• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

পাটগ্রামে সাপে কাটা মৃত ব্যক্তিকে বাঁচাতে ওঝার লঙ্কাকাণ্ড!

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৪ নভেম্বর ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে সাপে কাটা নারীকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণার পরও তাঁকে সমাহিত (কবর) না দিয়ে ওঝা এনে ঝাড়ফুঁকের আয়োজন করা হয়। টানা ২ ঘন্টা ঝাঁড়ফুক শেষে কোনো ফলাফল ছাড়াই মঙ্গলবার দিবাগত রাতে লাশ দাফন করা হয়। সাপে কাটা  মৃত তছিরন নেছা (৫০) পাটগ্রাম পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের মির্জারকোর্ট ডাহাহাটির ডাঙ্গা গ্রামের তছলিম হোসেনের স্ত্রী।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার সন্ধ্যায় তছিরন নেছা বাড়ির পাশ্ববর্তী এলাকায় তাঁর মেয়ে কুচলিবাড়ি ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য শেফালী বেগমের বাড়ি থেকে পায়ে হেঁটে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় পথে তাঁর পায়ে বিষাক্ত সাপ দংশন করে।

খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। সেখান জরুরি বিভাগের চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য  তাঁকে  রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে  চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোর রাতে তিনি মারা যান। পরিবারে লোকজন মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসে।

সন্ধ্যায় স্থানীয় এক ওঝা জানান সাপে কাটা ব্যক্তি চেতনাহীন ভাবে কয়েকদিন বেঁচে থাকে। এতে নিহতের পরিবারের লোকজনের মাঝে বিশ্বাস সৃষ্টি হয়। বাড়িতে মরদেহকে কাপড় দিয়ে ঘিরে রাখে। পরে ওঝা  মৃত ওই নারীকে পানি খাওয়ানোর চেষ্টা করেন ও দুই ঘন্টা ঝাড়ফুঁক করেন। কিন্তু অবস্থার কোনো উন্নতি  না হলে  স্থানীয় লোকজনের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বিষয়টি বুঝতে পেরে ওঝা জানান তার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। অবশেষে মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর ) রাত ৯ টার দিকে তছিরন নেছার দাফনকাজ সম্পন্ন হয়।

এদিকে মৃত ব্যক্তিকে ওঝার মাধ্যমে জীবিত করা হবে - এ কখা শুনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত মানুষ মির্জারকোর্ট ডাহাহাটির ডাঙ্গা গ্রামে সমবেত হয়।

কুচলিবাড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা কহিনুর ইসলাম জানান,‘সাপে কাটা মৃত ব্যক্তিকে ওঝার ঝাড়ফুঁকে জীবিত হওয়ার কথা শুনে আমরা শত শত মানুষ দেখতে এসেছি। এসে দেখি ওই মৃত নারীকে ওঝা পানি খাওয়ানোর চেষ্টা করছে ও বিভিন্ন মন্ত্র পড়ছে। এর পর তিনি প্রায় দুই ঘণ্টা সময় ধরে চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।'

এ বিষয়ে ওঝার ঝাড়ফুক দেখতে আসা পৌরসভার বাসিন্দা মোকছেদুল ইসলাম বলেন,‘আমি কখনো দেখিনি ঝাড়ফুঁক দিয়ে মৃত ব্যক্তি আবার জীবিত হয়। এ জন্য দেখতে এসেছি।'

Place your advertisement here
Place your advertisement here