• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

করতোয়া নদীর পাড়ে বেড়িবাঁধ চায় দেবীগঞ্জের মানুষ 

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৮ জুলাই ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

পঞ্চগড়ে করতোয়া নদীর ভাঙনে বর্ষা মৌসুমে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষরা। নদীর পানির প্রবল সে াতে বিলীন হয়েছে হাজার হাজার হেক্টর জমি। কৃষিজমি, কাঁচা রাস্তা, ৩ কিলোমিটার মাটির বাঁধ, গাছপালাসহ নানা স্থাপনা নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ায় করতোয়ার ভাঙন ঠেকাতে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি গ্রামের মানুষ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।

গতকাল শনিবার দুপুরে সোনাহার ডাঙ্গা এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। বর্ষা মৌসুমে প্রতি বছরই নদীভাঙনে ঘর-বাড়ি, স্থাপনা, ফসলি জমি ও পরিবেশ বিপর্যয় ঘটছে। বাড়ছে ভূমিহীন মানুষের সংখ্যাও। তাই নদীভাঙন রোধে দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছে মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা নদী তীরবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি গ্রামের মানুষ।

উজানের পানি ছাড়াও করতোয়ার বিভিন্ন স্থান থেকে বালু উত্তোলনে নদীভাঙনের সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে জনপ্রতিনিধিসহ এলাকাবাসী। ইতিমধ্যে হুমকির মধ্যে পড়েছে সোনাহার ইউনিয়নের টোপ কাচারীঘাট, গোপাল বৈরাগীর ঘাট, সলিমনগর, গাইবান্ধা গ্রাম, বসুরহাট মালচন্ডি পাড়া, মাঝিয়ালী গ্রামসহ কমপক্ষে ১২টি গ্রামের মধ্যে অবস্থিত ৪/৫টি সরকারি স্কুল, আশ্রয়ন প্রকল্প ছাড়াও হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি ও গাছপালা। জেলার সব নদ-নদীর ভাঙন রোধে স্থায়ী পদক্ষেপ চান ঝুঁকিতে থাকা জনপদের বাসিন্দারা। অপরদিকে ভাঙন ঠেকাতে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি গ্রামের মানুষ হুমাইর ডাঙ্গা এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।

নদী পাড়ের যতিন বলেন, ‘বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় ১০০ থেকে ১৫০ বিঘা মাটি নদীতে তলিয়ে গেছে। নদী ভাঙনে জমি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। নদীভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার আবেদন করছি।’

স্থানীয় আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ইতিমধ্যে নদীভাঙনে ১ হাজারেরও অধিক বিঘা জমি নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। এখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কয়েকটি আছে এগুলোও বিলুপ্তির পথে। দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিতু আক্তার বলেন, প্রত্যেকটি পয়েন্টে বালু উত্তোলন হচ্ছে। এই বালু উত্তোলনের কারণে নদীভাঙনের তীব্রতা আরো বেড়ে যাচ্ছে। আমাদের এখনি রুখে দাঁড়াতে হবে এবং এই নদীতে বাঁধ নির্মাণ করা অতি জরুরি হয়ে উঠেছে।

দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রত্যয় হাসান বলেন, নদীভাঙনের কারণে কয়েক হাজার বাড়ি, বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আরো কিছু বাড়ি ও জমি ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। তাই নদী ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here