• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

বীরগঞ্জে জমাটবাঁধা সার নিয়ে বিপাকে সার ব্যবসায়ীরা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় বস্তার মধ্যে জমাট বেঁধে গেছে কৃষি কাজে ব্যবহূত ইউরিয়া সার। এসব কৃষকেরা না কেনায় বরাদ্দকৃত সার উত্তোলন এবং বিক্রয় নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ডিলার ও সার ব্যবসায়ীরা। জমাট বাঁধার কারণে সারের গুণগত মান নিয়ে কৃষকদের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হলেও সারের গুণগত মান সঠিক রয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি অফিস।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমে বীরগঞ্জ উপজেলায় ২৯ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর বিপরীতে উপজেলায় মোট ইউরিয়া সারের চাহিদা রয়েছে ৫ হাজার ৮২২ মেট্রিক টন। এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ২২ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উত্তোলন করা হয়েছে। উত্তোলনের অপেক্ষায় রয়েছে বরাদ্দের আরো ৩৬ হাজার বস্তা সার।

জমাট বাঁধা সারের গুণগত মান নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে নওগাঁও গ্রামের কৃষক মো. আনিছুর রহমান জানান, তিন বস্তা ইউরিয়া সার কিনেছেন প্রতি বস্তা ৮০০ টাকা দরে। বাড়িতে এনে বস্তা খুলে দেখতে পান সার জমাট বাঁধা। পরে বাড়িতে জমাট ভেঙে জমিতে দিতে হয়েছে। এতে খরচ বেশি পড়ে যায় এবং সময় বেশি লেগেছে। জমাট বাঁধার কারণে সারের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ায় সারের পরিমাণ বেশি দিতে হয়েছে। একই কথা জানিয়ে ভাদুরিয়া গ্রামের মো. মোস্তফা কামাল জানান, অনেক ছুটাছুটি করেও কোথাও স্বাভাবিক সার পাওয়া যাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে জমাট বাঁধা সার কিনতে হয়েছে। সারের বস্তা জমাট হয়ে এতটা শক্ত হয়েছে যে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জমাট ভাঙতে হয়েছে।

কৃষকদের অভিযোগ স্বীকার করে সার ব্যবসায়ী বীনা এন্টারপ্রাইজের মালিক গোবিন্দ আগরওয়ালা বলেন, সারের বস্তা জমাট হয়ে যাওয়ার কারণে কৃষকেরা সার না কিনে জমাট ছাড়া সারের সন্ধানে ছুটছেন। এতে বরাদ্দের বেশির ভাগ সারই পড়ে আছে। অন্যদিকে সরকারি বিক্রয় মূল্য বস্তাপ্রতি ৮০০ টাকা হলেও শুধু ক্রেতার অভাবে প্রতি বস্তা সার ৭৬০ টাকা দরে বিক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছি। ক্রেতার অভাবে বরাদ্দকৃত সব সার উত্তোলন করতে পারছি না।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবু রেজা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, জমাট বাঁধা সার ক্রয়ের ব্যাপারে কৃষকদের অনীহার বিষয়টি আমরা জেনেছি। সারের গুণগত মান নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। এ ব্যাপারে গত রবিবার জুট মিটিংয়ে জেলা কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। তারা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here