• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

পীরগঞ্জে ভর্তি কেলেংকারী, দুই শিক্ষককে বদলী

দৈনিক রংপুর

প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০১৯  

Find us in facebook

Find us in facebook

রংপুরের পীরগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি কেলেংকারীর ঘটনায় তদন্ত কমিটির সুপারিশের আলোকে দুই শিক্ষককে বদলী করা হয়েছে।

অপরদিকে ভর্তি কেলেংকারী সিন্ডিকেটের তিন সদস্য ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় লিখিত অভিযোগ করেছেন এক শিক্ষক। সেইসাথে ওই শিক্ষক তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে প্রকৃত দোষীকে চিহ্নিত করতে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৯ শিক্ষা বছরে পীরগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে ৭৫ আসনে (ছাত্র-ছাত্রী) ভর্তির জন্য গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয়। ওইদিন পরীক্ষা কক্ষে দায়িত্ব পালনকারী একাধিক শিক্ষক এবং খাতা মুল্যায়নের সময় শিক্ষকরা স্বজনপ্রীতি করে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থান করে দেয়। ওই ঘটনায় ভর্তি বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা ১ জানুয়ারী উপজেলা সদরে ‘সচেতন অভিভাবক’ ব্যানারে মানববন্ধন করে ইউএনও’কে স্মারকলিপি দেয়।

ফলে ঘটনাটির তদন্তে ইউএনও ৫ সদস্যের কমিটি করেন। ওই কমিটি ভর্তি কেলেংকারীর সাথে জড়িত ৫ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা এবং ৩ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের সুপারিশ করে। ৩ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল এবং দু’শিক্ষক একেএম হামিদুল ইসলামকে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ অলদিনী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ও শরীর চর্চার শিক্ষক আলতাফ হোসেনকে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ নৃপেন্দ্র নারায়ন সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে বদলী করা হয়।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ সদ্য বদলী হওয়া শিক্ষক একেএম হামিদুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয় দাবী করে তিনি অব্যাহতি চেয়ে প্রকৃত ঘটনা উল্লেখ করে ১৭ জানুয়ারী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, রংপুরের জেলা প্রশাসক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের রংপুর অঞ্চলের উপপরিচালক, ইউএনও সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।

আবেদনে ভর্তি পরীক্ষায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের রোল নম্বর উল্লেখ করে বিদ্যালয়টির সিন্ডিকেট সদস্য রফিকুল ইসলাম (ইসলামিয়াত), নজরুল ইসলাম (ইংরেজি) এবং শামীমা নাসরিন সুমির বিরুদ্ধে (বাংলা) প্রচ্ছন্ন জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক শামীমা নাসরিন সুমি জানান, তদন্ত হওয়ার পর এখন কেন এসব লেখালেখি হচ্ছে? আমি ওসবের সাথে জড়িত নই। 

অপর শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, তদন্ত হয়ে গেছে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে।

অব্যাহতি চাওয়া শিক্ষক একেএম হামিদুল ইসলাম জানান, তদন্ত কমিটির কাছে প্রকৃত ঘটনা না বলার জন্য উল্লেখিত ৩ সিনিয়র শিক্ষক আমাকে ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়ায় সত্য ঘটনা বলতে পারিনি,আমি নির্দোষ।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এটিএম মোস্তফা কামাল জানান তদন্ত রিপোর্টের প্রতিবেদনের আলোকে ইউওন স্যার ব্যবস্থা নিয়েছে। ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ইউএনও টিএমএ মমিন জানান, তদন্ত কমিটির সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কমিটি ৫ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা এবং ৩ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের সুপারিশ করেছে।

উল্লেখ্য, প্রতিবেদনে উল্লেখিত অপর ৩ শিক্ষকের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না।

Place your advertisement here
Place your advertisement here