• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

একই সঙ্গে ছয় প্রকার ফসলের চাষ

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারি ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্টিত রৌমারী উপজেলার চরাঞ্চলে একই জমিতে ছয় ফসলের চাষ হচ্ছে। ফলুয়ারচর, বাঘমারা, চরবাঘমারা, বলদমারা, বাইশপাড়া, বড়চর, খেরুয়ারচর, চরপাখিঊড়া, কুটিরচরসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলের প্রায় ২০০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হচ্ছে নানা জাতীয় ফসল। 

চরাঞ্চলের কৃষকরা পাট, কলমিশাক, লাল শাক, মাসকলাই ও মরিচের চাষ করছেন। এসব সবজি জাতীয় ফসলের ১৫ থেকে ২০ দিন পরেই বাদাম, ঢেঁড়স, আখ চাষ করা হবে। একই জমিতে বিভিন্ন জাতের ফসল ফলাতে পেরে কৃষকরা খুশি। আবার ফসলের বাম্পার ফলন হওয়ায় তাদের মুখে হাসিও ফুটেছে।  
এক সময় শুধু রবি ফসলই এসব চরাঞ্চলের কৃষকের ভরসা ছিলো। তবে সঙ্গে কয়েকটি ফসলের চাষ করতে পারায় তারা লাভের মুখ দেখছেন। এসব চাষের ফলে কৃষকরা নিজেদের সংসারের চাহিদা মিটিয়ে উৎপাদিত ফসল বাজারে বিক্রি করে মুনাফা অর্জন করছেন।

এ অঞ্চলের মানুষ খড়া, বন্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা প্রতিকূলতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন প্রকার ফসলের চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। প্রতি বছর বন্যার পাহাড়ি ঢল ও ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনের ফলে বালি ও পলি মাটি মিশ্রিত হয়। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চরাঞ্চলের জমি উর্বর হয়। পরবর্তীতে এই জমিতে একই সঙ্গে ছয় প্রকার ফসল চাষে সাফল্য অর্জন করেন কৃষকরা। এখানকার সমতল জমিতে চাষ হয় ইরি বোরো। আর অসমতল ও বালি মাটিতে চাষ করা হচ্ছে নানা জাতীয় রবি শষ্য। 

চর পাখিউড়া গ্রামের হাসান আলী জানান, আমাদের চরাঞ্চলের অসমতল ও বালির পরিমাণ বেশি। এ ধরনের জমিতে ইরি বোরোর পরিবর্তে পাট, কলমিশাক, লাল শাক, মাসকলাই, মরিচ ফসলের চাষ করছেন কৃষকরা। এসব সবজি জাতীয় ফসল চাষের ১৫ থেকে ২০ দিন পরেই বাদাম, ঢেঁড়স, আখ চাষ করে লাভের মুখ দেখেছি।
 
অপর কৃষক জিলকদ আলী জানান, বন্যায় পলি পড়া চরাঞ্চলের উঁচু জমি উর্বর হয়ে থাকে। এই জমিতে আমরা রবি মৌসুমে ছয় প্রকারেরও বেশি ফসল চাষ করতে পারছি। শাকসবজি, আখসহ ছয় প্রকারের ফসলের চাষ করে নিজেদের সংসারের চাহিদা মেটানোসহ উৎপাদিত ফসল বাজারে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করে সুখেই সংসার চালাচ্ছি।

এ ব্যাপারে রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন জানান, রৌমারীতে এবার রবি ফসলের চাষ হয়েছে প্রায় ২০০ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে চরাঞ্চলে একই জমিতে ছয় থেকে সাত প্রকারের ফসল চাষ করছে কৃষকরা। এটা কৃষকদের ভালো অর্জন।

তিনি আরো বলেন, চরাঞ্চলে এসব ফসল চাষে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। আমাদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন। সাধ্যমতো এসব কৃষককে সহযোগিতা করা হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here