• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

বদরগঞ্জে ৯ বছরের ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

রংপুরের বদরগঞ্জে ৯ বছরের এক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে করা মামলায় এক মাদরাসা শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার মধুপুর ইউপির ময়নাকুড়ি হলকার ঘর হাফেজিয়া মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার ইসমাইল হোসেন রংপুর সদরের মমিনপুর ইউপির হল্লাইপাড়া গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে। এর আগেও তার বিরুদ্ধে শিশুদের নিপীড়ন করার অভিযোগ উঠে।

শিশুর পরিবার ও থানা সুত্র জানায়, গত সোমবার মাদরাসার শিশুদের দিয়ে সড়কের মোড় ও বিভিন্ন স্থান থেকে মাদরাসার নামে চাঁদা কালেকশন করানো হয়। সেই ছাত্রদের মধ্যেও ছিল ভুক্তভোগী ছাত্র। দিন শেষে ক্নান্ত শরীরে মাদরাসায় ফেরে ছাত্রটি। রাতের খাবার খেয়ে শিশুটি সহপাঠীদের সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়ে। ঘুমন্ত অবস্থায় শিশুটিকে অফিস কক্ষে ডাকেন শিক্ষক ইসমাইল হোসেন।

শিশুটি হুজুরকে অনুরোধ করে বলেন, হুজুর সারাদিন চাঁদার টাকা কালেকশন করে আমি ক্লান্ত। অন্য কাউকে ডেকে নিয়ে যান।

তবুও ছাত্রকে অফিস কক্ষে নিয়ে শারীরিকভাবে বলাৎকার করেন ইসমাইল হোসেন। পরে শিশুটিকে তার কক্ষে পাঠিয়ে দেন শিক্ষক। মঙ্গলবার সকালে মাদরাসা থেকে বাড়িতে গিয়ে তার মাকে ঘটনাটি জানায় শিশুটি।

পরে শিশুটির অভিভাবকসহ স্থানীয় লোকজন মাদরাসা কমিটির কাছে বলাৎকারের বিচার দাবি করলে বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে জড়ো হন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্ত শিক্ষককে ধরে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এ ঘটনায় ওই রাতেই শিশুটির বাবা বাদী হয়ে ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

শিশুটি বলেন, 'রাতের খাবার খেয়ে আমি ঘুমিয়ে পড়ি। এ সময় হুজুর এসে তার ঘরে যাওয়ার জন্য আমাকে ডাকেন। আমি বলি হুজুর সারাদিন টাকা কালেকশন করে আমি ক্লান্ত। আপনি ….কে ডাকেন। এরপরও জোরপূর্বক অফিস ঘরে নিয়ে জড়িয়ে ধরে চুমা দেয়ার পর খারাপ কাজে লিপ্ত হয়। আমি বাইরে যেতে চাইলেও যেতে দেয় না। রাত ১টায় আমাকে ঘর থেকে বের করে দেয় হুজুর। সকাল হলেই বাড়িতে গিয়ে আম্মুকে ঘটনাটা বলি।

নিজেকে নির্দোষ দাবি করে অভিযুক্ত ইসমাইল হোসেন বলেন, এলাকার একটি পক্ষ মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাকে ফাঁসিয়ে দিতে চাইছে।

মাদরাসা কমিটির সভাপতি আহসান হাবিব বলেন, শিশুটির অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয়দের আলোচনা চলছিল। এ সময় পুলিশ হুজুরকে ধরে থানায় নিয়ে যায়।

বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, খবর পেয়ে মাদরাসা থেকে হুজুরকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। গ্রেফতার শিক্ষককে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here