• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মাহমুদউল্লাহ একাদশ

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

নাজমুল একাদশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মাহমুদউল্লাহ একাদশ। বল হাতে সুমন খানের তোপের পর ব্যাট হাতে লিটন-ইমরুলদের কাছে পাত্তায় পায়নি নাজমুল একাদশ।
গতকাল রবিবার ( ২৫ অক্টোবর) মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নাজমুল একাদশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭৩ রান। ১৭৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি মাহমুদউল্লাহদের। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ওপেনার মুমিনুল হককে আউট করেন আল আমিন হোসেন। চার রানে ফেরেন মুমিনুল, ১৮ রানে ভাঙে মাহমুদউল্লাহদের ওপেনিং জুটি।

দ্বিতীয় উইকেটে মাহমুদুল হাসান জয়ের সঙ্গে জুটি বাঁধেন লিটন দাস। তবে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি মাহমুদুল। ১৮ রানে তাঁকে এলবির ফাঁদে ফেলেন নাসুম আহমেদ। দুই উইকেট হারালেও নির্ভার ছিলেন লিটন। আগের ম্যাচগুলোর ব্যর্থতা ফাইনালে মুড়িয়ে দিলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ৪৭ বলে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করেন তিনি। ৬৮ রানে থামে লিটনের ইনিংস। ৬৯ বলে তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল ১০ বাউন্ডারি দিয়ে।

লিটন ফেরার পর জ্বলে উঠেছেন ইমরুল কায়েসও। পুরো টুর্নামেন্টে ব্যর্থ থাকা ইমরুল খেললেন ৫৩ রানের ইনিংস। সঙ্গে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ করেছেন ২৩ রান। তিন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের দিনে ২৯.৪ ওভারে জয় তুলে নিয়েছে মাহমুদউল্লাহ একাদশ।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪৭.১ ওভারে ১৭৩ রান সংগ্রহ করেছে নাজমুল একাদশ। ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ধাক্কা খান নাজমুলরা। প্রথম ওভারে রুবেল হোসেনের বলে বোল্ড হন ওপেনার সাইফ হাসান। চার রানে ভাঙে নাজমুলদের ওপেনিং জুটি।

পরের ওভারে রিটায়ার্ড হয়ে সাজঘরে যান সৌম্য সরকার। এরপর অধিনায়ক নাজমুল হোসেনের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু এবার আর দলের ঢাল হতে পারেননি অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। ১৩তম ওভারে মুশফিককে এলবির ফাঁদে ফেলেন সুমন খান। ৩৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় নাজমুল একাদশ। ৩৭ বলে ১২ রানে ফেরেন মুশফিক।

বিশ্রাম থেকে ফিরে ব্যর্থ হন সৌম্যও। সুমনের বলেই উইকেট কিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। তাঁর ব্যাট থেকে আসে পাঁচ রান। রানের খাতা খোলার আগে বিদায় নেন আফিফ হোসেন। সুমন পান নিজের তৃতীয় উইকেট।

আশা জাগিয়ে ইনিংস বড় করতে পারেননি অধিনায়ক নাজমুল। ইনিংসের ২২.৩ ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে মাহমুদুল হাসানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন শান্ত। ফেরার আগে ৫৭ বলে চারটি বাউন্ডারিতে ৩২ রান করেন তরুণ এই ব্যাটসম্যান।

এরপর ইরফান শুক্কুরের সঙ্গে জুটি বাঁধেন তৌহিদ হৃদয়। ৮৮ বলে ৭০ রানের জুটি গড়েন দুজন। আশা জাগানিয়া এই জুটি ভাঙেন মাহমুদউল্লাহ। লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তৌহিদ। ফেরার আগে ৫৩ বলে ২৬ রান করেন তিনি।

এরপর নাজমুল একাদশকে একাই টানেন শুক্কুর। তরুণ ব্যাটসম্যান নাঈম হাসানকে নিয়ে ধীরে সুস্থে দলকে টানেন তিনি। ৪৬ বলে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকলেন না নাঈমও। নাঈমকে নিজের চতুর্থ শিকার বানান সুমন। এরপর নাসুম আহমেদকে ফিরিয়ে নিজের পঞ্চম উইকেট তুলে নেন সুমন। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে মাটি কামড়ে উইকেটে ছিলেন শুক্কুর। ৭৫ রান করেন শুক্কুর। ৭৭ বলে তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল আট বাউন্ডারি ও দুই ছক্কায়।

বল হাতে মাহমুদউল্লাহ একাশের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন সুমন খান। ১০ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ২৭ রান খরচায় দুটি উইকেট নেন রুবেল। সমান একটি করে নেন এবাদত হোসেন, মাহমুদউল্লাহ ও মেহেদী হাসান মিরাজ।

Place your advertisement here
Place your advertisement here