নতুন প্রজন্মের ঈমান রক্ষায় করণীয়
– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০২১
Find us in facebook
উন্নয়ন অগ্রগতির জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন মানুষের অনুভূতি জাগ্রত হওয়া। এটা বুঝতে শেখা যে তার কি প্রয়োজন? এবং তা পূরণে তার করণীয় কি? অনুভব ও অনুভূতি অনেক বড় বিষয়। এর মাধ্যমেই পৃথিবীতে বহু বড় বড় কাজ সম্পন্ন হয়। কখনো কখনো মানুষ উদাসীন ও অমনোযোগী হয়। ফলে তার ভেতর কোনো অনুভূতি কাজ করে না। সে বোঝে না তার কি প্রয়োজন এবং সে প্রয়োজন পূরণে তার ভেতর কী কী দুর্বলতা রয়েছে। এরপর যখন তার ভেতরটা জেগে ওঠে তখন সেই দুর্বল মানুষের জীবনে বিপ্লব বয়ে যায় এবং সে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে যায়।
খলিফা হওয়ার আগে ওমর ইবনে আবদুল আজিজ (রহ.) মদিনার গভর্নর ছিলেন। প্রথমে অন্যান্য গভর্নরের মতোই চলাফেরা করতেন, উন্নত পোশাক পরিধান করতেন, মূল্যবান সুগন্ধি ব্যবহার করতেন; এক কথায় উন্নত জীবন যাপন করতেন। এমনকি তার চাল-চলন অন্যরা অনুসরণ করতে লাগল এবং তার নাম হলো ‘আল মায়িশাতুল ওমরিয়্যা’ বা ওমরীয় জীবনধারা। কিন্তু খলিফা মনোনীত হওয়ার পর তিনি সম্পূর্ণ বদলে গেলেন। তার কাছে আরাম আয়েশের যত উপকরণ ছিল তিনি সব দরিদ্র মানুষের জন্য দান করে দিলেন। অতি সাধারণ জীবন যাপন শুরু করলেন। ইতিহাস গ্রন্থে এসেছে, তার সন্তানরা নতুন জীবনে বিচলিত ছিল। খাবার তাদের পছন্দ হতো না। একবার তিনি সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে এলে তারা হাত দিয়ে মুখ ঢেকে রাখে। তিনি কারণ জানতে চাইলে তারা বলল, ঘরে অন্য খাবার না থাকায় তারা পেঁয়াজ খেয়ে আছে। তাদের ধারণা এতে খলিফার কষ্ট হবে। ওমর ইবনে আবদুল আজিজ (রহ.) কাঁদতে লাগলেন এবং বললেন, যদি তোমরা চাও এবং পছন্দ করো যে তোমাদের পিতা জাহান্নাম থেকে বেঁচে যাক, জান্নাতে প্রবেশ করুক আবার তোমাদেরকে তোমাদের পছন্দের খাবার দিক, তবে আমি তাতে অপারগ। তিনি তাঁর দেশ শাসনের এমন দৃষ্টান্ত দাঁড় করালেন যে মানুষ তাঁকে খোলাফায়ে রাশেদার অন্তর্ভুক্ত করে নিয়েছে। তাঁর জীবনে এই আমূল পরিবর্তন এসেছিল অনুভূতির পরিবর্তনের কারণে। তিনি একজন খলিফা হিসেবে তাঁর যে দায়িত্ব তা উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন।
সুতরাং উপলব্ধি জাগ্রত হলে মানুষের ভেতর পরিবর্তন আসবে। মুসলিম জাতির মধ্যে এই মুহূর্তে সবচেয়ে অভাব অনুভূতি, উপলব্ধি ও চেতনার। আমরা হতাশার সঙ্গে দেখছি, অন্যান্য জাতি-গোষ্ঠী নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং তারা আপন লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে মুসলিম জাতির বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র হচ্ছে, তাদের জাগরণ দমিয়ে রাখতে বহু পরিকল্পনা কাজ করছে। সংবাদ মাধ্যমগুলোর ওপর দৃষ্টি রাখলে খুব সহজে তা চোখে পড়বে। অথচ মুসলিমদের ভেতর তা নিয়ে কোনো চিন্তা নেই। ফলে তা থেকে উত্তরণেরও পথ খোঁজে না। এর ব্যতিক্রমও যে নেই তা নয়। আমি দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়েছিলাম। সেখানে মুসলিমরা সংখ্যালঘু। কিন্তু তাদের বেশির ভাগ শিক্ষিত। কারণ স্থানীয় মুসলিম সজাগ ও সচেতন। তারা জানে সমাজে তাদের অবস্থান কী? এবং তাদের করণীয় কী? আর তারা তা পূরণও করছে। শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা আমরা সবাই জানি। শিক্ষা ও সুশিক্ষা ছাড়া বর্তমান সময়ে ইতিবাচক পরিবর্তন সম্ভব নয় এবং বড় লক্ষ্যও অর্জন করা যাবে না। শিক্ষায় যে জাতি পিছিয়ে সে জাতি জাগতিক জীবনেও পিছিয়ে। যেহেতু জাগতিক জীবনের প্রয়োজন পূরণে আমাদের জাগতিক শিক্ষারও প্রয়োজন হয়, তাই শিক্ষা কারিকুলামে আধুনিক ও ধর্মীয় শিক্ষার সমন্বয় করতে হবে। যেন তারা পার্থিব প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে না পড়ে এবং তাদের ঈমান ও ধর্মীয় জীবন রক্ষা পায়।
