দিনাজপুরে আশার আলো জাগিয়েছে ‘ব্রি ধান ৮৭’
– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০২০
Find us in facebook
উত্তরের শষ্য ভাণ্ডার দিনাজপুরে আমন মৌসুমে আগামজাতের ব্রি ধান ৮৭ কৃষকদের মাঝে আশার আলো জাগিয়েছে। স্বল্পমেয়াদি ও খরাসহিষ্ণু হওয়ায় এ জাতের ধান চাষ লাভজনক বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। আমন মৌসুমে প্রচলিত ধানের চেয়ে হেক্টর প্রতি এক টন ফলন বাড়াবে নতুন উদ্ভাবিত ব্রি ধান ৮৭ নামের উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান।
আগাম এ ধান ঘরে তুলতে পেরে এবং এ ধানের ফলন ও দামও ভালো পেয়ে খুশি কৃষক। এ ধান কাটার পর পরিত্যক্ত জমিতে আলু, সরিষাসহ চাষ হচ্ছে শীতকালীন বিভিন্ন সব্জি। এতে বাড়ছে জমিতে ফসলের নিবিড়তা।
দিনাজপুরের সদর উপজেলার রামডুবি এলাকার কৃষক বিধান কৃমার মহন্ত প্রথমবারের মতো দুই একর জমিতে উচ্চ ফলনশীল ‘ব্রি ধান ৮৭’ আবাদ করেছেন। ধান কেটে ওজন করা হলে আমন মৌসুমে প্রচলিত ধানের চেয়ে হেক্টর প্রতি এক টন ফলন বেশি পেয়েছেন বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান।
শুধু কৃষক বিধান কৃমার মহন্ত নয়, দিনাজপুরের বেশ কয়েকজন কৃষক এবার প্রথমবারের মতো চাষ করেছেন ব্রি ধান ৮৭।আমন মৌসুমে প্রচলিত ধানের চেয়ে ‘ব্রি ধান ৮৭’-তে হেক্টর প্রতি এক টন বেশি ফলন পেয়েছেন তারা। এ ধান চাষে ভালো ফলন পেয়ে উৎফুল্ল কৃষক সমাজ।
ব্রি ধান ৮৭ নতুন জাতটির ফলন হেক্টরে সাড়ে ছয় টন। এ ধানের চাষাবাদ অন্যান্য রোপা আমন ধানের মতোই। গাছের কান্ড শক্ত ও ফলন বেশি হওয়ায় খুব দ্রুতই ধানটি কৃষক পর্যায়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এমনটাই জানালেন দিনাজপুর সদর উপজেলার উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হক।
তিনি জানান, আমন মৌসুমে উদ্ভাবিত নতুন ব্রি-৮৭ জাতের চিকন আমন ধান চাষে চাষিদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। কারণ চিকন জাতের আমন ধান বেশি দামে বিক্রি করা খুবই সহজ। আড়তদার, চাতাল মালিক ও মহাজনরা আগ্রহভরে কিনছেন চাষিদের কাছ থেকে।
চিকন জাতের এই জাতটি উঁচু জমিতে লাগালেও আশানুরূপ ফলন পাওয়া যায়। তাছাড়া ব্রি-৮৭ জাতের ধান সময়ের ব্যবধান হিসাব করে চাষ করলে নির্ধারিত সময়ে ওই ধান কাটার পর সরিষা মুসুর, ছোলাসহ বিভিন্ন ডালজাতীয় ফসলের আবাদ করা যাবে।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট-ব্রি ফলিত গবেষণা বিভাগের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বিভাগীয় প্রধান ড. হুমায়ুন কবীর জানান, ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউড থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কৃষকের মাধ্যমে চাষ করে ফলন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জীবনকাল নির্ধারণ করে আমন ধানের ব্রি-৮৭ জাতের ধানটি চাষিদের মাধ্যমে চাষ করা হচ্ছে।
ড. হুমায়ুন বলেন, ব্রি ধান ৮৭ এর জীবনকাল ব্রি ধান ৪৯ এর চেয়ে সাত দিন কম। ব্রি ধান ৪৯ এর চেয়ে ফলন হেক্টর প্রতি এক টন বেশি হয়। ব্রি-৮৭ জাতের চিকন ধান প্রতি ৩৩ শতাংশ জমিতে ২৭-৩০ মণ পর্যন্ত ফলন হয়ে থাকে। স্বর্ণা ধানের ১৪৫ দিন জীবনকাল এবং ব্রি-৮৭ চিকন আমন ধানের জীবনকাল ১২৭ দিন।
স্বর্ণা ধান কাটার ১৫ দিন আগেই ব্রি-৮৭ জাতের চিকন আমন ধান কাটা যায়। পূর্ণ বয়স্ক ধান গাছের গড় উচ্চতা ১২২ সেন্টিমিটার, ধান গাছের কান্ড শক্ত, গাছ লম্বা হলেও হেলে পড়ে না। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে কোনো কোনো সময় ঝড়ো হাওয়ার কারণে হেলে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পাতা হালকা সবুজ, ডিগ পাতা খাড়া এবং ব্রি ৪৯ জাতের চেয়ে লম্বা ও প্রশস্ত। ধান পাকার সময় কান্ড ও পাতা সবুজ থাকে, চালের আকার ও ধানের আকৃতি চিকন লম্বা, এ ধানের অ্যামাইলোজ ২৭ শতাংশ। ব্রি ৮৭ এর জীবনকাল ব্রি -৪৯ এর চেয়ে সাত দিন কম এবং ফলনও বেশি। চিকন লম্বা জাতের ধান উৎপাদনে চাষিদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।
ব্রি ধান-৮৭’র চাষাবাদ বাড়াতে কৃষক প্রশিক্ষণ বীজ সংরক্ষণেরও পরামর্শ দিচ্ছে ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট-ব্রি ফলিত গবেষণা বিভাগ এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
নির্ধারিত মৌসুমের সময় অনুসারে এবং সরিষা কেটে বোরো চাষ করা যাবে অতি সহজে। ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে উদ্ভাবিত ব্রি-৮৭ চিকন জাতের এই ধান চাষে দিনাজপুরে চাষিদের আশার আলো জাগিয়েছে।
