• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

খুলনায় করোনা মোকাবিলায় প্রযুক্তিভিত্তিক নানা উদ্যোগ

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২০ জুন ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে বিভিন্ন ডিজিটাল অ্যাপস ও সফটওয়্যারভিত্তিক উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে খুলনা জেলা প্রশাসন। ম্যানেজমেন্ট, মনিটরিং, কো-অর্ডিনেশন ও ইনোভেশন কার্যক্রমের মাধ্যমে এ সঙ্কট মোকাবিলার চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ।

সংশ্লিষ্টরা জানান, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং খুলনা শিশু হাসপাতালের ব্যবস্থাপনায় ‘প্রোভাইডিং হোম টু ইর্মাজেন্সি মেডিকেল সার্ভিস ইন করোনা ক্রাইসিস থ্রু ডিজিটাল সিস্টেম’ কার্যক্রমের আওতায় ‘জরুরি চিকিৎসাসেবা খুলনা’ অ্যাপসের মাধ্যমে সেন্ট্রাল সার্ভারে ডাটাবেইজ তৈরি করা হয়েছে।

এ ছাড়া শিশু হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে একটি ডিজিটাল কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। চিকিৎসক, নার্স এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখতে রোস্টারও তৈরি করা হয়েছে। একইসঙ্গে মোবাইল ফোনে কল করলে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

তা ছাড়া এসএমএস অথবা ইমেইল পেলে সেবাপ্রত্যাশীকে নির্ধারিত নম্বর থেকে ফোন করা হয় এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। ডিজিটাল ডাটাবেইজের মাধ্যমে এখানে সকল তথ্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে। অ্যাপসটি ‘গুগল প্লে স্টোর’ থেকে ডাউনলোড করা যাবে।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য মাস খানেক আগে গঠন করা হয় ‘বেসরকারি মানবিক সহায়তা সেল’ এবং একই সঙ্গে শুরু হয়েছে ’ডিটুডিকে’ অ্যাপসের ব্যবহার, যার মাধ্যমে সাহায্যপ্রার্থীরা আবেদন করতে পারেন। আর ডিজিটাল ডাটাবেজের মাধ্যমে তাদের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশে প্রায় একমাস ধরে চলমান ‘ডোর টু ডোর এসেনসিয়াল গুডস ডিসটিবিউশন ইন করোনা ক্রাইসিস থ্রু ডিজিটাল সার্ভে’।

এছাড়া বানানো হয়েছে মোবাইল অ্যাপ- ‘হাতের মুঠোয় কাঁচা বাজার’। এই অ্যাপের মাধ্যমে ‘ঘরে বসে কৃষি বাজার’ ও ‘ডিজিটাল সুন্দরবন প্রোটিন হাউজ’ নামের দুটি কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।

খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জানান, করোনা মোকাবিলায় আরো নানা কার্যক্রম গ্রহণ করেছে খুলনা জেলা প্রশাসন। সবই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে। এখানে ‘কৃষকের হাসি’ নামের ডিজিটাল অ্যাপসের মাধ্যমে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা হচ্ছে। 

তিনি আরো বলেন, খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাংলাদেশে প্রথম  চালু হয়েছে ‘ডিজিটাল রাইস প্রকিউরমেন্ট’ অ্যাপস। এর মাধ্যমে চুক্তির নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত মিলারদের কাছ থেকে স্বচ্ছতার সঙ্গে চাল কেনা হচ্ছে এবং একই সঙ্গে চাল ক্রয়সাপেক্ষে মিলারদের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রেও স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে।

এদিকে জেলা প্রশাসন তথ্য-প্রযুক্তি খাতকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য ভিডিও কনটেন্টে ক্লাস ধারণ করে ইউটিউব এবং ফেসবুকে প্রচারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। একইসঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ডিজিটাল প্রাইমারি এডুকেশন খুলনা‘ এবং এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ডিজিটাল সেকেন্ডারি এডুকেশন খুলনা’ নামে দুটি ইউটিউব চ্যানেল চালু করা হয়েছে। খোলা হয়েছে দুটি ফেসবুক পেজও।

Place your advertisement here
Place your advertisement here