• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

হাতীবান্ধায় একই চিতায় জ্বললেন স্বামী-স্ত্রী 

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১০ জানুয়ারি ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় পুলিশ হেফাজতে মারা যাওয়া স্বামীর চিতায় স্ত্রীকেও দাহ করা হয়েছে। শনিবার (৮ জানুয়ারি) ময়নাতদন্ত শেষে রাত ১১টার দিকে পুলিশের উপস্থিতিতে প্রথমে স্বামীর পরে স্ত্রীর মরদেহ দাহ করা হয়। তারা হলেন- হিমাংশু বর্মণ ও তার স্ত্রী সাবিত্রী রানী। হিমাংশু ওই এলাকার বিশ্বেশ্বর বর্মণের ছেলে।

স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার পূর্ব কাদমা গ্রামের একটি সড়কের পাশ থেকে সাবিত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেখান থেকে দুপুর ১২টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্বামী হিমাংশু বর্মণ ও তার কন্যা প্রিয়ংকাকে থানায় নেয় পুলিশ। পরে বিকেলে হিমাংশুকে পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশের দাবি, হিমাংশু থানার একটি কক্ষে গলায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের তার পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

তবে হিমাংশুর বাবা বিশ্বেশ্বর বর্মণের দাবি, পুলিশ তার ছেলের কাছে এক লাখ টাকা চেয়েছিল। সে টাকা দিতে না পারায় তাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে।

হিমাংশুর মেয়ে প্রিয়ংকা জানান, থানায় বাবার সঙ্গে একবারও দেখা করতে দেয়নি পুলিশ। এমনকি ওইদিন বিকেলে থানায় বাবা মারা গেলেও আমাকে জানানো হয়েছে অনেক রাতে। 

হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম বলেন, তার পরিবারের কাছে কোনো টাকা চাওয়া হয়নি। তিনি তার পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা বলেন, থানায় মৃত্যুর ঘটনায় তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদেরকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here