সৈয়দপুরে বিজ্ঞানীদের গবেষণায় ফিরে এলো বিলুপ্তপ্রায় জারুয়া মাছ
– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ১০ এপ্রিল ২০২৩
Find us in facebook
নীলফামারীর সৈয়দপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ মত্স্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্বাদুপানি উপকেন্দ্র সৈয়দপুরের বিজ্ঞানীরা একের পর এক সফলতা অর্জন করে চলেছেন। গবেষণায় বিলুপ্তপ্রায় মাছের প্রজনন ও পোনা উত্পাদনে এই সাফল্য দেখিয়েছেন তারা। গুতুম, টেংরাসহ অন্যান্য বিলুপ্ত মাছের পোনা উত্পাদনের পর এবার জারুয়া মাছের কৃত্রিম প্রজনন ও পোনা উত্পাদনে সফলতা দেখিয়েছেন।
কেন্দ্রের একদল বিজ্ঞানী এই মাছটি রক্ষায় ২০১৮ সাল থেকে নিবিড়ভাবে গবেষণা শুরু করেন। অবশেষে সেই সফলতা আসে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। জারুয়া মাছের এ গবেষণা সফলতার ফলে ব্যক্তি মালিকাধীন ও সরকারি মত্স্য হ্যচারিসমূহে জারুয়া মাছের পোনা প্রাপ্তি সহজতর হবে বলে ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গেছে। কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আজহার আলীর নেতৃত্বে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মালিহা হোসেন, ইশতিয়াক হায়দার, শ্রীবাস কুমার সাহা, তাশরিফ মাহমুদ মিনহাজ এই গবেষণায় অংশ নেন।
জারুয়া মাছ মূলত :বাংলাদেশের মিঠাপানির একটি মাছ। মাছটির (বৈজ্ঞানিক নাম Chagunius chagunio)। দেশের উত্তর জনপদে মাছটি উত্তি নামে পরিচিত। মিঠাপানির জলাশয় বিশেষ করে পাথুরে তলদেশ ও অগভীর স্বচ্ছ নদীতে এদের আবাসস্থল হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। মাছটি সুস্বাদু, মানবদেহের জন্য উপকারী অণুপুষ্টি উপাদানসমৃদ্ধ এবং উত্তরাঞ্চলে খুবই জনপ্রিয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে একসময় মাছটির প্রাচুর্য ছিল। মাছটির উত্তর জনপদে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। কিন্তু জলাশয় দূষণ অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ, নদীতে বানা ও কারেন্ট জালের ব্যবহার এবং চৈত্র মাসে জলাশয় শুকিয়ে মাছ ধরা নানাবিধ কারণে বাসস্থান ও প্রজননক্ষেত্র বিনষ্ট হওয়ায় এ মাছের প্রাচুর্যও ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রজাতিটিকে বিপন্নের হাত থেকে রক্ষার লক্ষ্যে ইনস্টিটিউটের স্বাদুপানি উপকেন্দ্রের দীর্ঘ পাঁচ বছর গবেষণা চালিয়ে প্রথম বারের মতো কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে পোনা উত্পাদনের কলাকৌশল উদ্ভাবনে সফলতা লাভ করেছে।
ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গেছে, জারুয়া মাছের প্রধান প্রজননকাল জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত বিস্তৃত। প্রজনন মৌসুমের এক-দুই মাস আগেই নদনদী, বিল, হ্রদ ইত্যাদি থেকে সুস্থ-সবল ও রোগমুক্ত ১০০-১৫০ গ্রাম ওজনের জারুয়া মাছ সংগ্রহ করে পূর্ব প্রস্তুতকৃত পুকুরে শতাংশে ১৫০টির সঙ্গে দুটি কাতলা, দুটি সিলভার কার্প, তিনটি রুই এবং তিনটি রাজপুঁটি মজুত করে এক-দুই মাস প্রতিপালন করে প্রজনন উপযোগী ব্রড মাছ তৈরি করা যায়।