প্রথমত, শিশুরা যখন মক্তবে যায় বা তারা পারিবারিক পরিবেশে থাকে, তখন তাদের ঈমান ও বিশ্বাসের শিক্ষা সম্পন্ন করতে হবে। কেননা শৈশবের শিক্ষা ও বিশ্বাস শিশুর মনে গভীর রেখাপাত করে। সহজে তা দূর হয় না। তাই এ সময় তাকে ঈমান, ইসলামী বিশ্বাস ও মূল্যবোধ, উত্তম চরিত্র শেখানো প্রয়োজন। শৈশবে শিশুকে ইসলামের মৌলিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে না পারলে পরবর্তী সময়ে শিশুকে দ্বিনের ওপর রাখা কঠিন হবে।
দ্বিতীয়ত, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে শিশুরা যখন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে যায়, তখন তাদের প্রথমে ফরজ বিধানগুলো এবং ইসলামের অপরিহার্য বিভিন্ন দিক তাদের শেখাতে হবে। এরপর তাদের মুসলিম হিসেবে জীবন যাপনের জন্য যেসব সামাজিক ও আর্থিক (মুআমালাত ও মুআশারাত) বিধি-বিধানের প্রয়োজন হয়, তা শেখাতে হবে। আর তাদের তা শেখাতে পারেন গভীর জ্ঞান ও বোধসম্পন্ন আলেমরা। মাদরাসাগুলোতে উচ্চতর ইসলামী শিক্ষার আয়োজন রয়েছে এবং তার প্রয়োজনও রয়েছে। তবে মুসলমানের সন্তানরা যে পরিমাণ মাদরাসায় আসে, স্কুল-কলেজে যায় তার চেয়ে বহু গুণ বেশি। তাদের পরিমাণ এক থেকে তিন ভাগের বেশি নয়। তাই মাদরাসার বাইরে থাকা বিপুল মুসলিম শিশুদের জন্য ইসলামী শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। আর তা হতে পারে স্বতন্ত্র ইসলামী স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। ভারতে যেমন ইসলামিয়া স্কুল ও ইসলামিয়া কলেজ রয়েছে। যেহেতু স্কুল-কলেজে যাওয়া শিশুদের ফেরানো যাবে না এবং তাদের ফেরানো উচিতও হবে না, তাই তাদের জন্য দ্বিনি বিবেচনায় অনুকূল শিক্ষা দিতে হবে। আর অবশ্যই তাদের মানসম্পন্ন শিক্ষা দিতে হবে এবং জাতীয় পাঠ্যক্রম অনুসরণ করতে হবে, যেন সরকারি স্কুল-কলেজ থেকে শিক্ষার মান কম না হয়।
তৃতীয়ত, কর্ম জীবনে গিয়ে শিশুরা যেন প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখে না পড়ে, এমন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে বাধ্য না হয়—যারা দ্বিন পালনের সুযোগ দেবে না তাদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের চিন্তা করতে হবে। তাদের স্বাধীন প্রতিষ্ঠান গড়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে। সেটা যেকোনো ধরনের প্রতিষ্ঠান হতে পারে। যেমন তারা ব্যবসা করতে পারে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করতে পারে।
চতুর্থত, মা-বাবা ও অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। পরিবারে দ্বিন পালন, ইসলামী জ্ঞান ও সংস্কৃতির চর্চা করতে হবে। যেন শিশুর মন ও মস্তিষ্কে, চিন্তা ও চেতনায় ইসলামী জীবনধারার সঙ্গে মিশে যায়। ইসলাম পালনে তারা অভ্যস্ত হয়।
পঞ্চমত, জাতি হিসেবে মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে শিশুদের জানানো। ইসলামী সভ্যতার সোনালি অধ্যায়গুলো তাদের সামনে তুলে ধরা। যেন তারা ইতিহাস থেকে অনুপ্রাণিত এবং বর্তমান বিপর্যয়কর অবস্থার জন্য হীনম্মন্যতায় না ভোগে।
- হিলিতে ভুর্তুকি মূল্যে কৃষক পেল হারভেস্টার মেশিন
- হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
- লালমনিরহাট জেলা সমিতির নতুন কমিটি গঠন
- ‘দেশের সব মানুষকে সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আনা হবে’
- পীরগাছায় চাচাতো ভাইয়ের লাঠির আঘাতে যুবক নিহত
- বাজুস এখন শক্তিশালী সংগঠন
