• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

কথা রাখলেন হরিপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৪ জুলাই ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

কথা রাখলেন ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ জিয়াউল হাসান মুকুল। কথা অনুযায়ী অসহায় শিশু মিজানের (১০) হারানো ভ্যানটি খুঁজে দিতে না পারলেও নতুন একটি ভ্যানগাড়ি উপহার দিয়েছেন তিনি।

গতকাল শুক্রবার (২৩ জুলাই) বিকেলে উপজেলার বেলুয়া হটাৎপাড়া গ্রামে শিশু মিজানের বাড়িতে গিয়ে ভ্যানগাড়িটি উপহার দেন অধ্যক্ষ জিয়াউল হাসান মুকুল। এতে করে দিশেহারা মিজানের মুখে আরও হাসি ফুটেছে।

বাবাকে হারানোর পর ছোটবোন ও মাকে নিয়ে ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাত মিজান। গত রোববার রাণীশংকৈল উপজেলা শহর থেকে তার সেই ভ্যানটি চুরি হয়ে যায়। এরপর কান্নায় ভেঙে পড়ে মিজান। ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায় তার কান্নার ছবি। 

তিন বছর আগে বাবাকে হারিয়ে ছোটবোন ও মায়ের দায়িত্ব এসে পড়ে ষষ্ঠশ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী মিজানের ওপর। কষ্টের সংসারে হাল ধরতে ৮ মাস আগে নানার দেওয়া টাকায় একটি ভ্যান কিনে চালাতে শুরু করে সে। গত রেবাবার তার সেই ভ্যানগাড়িটি চুরি হয়ে যায়। এতে কান্নায় ভেঙে পড়ে মিজান। এরই মাঝে তার কান্নার ছবি ভাইরাল হয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।

সেটি দেখে অবশেষে হরিপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ জিয়াউল হাসান মুকুল শিশুটির পরিবারকে একটি ভ্যানগাড়ি উপহার দেন। সেই সঙ্গে শিশু মিজানের মাকে বিধবা ভাতা ও আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর দেয়ার অঙ্গীকার করেন তিনি।

ভ্যানগাড়িটি দেয়ার সময় ২নং আমগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পাভেল তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোজাফ্ফর আহম্মেদ মানিক, আনোয়ার হোসেন, হরিপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

হরিপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ জিয়াউল হাসান মুকুল বলেন, শিশুটির বাবা নেই। তার মা, একটা ছোট বোন আর সে। সেই বাচ্চাটি ভ্যানগাড়ি চালিয়ে যা আয় করে তা দিয়ে তাদের সংসার চলে। যেদিন গাড়িটি চুরি হয়ে যায় সেদিন আমি তাদের বলেছিলাম যদি সেটি না পাওয়া যায় তাহলে আমি কিনে দেব। তাই গত শুক্রবার বিকেলে একটি নতুন ভ্যান কিনে দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, তার পরিবারের অবস্থা খুব একটা ভালোনা। যেহেতু মিজান একজন শিশু তার কাজ করা ঠিক নয়। তার পড়াশোনা করা প্রয়োজন। আমি তার পরিবারকে বলেছি যাতে করে তার পড়াশোনা চালানো হয়। সেটাতে যদি কোনো প্রয়োজন হয় তাহলে আমি করব। সেই সঙ্গে ভ্যানগাড়িটি ভাড়া দিয়ে যা আয় হবে তা দিয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছি।

Place your advertisement here
Place your advertisement here