• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

কক্সবাজারে লকডাউন কার্যকরে কঠোর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৮ জুন ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মাত্রা বিবেচনায় দেশের প্রথম ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত কক্সবাজার পৌর এলাকা। এই পৌর এলাকাসহ জেলার চকরিয়া ও উপজেলায় ঘোষিত ১৪ দিনের লকডাউন কার্যকর করতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিশেষ করে সেনাবাহিনীর সদস্যরা লকডাউন কার্যকর করতে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছেন। জোরদার করা হয়েছে পুলিশের টহলও।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় কক্সবাজার পৌর এলাকাকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করে দ্বিতীয়বারের মতো গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকে লকডাউন করা হয়। অন্যদিকে রবিবার প্রথম প্রহর থেকে জেলার চকরিয়া পৌরসভার পুরো এলাকা এবং ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ২, ৩ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড এবং উখিয়া উপজেলার তিন ইউনিয়ন রাজাপালং, রত্নাপালং ও পালংখালীর কিছু ওয়ার্ড ও এলাকাকে লকডাউনের আওতায় নেওয়া হয়েছে।

গতকাল লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কক্সবাজার শহরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কাঁচাবাজার ও মুদি দোকান খোলা ছিল। শহরের বিভিন্ন প্রবেশপথে সেনাবাহিনী চেকপোস্ট বসিয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া ব্যক্তিদের পরিচয়পত্র দেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানা হচ্ছে। লকডাউনের প্রথম দিন শনিবার কিছু টমটম (ইজি বাইক), অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেলেও গতকাল তা দেখা যায়নি।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের একাধিক ওয়ার্ডকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলো হলো রাজাপালং ইউনিয়নের ২, ৫, ৬ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড, পালংখালী ইউনিয়নের ১, ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড এবং রত্নাপালং ইউনিয়নের কোটবাজার। তিনি বলেন, রেড জোনে শতভাগ লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে। আগামী ২১ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত লডকাউন অব্যাহত রাখা হবে।

এদিকে চকরিয়া পৌরসভার পুরো এলাকা এবং উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ২, ৩ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডে গতকাল সকালে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ফুটপাতে পসরা সাজিয়ে বসতে দেখা যায়। অনেক দোকানপাটও খোলা হয়। ছোট যানবাহনগুলোও বেরিয়ে পড়ে রাস্তায়। এ অবস্থায় সকাল ১১টার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ, থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকরা একযোগে অভিযান শুরু করে। মুহৃর্তের মধ্যে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তা যানবাহনশূন্য হয়ে পড়ে। প্রশাসনের এ অভিযানকে সাধুবাদ জানায় সর্বসাধারণ।

সার্বিক বিষয়ে কক্সবাজার জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, আগামী ১৪ দিন রেড জোন চিহ্নিত এলাকাগুলোকে কঠোরভাবে অবরোধ করে রাখা হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here