• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

ভারতে একদিনে আরও ৪০৯২ জনের মৃত্যু

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৯ মে ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত ভারতের অবস্থা যেন বর্ণনারও অতীত। টানা দ্বিতীয় দিনের মতো দেশটিতে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে চার হাজারের ঘর। তবে শনিবারের তুলনায় রোববার কিছুটা কমেছে মৃত্যুর সংখ্যা। অন্যদিকে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাও রয়েছে চার লাখের ওপরে।

রোববার (৯ মে) ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪ লাখ ৩ হাজার ৭৩৮ জন। যা শনিবারের তুলনায় প্রায় ২ হাজার বেশি। সর্বশেষ এই পরিসংখ্যান নিয়ে মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ২২ লাখ ৯৬ হাজার ৪১৪ জনে।

মহামারির শুরু থেকে হিসেব করলে শনিবার ভারতে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। তবে রোববার সেই সংখ্যা কিছুটা কমে এলেও টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ছাড়িয়েছে চার হাজারের গণ্ডি। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪ হাজার ৯২ জন। এতে দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪২ হাজার ৩৬২ জনে।

ভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভারতে বাড়ছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত মানুষের সর্বশেষ পরিসংখ্যান নিয়ে দেশটিতে এখন মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৭ লাখ ৩৭ হাজারে।

এদিকে দৈনিক আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যায় রেকর্ডের পর পুরো ভারতজুড়ে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে আবির্ভূত হয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ইনফেকশন বা কালো ছত্রাক সংক্রমণ।

ছত্রাকজনিত এ রোগকে চিকিৎসাবিদ্যার ভাষায় বলা হচ্ছে ‘মিউকোরমাইকোসিস’। করোনায় আক্রান্তদের দেহেই এ রোগ দেখা দিচ্ছে। অনেকে করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েও এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। অনেকে মারাও যাচ্ছেন। তা ছাড়া দেহের বিভিন্ন ক্ষতি করছে এ ছত্রাক।

মূলত গুজরাট, দিল্লি ও মহারাষ্ট্রে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন লাফিয়ে বাড়ছে। আহমেদাবাদের বিজে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এ রোগে সংক্রমিত ৬৭ জনের সন্ধান পাওয়া গেছে। এক মাসেরও কম সময়ে এ সংক্রমণ ঘটছে। এ রোগের চিকিৎসায় আক্রান্তদের অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে।

চিকিৎসকরা বলছেন, করোনাভাইরাসের কারণে রোগীর দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যখন কমে যায়, ঠিক তখনই কালো ছত্রাক সংক্রমণ ঘটায়। এই রোগে মুহূর্তেই পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যেতে পারে। সংক্রমণ তীব্র হলে রোগী মারাও যেতে পারেন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here