• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক মমতার

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২০ জুন ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

লাদাখে চীনা সেনাদের হাতে ভারতীয় বাহিনীর এক কর্নেলসহ অন্তত ২০ সেনার মৃত্যুতে চীন-ভারত যুদ্ধ উত্তেজনা চলছে। এরই মধ্যে প্রতিশোধ নিতে চীন সীমান্তে একাধিক ফাইটার জেট, অ্যাটাক হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে ভারত। চীনও পিছিয়ে নেই, চলছে সেনা সমাগম। পরিস্থিতি মোকাবেলায় দিল্লিতে দফায় দফায় চলছে বৈঠক।

শুক্রবার ছিল একটি সর্বদলীয় বৈঠক। চীনের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, তা নিয়েই এই বৈঠক ছিল। একাধিক দল ছিল সেই বৈঠক। ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সামনে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক দিয়ে বলেন,'চীনে কোনো গণতন্ত্র নেই। ওদের একনায়কতন্ত্র আছে। ওরা যা খুশি তাই করতে পারে। কিন্তু আমাদের একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। চীন হেরে যাবে, ভারত জিতবে। আমরা একসঙ্গে কাজ করব, একসঙ্গে ভাবব, আমরা সরকারের পাশে আছি।'

একইসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ভারতের টেলিকম, অ্যাভিয়েশন বা রেলের মতো খাতে চীনকে যাতে ঢুকতে না দেওয়া হয়। তাঁর কথায়, 'হয়ত আমরা একটু অসুবিধায় পড়ব, কিন্তু চীনকে ঢুকতে দেব না।'

এদিন সুর চড়িয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীও। তিনি বলেন, '৫ মে লাদাখে চীন যখন প্রথম অনুপ্রবেশ করে, তখনই এই বৈঠক ডাকা উচিৎ ছিল। কিন্তু তখন তা ডাকা হয়নি।' প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি প্রশ্ন করেন, 'কবে থেকে চীনা অনুপ্রবেশ করল, তা নিয়ে কি সরকারের কাছে তথ্য ছিল? গত সোমবারের এই ঘটনা কি ইন্টেলিজেন্স ব্যর্থতা? সরকারকে কি আগাম সতর্ক করা হয়নি? কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এক্ষেত্রে কি আগাম সতর্ক করতে ব্যর্থ?' তিনি বলেন, 'কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা করে কী লাভ হল, যার জন্যে প্রাণ দিতে হল ২০ জন সেনা জওয়ানকে?'

গালওয়ান উপত্যকায় চীনা বাহিনীর আক্রমণে নিহত হয়েছেন ২০ ভারতীয় সেনাকর্মী। এই পরিস্থিতিতে ইন্দো-চীন সীমান্ত ঘিরে উত্তেজনা কয়েকগুণ বেড়েছে। উত্তেজনা প্রশমনে দুই দেশের সেনা ও কৃটনীতিকস্তরে আলোচনা চলছে। ভারত বেইজিংকে স্পষ্ট করে জানিয়েছে, সীমান্ত নিয়ে বিরোধ আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান হবে। ভারতের তরফে সব পদক্ষেপ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার এপারেই করা হয়ে থাকে। আশা করব চীন ও তাদের যাবতীয় কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারেই করবে।

তবে বিরোধী দলগুলো যাই বলুক না কেন, এই মুহূর্তে পূর্ব লাদাখের যা পরিস্থিতি, তাতে বিশেষ সুর চড়িয়ে চীনের সেনার সঙ্গে আলোচনা করার জায়গায় ভারত নেই। সে কারণে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে চীনা লাল ফৌজকে তাদের এলাকায় ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা৷

Place your advertisement here
Place your advertisement here