মজুতকৃত মাছগুলোকে প্রতিদিন দেহ ওজনের ৫-৩ শতাংশ হারে ৩০ শতাংশ প্রোটিনসমৃদ্ধ সম্পূরক খাবার সরবরাহ করতে হবে। নিয়মিত পানির গুণাগুণ যেমন তাপমাত্রা, পিএইচ, দ্রবীভূত অক্সিজেন, অ্যামোনিয়া ও মোট ক্ষারত্বের পরিমাণ পর্যবেক্ষণ করতে হবে। মজুতের পর থেকে প্রতি ১৫ দিন পরপর জাল টেনে মাছের দেহের বৃদ্ধি ও পরিপক্বতা পর্যবেক্ষণ করতে হবে। অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য পুকুরে এয়ারেটর ব্রড স্থাপন করা যেতে পারে।
একটি পরিপক্ব মা-মাছ থেকে বয়স ও ওজনভেদে প্রতি ১০০ গ্রাম দৈহিক ওজনের জন্য ১২ হাজার থেকে ২২ হাজার ১৭৫টি ডিম পাওয়া যায়। মাছটি প্রায় ৫০ সেমি এবং ২৫০-৩০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে তবে অঞ্চলভেদে ১৫০-২০০ গ্রাম থেকেই স্ত্রী মাছ প্রজননক্ষম হতে শুরু করে।
সিস্টার্নে স্থাপনকৃত হাপায় প্রয়োজনীয় অক্সিজেন নিশ্চিত করতে কৃত্রিম ঝরনা ব্যবহার করা হয়। প্রজননের জন্য জারুয়া মাছের স্ত্রী ও পুরুষ মাছকে কৃত্রিম হরমোন ওভোহোম দ্রবণ বক্ষ পাখনার নিচে ইনজেকশন হিসেবে প্রয়োগ করা হয়। জারুয়া মাছের কৃত্রিম প্রজননে একক মাত্রার হরমোন ইনজেকশন প্রতি কেজি পুরুষ মাছকে ০.৫ মি.লি. হারে এবং স্ত্রী মাছকে ২.০ মি.লি. হারে প্রয়োগ করা হয়।
হরমোন ইনজেকশন প্রয়োগের ১৮-২০ ঘণ্টা পর স্ত্রী মাছকে চাপ প্রয়োগ করে ডিম বের করা হয় এবং পুরুষ মাছের স্পার্ম বের করে ০ দশমিক ৯ শতাংশ লবণ পানির সঙ্গে মিশিয়ে দ্রবণ তৈরি করা হয়। উক্ত দ্রবণ ডিমের সঙ্গে মিশিয়ে পাখির পালক দিয়ে দুই-তিন মিনিট নাড়ানো হয় এবং ফ্রেশ পানি দিয়ে ধুয়ে ট্রেতে কৃত্রিম ঝরনায় স্থানান্তর করা হয়। ডিম ছাড়ার ৮০-১০৪ ঘণ্টা পর ডিম থেকে রেণু বের হয়। রেণু বের হওয়ার ৭২ ঘণ্টা পর থেকে রেণুকে খাবার দিতে হবে। রেণু পোনাকে সিদ্ধ ডিমের কুসুমের দ্রবণ দিনে ছয় ঘণ্টা পরপর চার বার দিতে হবে। হাপাতে রেণু পোনাকে এভাবে সপ্তাহব্যাপী রাখার পর নার্সারিতে স্থানান্তরের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ছোট পুকুর (১-৫ শতক) নার্সারি হিসাবে ব্যবহার করা যায় এবং সঠিক পরিচর্যায় ৫০-৬০ দিনের মধ্যে আঙুলি পোনায় পরিণত হয়।
কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আজহার আলী বলেন, ‘বিলুপ্তপ্রায় এই মাছটি খানসামার জয়গঞ্জ এলাকার আত্রাই নদী থেকে সংগ্রহ করা হয়। এরপর দীর্ঘ গবেষণার পর কৃত্রিম প্রজনন ও পোনা উত্পাদনে সফলতা আসে। আমরা প্রযুক্তি হেড অফিসে পাঠিয়েছি। সেখান থেকে মত্স্য বিভাগের মাধ্যমে চাষি পর্যায়ে যাবে জারুয়া মাছের কৃত্রিম প্রজনন ও পোনা উত্পাদনের কৌশল।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মত্স্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ জানান, দেশের মত্স্য উত্পাদনে দেশীয় ছোট মাছের অবদান ৩০-৩৫ শতাংশ। দেশীয় মাছের চাষাবাদ বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের মানুষ এর সুফল পাচ্ছে। জারুয়া মাছের কৃত্রিম প্রজননে সফলতা এর নতুন সংযোজন। মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বাংলাদেশ মত্স্য গবেষণা ইনস্টিটিউট গবেষণা কার্যক্রম সাম্প্রতিক কালে জোরদার করা হয়েছে এবং দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে গবেষণা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব দেশীয় মাছকে পুনরুদ্ধার করার জন্য স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।’
- গাজার ক্ষুধার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ক্রিকেটার বিথী
- ওকালতি পড়ে কৃষি উদ্যোক্তা
