• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে পশু পরিচর্যায় ব্যস্ত খামারিরা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৫ জুন ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

 
আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় সামর্থ্যবান মুসলমানেরা ঈদ-উল-আজহায় পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন। ঈদে দেশীয় গরুর ব্যাপক চাহিদা থাকায় ঠাকুরগাঁওয়ে প্রান্তিক কৃষক ও ছোট খামারিরা গরু পালন করছেন। কিছুটা বাড়তি লাভের আশায় ঈদকে সামনে রেখে সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত গরুকে গোসল করানো খাবার দেওয়া নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রান্তিক খামারিরা। তবে ভালো দিক হলো ক্ষতিকর ইনজেকশন ও ট্যাবলেট ব্যবহার না করে দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করছেন খামারি ও কৃষক।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চন্ডিপুর, গড়েয়া মিলনপুর, সালান্দর, আখানগর ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।

প্রাণি সম্পদ বিভাগের তথ্য মতে, জেলার পাঁচটি উপজেলায় ৪ হাজার ৩ শত ১৭ জন পারিবারিক ও বাণিজ্যিকভাবে খামারে গবাদিপশু পালন করছে। আর এ থেকে ৬৯ হাজার পশু উৎপাদিত হবে যা চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত।

খামারি শামীম মিয়া বলেন, আমি বহুদিন যাবত খামার করে আসছি। এ বছর ভালো করে প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমার খামারে এখন দেশি গরু ১০-১১ টি রয়েছে। আমারা যারা ছোটখাটো খামারিরা তারা বেশি একটা লাভবান হতে পারি না, কারণ প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেশি। বেশি দাম দিয়ে খাবার কিনে খাওয়ালে বেশি একটা লাভবান হওয়া যাবে না। আমরা প্রাকৃতিক সব খাবার খাওয়াচ্ছি।

অনন্যা ফার্মের স্বত্বাধিকারী হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ বলেন, এখানে আমি তিনটি গরু নিয়েছি আজ থেকে চার মাস আগে মোটাতাজা করার জন্য। এক একটা গরু প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা করে কেনা। ঈদের আগে শেষ মুহূর্তে গরু মোটাতাজা করতেছি। ইন্ডিয়ান গরু না আসে তাহলে আমরা একটু লাভবান হতে পারব। সরকারের কাছে আবেদন ঈদের আগে যাতে ইন্ডিয়ান গরু বাংলাদেশে না ঢুকে তাহলে ছোটখাটো খামারিরা লাভবান হতে পারবো।

আরেক খামারের খামারি সোহেল মাহমুদ বলেন, এ এলাকায় বেশিরভাগ খামারি দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করছেন। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে ঘাস-খড়ের পাশাপাশি খৈলগুঁড়া ও ভুসি খাওয়ানো হচ্ছে। গোখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে গরুতে লাভ কিছুটা কমে গেছে। গতবার চারটি গরু বিক্রি করে প্রায় ৫০ হাজার টাকা লাভ হয়েছিল। এ বছর কোরবানি উপলক্ষে সাতটি গরু পালন করছি। আশা করি এবারও ভালো দাম পাব।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে ঠাকুরগাঁও জেলায় ৪ হাজার ৩১৭ জন পারিবারিক ও বাণিজ্যিকভাবে খামার পরিচালনা করছেন। এই খামার গুলোকে আমরা প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে ভ্যাকসিন এবং চিকিৎসা পরামর্শ দিয়ে থাকি।

Place your advertisement here
Place your advertisement here