• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। এখানকার ৯টি উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় প্লাবিত হয়ে পড়েছে নতুন নতুন এলাকা। 

বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে নিম্নাঞ্চল ও নদ-নদীর অববাহিকায় বসবাসকারী চরাঞ্চলের মানুষ। দুর্গম চরাঞ্চলের অনেক পরিবার নৌকা ও বাঁশের মাচানে আশ্রয় নিয়ে দিনাতিপাত করছে। আবার অনেকেই ঘর-বাড়ি ছেড়ে উঁচু সড়কে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। ছোট শিশু, বৃদ্ধ মানুষ ও গবাদী পশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে বন্যাকবলিত মানুষজন।
 
বসতবাড়ি পানিতে তলিয়ে থাকায় দেখা দিয়েছে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পনির সংকট। নিজেদের পাশাপাশি গবাদি পশুর খাদ্য সংকট নিয়েও বিপাকে পড়েছেন তারা। পানি বৃদ্ধি ফলে এসব চরাঞ্চলের অনেকেই তাদের গবাদি পশু নিয়ে উঁচু জায়গায় আশ্রয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর পারবতীপুরের জব্বার আলী বলেন, পানি বৃদ্ধির ফলে ঘরের ভেতর আর থাকার উপায় নেই। বর্তমানে নৌকায় অবস্থান করছি। ৩-৪দিন ধরে পানিতে বসবাস করছি। চুলা জ্বালাতে পারছি না। 

উলিপুর উপজেলার বেগমগন্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবলু মিয়া বলেন, আমার ইউনিয়নের মশালের চর ও পূর্বমশালেরসহ সবমিলে প্রায় ৫ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি। এরমধ্যে কিছু পরিবার ফকিরের চর আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিলেও আশ্রয় কেন্দ্রটিও ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। 

অন্যদিকে পানির স্রোতে নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে দুধকুমার নদীর তীর রক্ষা বাঁধের ১শ মিটার ভেঙে প্লাবিত হয়ে পড়েছে কয়েকটি গ্রাম।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন বলেন, পানি তোড়ে নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের ১০০ মিটার বাঁধ ভেঙে গেছে। আপাতত পানি সামান্য বৃদ্ধি পেলেও অনেকটাই স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। 

তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত যা পূর্বাভাস রয়েছে তাতে আগামী দুই দিন পর্যন্ত পানি সামান্য আপ-ডাউন করতে পারে। তারপর পানি নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম ডিসি মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, কুড়িগ্রামের ৯ উপজেলায় বন্যা কবলিতদের জন্য ২৯৫ মেট্রিক টন চাল, ১১ লাখ টাকা, শুকনো খাবার ১ হাজার প্যাকেট, ১৭ লাখ টাকার শিশু খাদ্য ও ১৯ লাখ টাকার গো-খাদ্য বরাদ্দ দেও য়া হয়েছে। 

এরমধ্যে রৌমারী, রাজিবপুর ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় ত্রাণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বাকি উপজেলাগুলোতেও দ্রুত শুরু হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here