অন্তত ছয় মাস পর। সেই অধিনায়ক যত সফল কিংবা ব্যর্থ হোক না কেন। আমার খেলায় অধিনায়কত্বের চাপ কতটা পড়ছে সেটা গোটা বিশেক ম্যাচের পর বিচার করবেন। এক-দুই সিরিজ পরই যদি আমরা সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাই, তাহলে সেটা অধিনায়ক, দল কিংবা দেশ—কারোর জন্যই ভালো না। আমার নিজের কথা বলছি না। আমার পরে যে হবে কিংবা অন্য ফরম্যাটের ক্যাপ্টেনের জন্যও একই কথা বলব।’

অধিনায়কত্বের মতো সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তামিমের স্ট্রাইকরেট নিয়েও বিস্তর গবেষণা হয়। তবে এবার পিএসএলে লাহোর কালান্দার্সের জার্সিতে রুদ্রমূর্তি দেখা গেছে তামিমের। তিন ম্যাচে একটিও ফিফটি নেই। তবে স্ট্রাইকরেট ১৪০। এ নিয়ে সম্ভবত তামিম নিজেও কিছুটা স্বস্তিতে, ‘যেভাবে শুরু করেছিলাম, তাতে ৫০-৬০ রানের ইনিংস খেলা উচিত ছিল। তবে যতক্ষণ ব্যাটিং করেছি, খুব কমফোর্টেবল ছিলাম।’ দেশে ফিরেই আবার রান তোলার গতি কমে যাবে না তো? ‘আরো বাড়তেও তো পারে’, যেন ভিন্ন চিন্তার মোড়ে নিজেকেও দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন তামিম ইকবাল।

Place your advertisement here
Place your advertisement here