• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

ইসলামি ইতিহাসের রাজসাক্ষী

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

ওমর ইবনুল খাত্তাব রাযিয়াল্লাহু আনহু (৫৮৪ খ্রিষ্টাব্দ-৬৪৪ খ্রিষ্টাব্দ) ছিলেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ও বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রধান সাহাবিদের অন্যতম।

প্রথম খলিফা আবু বকর (রা.) এর মৃত্যুর পর ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) দ্বিতীয় খলিফা হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। তার যুগে অগণিত মসজিদ নির্মিত হয় বিশ্বজুড়ে। সেই মসজিদগুলোর একটি সৌদি আরবের দাওমাতাল জান্দাল এলাকার ‘মসজিদে ওমর ইবনুল খাত্তাব’।

মসজিদটি আরব উপদ্বীপের উত্তরে অবস্থিত প্রাচীনতম মসজিদগুলোর একটি। মসজিদটি সৌদি আরবের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মসজিদটি খলিফা ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) ১৬ হিজরিতে (৬৩৮ খ্রিষ্টাব্দ) নির্মাণ করেন। জানা যায়, জেরুজালেম সফরে যাওয়ার সময় তিনি এ মসজিদ নির্মাণ করেন।

ইসলামের ইতিহাসে এটি একটি ঐতিহাসিক মসজিদ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। মসজিদের স্থাপত্য ইসলামের প্রথম মসজিদ ‘মসজিদে নববীর মতো করেই করা হয়েছে’। এ জন্যই এ মসজিদের গুরুত্ব অনেক বেশি।

সৌদি আরবের ইসলামি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের মধ্যে এটি প্রথম সারির একটি স্থাপনা। ১৩০০ বছর আগের এ স্থাপনা ইসলামি ইতিহাসের রাজসাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

হজরত ওমর ইবনুল খাত্তাব মসজিদটি পাথরের তৈরি। দেয়ালগুলো চুনামাটি আর পাথরের। পশ্চিম থেকে পূর্ব পর্যন্ত প্রসারিত, দৈর্ঘ্যে প্রায় ৩২.৫ মিটার। আর প্রস্থে প্রায় ১৮ মিটার। মিহরাব, মিম্বর, মসজিদের আঙিনা ও নামাজের জায়গা নিয়ে অসাধারণভাবে বানানো হয়েছে।

প্রচণ্ড ঠান্ডায়, শীতকালে মসজিদের পেছনের অংশটি ব্যবহার করা হয়। এ জায়গা শীতকালেও গরম থাকে। ব্যাকপ্যাকার ওয়ালিনসহ ঐতিহাসিক অনেক পর্যটক এ মসজিদ সম্পর্কে তাদের গ্রন্থে লিখেছেন।

ঐতিহাসিক এ মসজিদটির দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে ১২.৭ মিটার একটি সুন্দর মিনার রয়েছে। এটি ইসলামি যুগে নির্মিত প্রথম মিনার। মিনারটিতে ৩ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি বর্গাকার ভিত্তি রয়েছে। যেখানে দেয়ালগুলো ভেতরের দিকে কাত হয়ে একটি স্বতন্ত্র পিরামিডাল বা আধা-শঙ্কুযুক্ত আকৃতি তৈরি করে। মিনারটি চারতলায় বিভক্ত। প্রতি তলায় জানালা রয়েছে। মিনার থেকে জুমার খুতবা দেয়া হতো। মসজিদটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে সংরক্ষণ করা হয়েছে। ইসলামি ইতিহাসের রাজসাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এ মসজিদ।

Place your advertisement here
Place your advertisement here