• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

জুমার আজানের পর যেসব কাজ করা হারাম

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

জুমার দিন সপ্তাহের সেরা একটি দিন। এটা মহান আল্লাহ উম্মতে মুহাম্মদীকে উপহার দিয়েছেন, যা অন্য কোনো জাতিকে দেননি। জুমা নামে পবিত্র কোরআনে একটি স্বতন্ত্র সুরা আছে। সেখানে জুমার দিনের প্রধান আমল নামাজের কথা বলা হয়েছে।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যখন জুমার দিন আসে ফেরেশতারা মসজিদের দরজায় দাঁড়িয়ে প্রথম থেকে পর্যায়ক্রমে আগন্তুকদের নাম লিখতে থাকে। যে সবার আগে আসে সে ওই ব্যক্তির মতো যে একটি উট সদকা করে। তারপর যে আসে সে ওই ব্যক্তির মতো যে একটি গাভি সদকা করে। তারপর আগমনকারী মুরগি সদকাকারীর মতো। তারপর আগমনকারী একটি ডিম সদকাকারীর মতো। এরপর যখন ইমাম খুতবা দিতে বের হন, তখন ফেরেশতারা তাদের দফতর বন্ধ করে দেন এবং মনোযোগ  দিয়ে খুতবা শুনতে থাকেন।’ (বুখারি, হাদিস, ৮৮২)

জুমার আজান দেওয়ার পর বেচা-বিক্রি ও অন্যান্য কাজ করতে নিষেধ করা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, হে মুমিনগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে ত্বরা কর এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ।’ (সুরা জুমা, আয়াত ৯)

আমাদের দেশে জুমার দিন জুমার নামাজ উপলক্ষে দুইবার আজান দেওয়া হয়। একবার জুমার সময় শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগে আরেকটি জুমার খুতবার আগে। জুমার প্রথম আজানের পর অনেকেই খানাপিনা, গোসল, কাপড় ইস্ত্রি, কাপড় ধোয়া, কুরআন তেলাওয়াত ইত্যাদি কাজ করে থাকে। আলেমরা বলেন, জুমার আজানের পর এ সমস্ত কাজ করা ঠিক নয়। 

বিশেষ করে জুমার দিন খুতবার আগ মুহূর্তে যেই দ্বিতীয় আজান দেওয়া হয় এরপর যে কোনো কাজ তথা লেনদেন (কেনা-বেচা) সম্পূর্ণরূপে হারাম বা নিষিদ্ধ। এ সময় যারা লেনদেন বা বেচাকেনা করে তা অবৈধ ও বাতিল বলে গণ্য হবে। 

তবে আলেমরা বলেন, জুমার প্রথম আজানের পর অন্য কোনো কাজে লিপ্ত না হয়ে মসজিদে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়া এবং মসজিদের দিকে রওনা হওয়া জরুরি। এ সময় গল্পগুজব করা, কাপড় ধোয়া, কাপড় ইস্ত্রি করা, এমনকি ঘরে বসে কুরআন তিলাওয়াত করা অর্থাৎ জুম্মার প্রস্তুতিমূলক কাজ ছাড়া অন্য কোনো কাজ করা মাকরূহে তাহরীমী। অবশ্য নামাজের প্রস্তুতিমূলক কাজ যেমন-অজু, গোসল, কাপড় পরিধান ইত্যাদির সুযোগ রয়েছে। -(সহিহ বুখারী, হাদিস : ৮৭৮; ফাতহুল বারী ২/৪১৯; তাফসীরে কুরতুবী ১৮/৭০; আহকামুল কুরআন, থানভী ৪/৬৪; আলবাহরুর রায়েক ২/১৫৬; ফাতাওয়া উসমানী ১/৫৮০)

জুমার দিন জুমার খুতবা শুরু হওয়ার পর থেকে কোনো ধরনের কথা বলা নিষেধ এবং চুপ করে মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনা ওয়াজিব। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, “রাসুল (সা.) বলেছেন- জুমার দিন খুতবার সময় যদি তুমি তোমার সঙ্গীকে ‘চুপ করো’ বলো সেটাও অনর্থক।” (বুখারি, হাদিস: ৮৯২; মুসলিম, হাদিস: ২০০৫)

Place your advertisement here
Place your advertisement here