- চিলমারীতে পুকুরের পানিতে ডুবে প্রতিবন্ধী শিশুর মৃত্যু
- আদিতমারীতে গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা
- গঙ্গাচড়ায় সম্প্রীতির গ্রাম গঠনের লক্ষ্যে অবহিতকরণ সভা
- গঙ্গাচড়ায় আলু চাষীদের সাথে মতবিনিময় সভা
- রংপুর জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের নতুন কমিটির শপথ গ্রহণ
- বীরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- বদরগঞ্জে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা
- ঠাকুরগাঁওয়ে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা
- গাইবান্ধায় বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায়
- ফুলবাড়ীতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায়
- গাইবান্ধায় যুব উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগ নিয়ে মতবিনিময় সভা
- দিনাজপুরে বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায়
- রংপুরে ইসতিসকার নামাজ আদায়
- দ্বিতীয় সাক্ষাতেও গুজরাটকে হারাল দিল্লি
- খুন হওয়ার ভয়ে বাড়ি ছাড়লেন সালমান খান
- সব রোগ-ব্যাধি থেকে শেফা লাভের সূরা
- জিম্মি এক ইসরায়েলি-আমেরিকানের ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
- র্যাবের নতুন মুখপাত্র আরাফাত ইসলাম
- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন
- গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ
- মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- সব ডিসি-এসপির সঙ্গে ইসির বৈঠক আজ
- হিট অ্যালার্ট আরো তিনদিন বাড়লো
- বিআরটিএর অভিযানে ৪০৪ মামলায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা
- ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
- ‘সংস্কারের পাশাপাশি আগামী বাজেটে কর্মসংস্থানে নজর দেওয়া হবে’
- বুয়েটে জঙ্গি গোষ্ঠীর কার্যক্রম তদন্ত করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
- ছেলেকে নিয়ে ঈদের নামাজে যাওয়া হলো না বাবার
- ফুলবাড়ীতে পাঁচ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপি
- প্রথমবার সালমানের বিপরীতে কিয়ারা
- ঈদে সংবাদপত্রের ছুটি ঘোষণা আজ
- রাতে বেরিয়ে নিখোঁজ কিশোর, দুপুরে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- দুপুরের মধ্যে ৮০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে ঝড়
- হিলি সীমান্ত পরিদর্শনে সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীর প্রতিনিধি দল
- শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের মূল কারিগর
- ভারতবিরোধী স্লোগানের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা লুকিয়ে আছে
- সুন্দরগঞ্জে আধুনিক পদ্ধতিতে করলা চাষে ব্যাপক সাফল্য
- আজ থেকে ট্রেনের ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু
- আবারও তিনদিন বাংলাবান্ধার ইমিগ্রেশন ও বাণিজ্য বন্ধ ঘোষণা
- শরীরে মেদ জমেছে নাকি পানি, বুঝবেন যেসব লক্ষণে
- ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচকে নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান
- পুলিশের আজান, কেরাত ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
- ব্যস্ততার পরিবর্তে অস্তিত্ব টেকানোর লড়াইয়ে মৃৎশিল্পীরা
- দ্রুত শিক্ষকদের শূন্য পদ পূরণের সুপারিশ
- ইউটিউবে আসছে এআই নির্ভর ৩ ফিচার