ব্রি ৮৭ এর জীবনকাল ব্রি -৪৯ এর চেয়ে সাত দিন কম এবং ফলনও বেশি। চিকন লম্বা জাতের ধান উৎপাদনে চাষিদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। জেলায় এ বছর পরামর্শক্রমে ১৩ উপজেলায় ৫২ জন কৃষক দেড়শ’ হেক্টর জমিতে এ জাতের ধান চাষ করে সফল হয়েছেন।
সরজমিনে দেখা গেছে, অধিকাংশ কৃষক ‘ব্রি ধান ৮৭’ চাষাবাদ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন। তাদের এই সাফল্য এখন অনেকের অনুপ্রেরণা। সংশ্লিষ্ট বিভাগের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে এবং এই ধানের ভালো দাম পেলে আগামীতে এই ‘ব্রি ধান ৮৭’র চাষাবাদ পরিধি আরো বেড়ে যাবে বলে মন্তব্য করছেন সংশ্লিষ্টরা।
- দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, পথেই ঝরল ২ প্রাণ
- আগুন নেভাতে আসতে ‘দেরি করায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা
- চাঁদা তুলে খেলতে আসা দলই গড়ল ইতিহাস
- মিল্টন সমাদ্দারের অপকর্ম তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি
- জুমার নামাজের ফরজ ও হারাম
- ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু, পরীক্ষার্থী ৩৩৮০০০
- তানজানিয়ায় বন্যা-ভূমিধসে ১৫৫ জনের মৃত্যু
- ‘পুষ্পা: দ্য রুল’ সিনেমা মুক্তির আগেই ১০০০ কোটির ব্যবসা!
- ২ মে থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা, হতে পারে কালবৈশাখীও
- গাজার ক্ষুধার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ক্রিকেটার বিথী
- ওকালতি পড়ে কৃষি উদ্যোক্তা
- চিলমারীতে পুকুরের পানিতে ডুবে প্রতিবন্ধী শিশুর মৃত্যু
- আদিতমারীতে গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা
- গঙ্গাচড়ায় সম্প্রীতির গ্রাম গঠনের লক্ষ্যে অবহিতকরণ সভা
- গঙ্গাচড়ায় আলু চাষীদের সাথে মতবিনিময় সভা
- রংপুর জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের নতুন কমিটির শপথ গ্রহণ
- বীরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- বদরগঞ্জে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা
- ঠাকুরগাঁওয়ে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা
- গাইবান্ধায় বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায়
- ফুলবাড়ীতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায়
- গাইবান্ধায় যুব উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগ নিয়ে মতবিনিময় সভা
- দিনাজপুরে বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায়
- রংপুরে ইসতিসকার নামাজ আদায়
- দ্বিতীয় সাক্ষাতেও গুজরাটকে হারাল দিল্লি
- খুন হওয়ার ভয়ে বাড়ি ছাড়লেন সালমান খান
- সব রোগ-ব্যাধি থেকে শেফা লাভের সূরা
- জিম্মি এক ইসরায়েলি-আমেরিকানের ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
- ‘সংস্কারের পাশাপাশি আগামী বাজেটে কর্মসংস্থানে নজর দেওয়া হবে’
- বুয়েটে জঙ্গি গোষ্ঠীর কার্যক্রম তদন্ত করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
- ছেলেকে নিয়ে ঈদের নামাজে যাওয়া হলো না বাবার
- ফুলবাড়ীতে পাঁচ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপি
- প্রথমবার সালমানের বিপরীতে কিয়ারা
- ঈদে সংবাদপত্রের ছুটি ঘোষণা আজ
- রাতে বেরিয়ে নিখোঁজ কিশোর, দুপুরে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- দুপুরের মধ্যে ৮০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে ঝড়
- হিলি সীমান্ত পরিদর্শনে সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীর প্রতিনিধি দল
- ভারতবিরোধী স্লোগানের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা লুকিয়ে আছে
- শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের মূল কারিগর
- গাজার ক্ষুধার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ক্রিকেটার বিথী
- সুন্দরগঞ্জে আধুনিক পদ্ধতিতে করলা চাষে ব্যাপক সাফল্য
- আজ থেকে ট্রেনের ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু
- আবারও তিনদিন বাংলাবান্ধার ইমিগ্রেশন ও বাণিজ্য বন্ধ ঘোষণা
- শরীরে মেদ জমেছে নাকি পানি, বুঝবেন যেসব লক্ষণে
- ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচকে নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান
- পুলিশের আজান, কেরাত ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
- ব্যস্ততার পরিবর্তে অস্তিত্ব টেকানোর লড়াইয়ে মৃৎশিল্পীরা
- দ্রুত শিক্ষকদের শূন্য পদ পূরণের সুপারিশ