- পীরগঞ্জে আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে শাড়ি লুঙ্গি ও নগদ অর্থ বিতরণ
- বালিয়াডাঙ্গীতে গলায় ফাঁস যুবকের আত্নহত্যা
- টয়লেটের ট্যাংকে পড়ে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু, আহত বড় ভাই
- দিনাজপুরে নাশকতা মামলায় ছাত্রদল ও যুবদলের দুই নেতা কারাগারে
- হাফিজুল এখন পরিবারের বোঝা
- পীরগঞ্জে প্রতিজ্ঞা দিবস পালিত
- গঙ্গাচড়ায় বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
- নীলফামারীতে আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফ দিবস পালন
- ধূমপান বা তামাক স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর
- সত্যি কী আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা পাচ্ছেন শাকিব খান?
- হজের জন্য মাহরাম না পেলে নারীদের করণীয় কী?
- রাশিয়ার সাথে সম্ভাব্য সংঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে ন্যাটো : মস্কো
- অপসাংবাদিকতা মূল সাংবাদিকতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
- ট্রেন সুবিধায় আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল দক্ষিণবঙ্গ: রেলমন্ত্রী
- ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে আমরা পাপমুক্ত হয়েছি’
- ‘মৎস্যসম্পদ রক্ষার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে হবে’
- উপজেলা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে যে নির্দেশনা দিল ইসি
- টেনিস খেলাকে জনপ্রিয় করতে কাজ করা হচ্ছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- ট্রেন সার্ভিসের মাধ্যমে রাজধানীর চাপ কমে আসবে: চিফ হুইপ
- ‘উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারি’
- তীব্র গরমেও শীতল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
- চাই না মুক্তিযুদ্ধ চেতনাবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় আসুক
- ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৫ শতাংশ কার্বণ নিঃসরণ কমাতেই হবে
- খুলেছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
- ছেলেকে নিয়ে ঈদের নামাজে যাওয়া হলো না বাবার
- প্রথমবার সালমানের বিপরীতে কিয়ারা
- ঈদে সংবাদপত্রের ছুটি ঘোষণা আজ
- রাতে বেরিয়ে নিখোঁজ কিশোর, দুপুরে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- চিলমারীতে বৃষ্টির জন্য ৩য় দিন ইসতিসকার নামাজ আদায়
- হিলি সীমান্ত পরিদর্শনে সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীর প্রতিনিধি দল
- গাজার ক্ষুধার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ক্রিকেটার বিথী
- সুন্দরগঞ্জে আধুনিক পদ্ধতিতে করলা চাষে ব্যাপক সাফল্য
- আবারও তিনদিন বাংলাবান্ধার ইমিগ্রেশন ও বাণিজ্য বন্ধ ঘোষণা
- ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচকে নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান
- হিলিতে রচনা প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ রক্তিম
- বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড ৫ কূটনৈতিক দলিল সই
- সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা প্রয়োজন করা হবে: ইসি আলমগীর
- ব্যস্ততার পরিবর্তে অস্তিত্ব টেকানোর লড়াইয়ে মৃৎশিল্পীরা
- জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন গৃহীত
- দ্রুত শিক্ষকদের শূন্য পদ পূরণের সুপারিশ
- ভূরুঙ্গামারীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান মে দিবস পালিত
- মির্জা ফখরুলকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে: ওবায়দুল কাদের
- ঢাকায় ইসরায়েলের বিমান
- বদরগঞ্জে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা