• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

‘পোড়া চা’ বেচে ফয়জারের মাসে আয় ২০ হাজার

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

নাম ‘পোড়া চা’। বিশেষ প্রক্রিয়ায় মাটির কাপ পুড়িয়ে তাতে দুধ চিনি মিশিয়ে এ চা তৈরি হয়। চায়ের স্বাদ নিতে দোকানে ভিড় করছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

বিশেষ ধরেন এ চা পাওয়া যাচ্ছে গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম মধ্য রাধাকৃষ্ণপুরে। যা জেলা শহর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। গাইবান্ধার পুরোনো জেলখানা মোড়ে অটোরিকশায় যেতে হয় এ রাধাকৃষ্ণপুরে। শহর পেরিয়ে একটুখানি এগোলেই তিন কোনা মোড়ে কাঙ্ক্ষিত চায়ের দোকান।

চা দোকানি ফয়জার রহমানের (৫৫) বাড়ি ওই গ্রামে। নিজস্ব দক্ষতা কাজে লাগিয়ে ফয়জার ব্যবসায় সফলতা এনেছেন। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দোকানটিতে থাকে উপচেপড়া ভিড়। প্রতি কাপ পোড়া চা ১০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি করেন। প্রতিদিন ৭০০-৮০০ কাপ চা বিক্রি হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দোকানের ভেতরে এক পাশে মাটির তৈরি কাপ আগুন দিয়ে পোড়ানো হচ্ছে। আরেক পাশে একটি থালার ওপর সারিবদ্ধভাবে সেই পোড়া কাপ রাখা। অন্যদিকে চুলায় রাখা পাতিলে দুধ, চা পাতা আর চিনি দিয়ে তৈরি হচ্ছে চা। সেই চা আগুনে পোড়া কাপে ঢেলে ক্রেতাদের দিচ্ছেন। দোকানের বাইরে বসানো টঙে চা পান করছেন বিভিন্ন বয়সের মানুষ। দীর্ঘ সময় দুধ জ্বাল দেওয়ায় এবং মাটির কাপটি গরম থাকায় চায়ের ভিন্ন স্বাদ তৈরি হচ্ছে।

স্থানীয়রা বলেন, ফয়জারের এ পোড়া চা খেতে দূরদুরান্ত থেকে লোকজন আসছে। এর আগে গ্রামে বাইরের লোকজন খুব কমই আসতো কিন্তু এখন বিকেল হলেই এলাকার লোকজনের সমাগম বেড়ে যায়। ফয়জারের পোড়া চা এলাকার সুনাম বয়ে এনেছে।

ফয়জার রহমানের পোড়া চা পান করতে আসা গাইবান্ধা শহরের প্রফেসর কলোনী এলাকার স্কুলশিক্ষক মামুন মিয়া বলেন, ‘পোড়া চায়ের গল্প শুনে এখানে এসেছি। ব্যতিক্রমী এ চা অনেক সুস্বাদু। জীবনের প্রথম এ ধরনের চা খেলাম।’

ফুলছড়ি উপজেলার কালিরবাজার এলাকার গাইবান্ধা সরকারি কলেজের ছাত্র শাহরিয়ার হোসেন বলেন, ‘ফেসবুকে পোড়া চায়ের কথা শুনে ফয়জারের দোকানে এসেছি। ভিন্ন স্বাদের এ চা খেয়ে ভালো লেগেছে।’

চা দোকানি ফয়জার রহমান বলেন, ‘৩৭ বছর ধরে বিভিন্ন এলাকায় চায়ের দোকান করেই সংসার চালাচ্ছি। দেড় বছর আগে নিজের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে তৈরি করি বিশেষ পোড়া চা। প্রতিদিন দুই মণ পর্যন্ত দুধের চা বিক্রি হয়। তবে ছুটির দিন চায়ের চাহিদা বেড়ে যায়। মাসে ২০ হাজারের বেশি টাকা আয় হয়।’
#jagonews24.

Place your advertisement here
Place your advertisement here