• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

ধানমন্ডি ৩২ নম্বর থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

৭ মার্চের সেই জনসভার জন্য, বঙ্গবন্ধুর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (রেসকোর্স ময়দানে) পৌঁছানোর নির্ধারিত সময় ছিল বেলা ২টায়। বেলা ১১টার মধ্যেই রেসকোর্স পরিণত হয় জনসমুদ্রে।

বঙ্গবন্ধুর ফুপাতো ভাই মমিনুল হক খোকা সেদিনের স্মৃতিচারণ করে ‘অস্তরাগে স্মৃতি সমুজ্জ্বল, বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবার ও আমি’ নামে ২০০০ সালে একটি বই প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি জানান, সেদিন বঙ্গবন্ধুকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যে গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সেটি চালিয়েছিলেন তিনি নিজে।

এদিকে বঙ্গবন্ধুকে ৩২ নম্বর থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিয়ে যাওয়া এবং বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল তৎকালীন ছাত্রনেতা আব্দুর রাজ্জাকের ওপর। তখন তিনি আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর প্রধান। আর রেসকোর্সে মঞ্চের নিরাপত্তার অন্যতম দায়িত্বে ছিলেন স্বাধীনতাযুদ্ধে ঢাকা অঞ্চলের গেরিলা কমান্ডার কামরুল আলম খান খসরু (পরে ‘ওরা ১১ জন’ সিনেমার নায়ক)।

আব্দুর রাজ্জাক তার স্মৃতিচারণায় জানান, সকাল থেকেই তিনি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছিলেন। ঠিক হয় তিনটি গাড়ি এক সঙ্গে রেসকোর্সে যাবে। দুটি গাড়িতে থাকবে যাদের গোঁফ আছে এবং তাদের পরনে থাকবে পাঞ্জাবি। চুল থাকবে ব্যাক ব্রাশ করা। সামনের গাড়িতে ছাত্রনেতারা। ঠিক দুইটার সময় ৩২ নম্বরের বাড়ি থেকে বের হন বঙ্গবন্ধু। তবে ৩২ নম্বর থেকে এলিফ্যান্ট রোড, তৎকালীন পিজি হাসপাতালের পাশ দিয়ে রেসকোর্সে যাওয়ার কথা থাকলেও তাৎক্ষণিকভাবে তা বদলে ফেলা হয়। এরপর নিউমার্কেট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে হাইকোর্টের পাশ দিয়ে রেসকোর্স ময়দানে পৌঁছান তারা।

বঙ্গবন্ধুকে বাড়ি থেকে রেসকোর্সে নেওয়া এবং মঞ্চের নিরাপত্তা নিয়ে বর্ণনা পাওয়া যায় কামরুল আলম খান খসরুর লেখায়। তিনি জানান, ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে তিনটি দল গঠন করা হয়েছিল সেদিন। একটি দল বঙ্গবন্ধুকে বাসা থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিয়ে আসা-যাওয়া করার জন্য। ভাষণের সময় মঞ্চের নিচে থাকার জন্য একটি দল। মঞ্চের আশেপাশে সার্বক্ষণিক দৃষ্টি রাখার জন্য আরেকটি দল।

Place your advertisement here
Place your advertisement here