• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

প্রিয় মানুষটিকে খুশি রাখার দশটি কৌশল!

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৫ জানুয়ারি ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

দুটি মনের মিলনেই ভালোবাসার সূচনা হয়। ভালোবাসার কারণেই একজন অন্যজনের ভালো থাকা, খুশি থাকা নিয়ে চিন্তা করেন। তবে খেয়াল করেছেন কি, ইদানিং বিবাহ বিচ্ছেদের হার দ্বিগুণ বেড়েছে!

এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, দাম্পত্য জীবন ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দুটোই ভালভাবে ব্যালেন্স করে চলার জন্য যে আদর্শ ও নৈতিকতার চর্চা থাকা প্রয়োজন, তার অভাবেই মূলত ডিভোর্সের হার বেড়ে চলেছে।

অনেক দম্পতি এমন রয়েছে যারা ইচ্ছার বাইরেই অনেক কিছু মেনে জীবন কাটিয়ে দিচ্ছেন। আবার অনেকে এমন আছেন যারা আদর্শ ও নৈতিকতা মেনে জীবন যাপন করছেন। আবার দেখা যায়, দুজনই অর্থনৈতিক কাজে নিয়জিত কিন্তু তাদের মধ্যে রয়েছে পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা মিশ্রিত ভালোবাসা, পরিস্থিতি বুঝে কাজ করার যোগ্যতা ও কখনো কখনো ক্যারিয়ারের চেয়ে পরিবারকে প্রাধান্য দেয়ার বুদ্ধিদীপ্ত মানসিকতা।

অনেকেই আবার তা পারেন না। তাই জেনে নিন এমন দশটি কৌশল যা মেনে চললে দাম্পত্য সুখ ধরে রাখা ও ডিভোর্সের ঝুঁকি কমানো অনেক সহজ হয়ে যাবে।

> প্রিয়জনকে মনে যা আসে তাই মুখ ফসকে বলে ফেলবেন না। পরিস্থিতি বুঝে কথা বলার চেষ্টা করুন। কিছু বলার আগে ফলাফল কী হতে পারে তা বুঝে নিন।

> নিশ্চয় জানেন, নীরবতাও যে একটি ভাষা। অনেক সময় কথা বলে যা করা সম্ভব হয় না, তা নিরব থেকে করা যায়।

> একটা কথা মনে রাখবেন, যিনি উদার তিনিই সত্যিকারের সুখী। পরস্পরের মধ্যে প্রতিযোগীতাপূর্ণ মানসিকতা কখনোই সুখ এনে দেয় না। এই মানসিকতা নিজের স্বার্থ ভেবে কাজ করতে প্ররোচিত করে। তাই এটি পরিহার হরে উদার হন।

> একটু উল্টো ভাবে চিন্তা করুন। “আমি কী পেলাম বা কী পাচ্ছি তার কাছ থেকে”, এই ভাবনাটি ভুলে যান। “আমি তাকে কী দিলাম বা দিতে পারছি” এই চিন্তাটি করুণ।

> মান-অভিমান বা মনমালিন্যের সময় অবশ্যই চুপ থাকুন। এমন সময় বেফাঁস কথা বলে ফেলার সম্ভাবনা বেশি থাকে, তাই খুব কম কথা বলুন বা চুপ থাকুন। মাথা ঠাণ্ডা রেখে নিজেদের সুখের সময়ের কথাগুলো ভাবুন, তার অবদানের কথাগুলো স্মরণ করুন।  

> যদি মনে করেন আপনার দ্বারা ভুল হয়ে গেছে, তবে ভুল স্বীকার করে নিন। তার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিন। সম্পর্ক সুন্দর হবে।

> সঙ্গী যদি ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চায়, তবে তাকে মাফ করে দেয়াই উত্তম। এসময় ক্ষমানা করে তাকে অপমান করাটা বোকামি। এতে ভবিষ্যতে সে আর কখনোই ভুল স্বীকার করে মাফ চাইবেন না। যার ফলে দিন দিন সম্পর্ক নষ্টই হবে। তাই মাফ করতে শিখুন।

> মানুষ মাত্রই ভুল। তাই সঙ্গীর পুরনো কোনো ভুলের জন্য কখনোই কথা শোনানো বা খোঁচা দেয়া ঠিক না। কারণ যে ভুলের জন্য তাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন, আবার সে ভুলের কথা বলে তাকে অপমান করাটা নিম্ন মনমানসিকতার পরিচয় দেয়।

> সঙ্গীকে অবশ্যই বেশি বেশি ভালোবাসার কথা বলুন। প্রত্যেক নারীই স্বামীর মুখ থেকে ভালোবাসা মিশ্রিত কথা শুনতে পছন্দ করেন। তাছাড়া ভালোবাসা প্রকাশ করার বিষয়; লুকিয়ে রাখার বিষয় নয়।

> সঙ্গীকে মাঝে মধ্যেই সারপ্রাইজ গিফট দেয়ার অভ্যাস করুন। গিফট ছোট হোক, তাতে কিছু যায় আসে না। কিন্তু তার কথা ভেবে আপনি গিফট কিনে এনেছেন, এই ভাবনাই তার কাজে অনেক ভালো লাগার বিষয়।

Place your advertisement here
Place your advertisement here