পরিশ্রমী নারী, কৃষিতেও এগিয়ে
– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ৮ মার্চ ২০২১
Find us in facebook
এক সময় ঘরে বসেই অলস সময় কাটতো তাদের। দারিদ্রতা ছিল নিত্য সঙ্গী। নিজেদের প্রয়োজনেই ঘর থেকে বের হন তারা। বেছে নেন কষ্টের ক্ষেতমজুর পেশা। রোদ বৃষ্টি কিংবা প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় মানুষের কাজ করে জোটে তাদের দুমুঠো অন্ন, চলে সংসারের চাকা। আধুনিকায়নের যুগে কৃষি শ্রমিকের সংকট হলেও এখনো পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় নারী ক্ষেতমজুরদের।
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার খোঁচাবাড়ি গ্রাম। কিছু বসতবাড়ি আর গাছ-পালার ফাঁকে তাকালেই দেখা যায় দিগন্ত জুড়ে সবুজ ধানক্ষেত। এসব ক্ষেতে আগাছা তুলছেন কিছু নারী। পুরনো শাড়ির ওপর পুরনো শার্ট পরে ধান নিড়ানি দিচ্ছেন তারা।
দলবেঁধে কাজ করায় পানির খলখল শব্দ ভেসে আসছে। তারা পেশায় নারী ক্ষেতমজুর। বছরের পর বছর এভাবেই সব ধরনের কৃষি শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন। তাদের বেশির ভাগই হিন্দু ধর্মাবলম্বী।
জানা গেছে, এক সময় ঘরে বসেই অলস সময় কাটতো তাদের। মাথার ওপর দারিদ্রতা আর সংসারে অভাব অনটন ছিল নিত্য সঙ্গী। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জীবিকার তাগিদে স্বামীর সঙ্গে নিজেরাও ক্ষেতমজুর পেশা বেছে নেন। ধানের চারা রোপণ, আগাছা পরিষ্কার, ধান কাটা-মাড়াইসহ সব ধরনের কৃষি কাজ করেন পঞ্চগড়ের এই নারী কৃষি শ্রমিকরা।
স্থানীয় ভাষায় তারা ক্ষেতমজুর হিসেবে পরিচিত। রোজ সকালে রান্নাবান্না সেরে সন্তানদের খাইয়ে দলবেঁধে কাজে বেরিয়ে পড়েন তারা। ১০ থেকে ১২ জনের প্রতিটি দলে নারী শ্রমিকদের সঙ্গে থাকেন দু-একজন পুরুষ শ্রমিকও। পুরনো শাড়ির ওপর পরে নেন পুরনো শার্ট। এরপর সূর্যাস্ত পর্যন্ত চলে শ্রম বিনিময়। বৃষ্টিতে ভিজে আর রোদে পুড়ে শ্রম দিয়ে চলে তাদের সংসারের চাকা। স্বামীর পাশাপাশি তারাও এখন উপার্জন করে সংসারের হাল ধরেছেন। মানুষের জমিতে মজুর খেটে দৈনিক আয় হয় ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। সেই টাকায় সংসারের খরচ মিটিয়ে শোধ করছেন ঋণ, চালিয়ে যাচ্ছেন সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ।
আধুনিকায়নের এ যুগে কৃষি শ্রমিকদের সংখ্যা কমে এলেও এখানকার নারীরা বছরের পর বছর ধরে রেখেছেন কষ্টসাধ্য এ পেশা। শুধু এই গ্রামেই নয়, পঞ্চগড়ে বিভিন্ন এলাকায় দেখা মিলবে নারী ক্ষেতমজুরদের। তারা এখন আর সমাজের বোঝা নয়, সমাজের সফল শ্রমজীবী মানুষ। তাই তাদের মনে কোনো কষ্ট নেই, আছে গর্ব করে বলার মতো সাহস।
দেবীগঞ্জ উপজেলার খোঁচাবাড়ি এলাকার নারী ক্ষেতমজুর প্রমিলা রাণী বলেন, আমি ২০ বছর ধরে ক্ষেতমজুর হিসেবে কাজ করছি। শুরুতে মানুষজন নানা কথা বলতেন। কিন্তু এখন আর কিছু বলেন না। আমরা মজুর দিয়ে দৈনিক ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পাই। সেই টাকা আমাদের সংসারের কাজে লাগে। গরু ছাগল কিনে পুষি। ঘর সংসার সামলে আমরা এভাবেই বছরের পর বছর এই পেশা ধরে রেখেছি।
গীতা রাণী নামে আরেক নারী ক্ষেতমজুর বলেন, অভাবী সংসার তাই এই কষ্টসাধ্য পেশা বেছে নিতে বাধ্য হয়েছি। যতদিন মাঠে ফসল থাকে আমাদের কাজ ততদিন থাকে। ধানের চারা রোপণ, নিড়ানি দেয়া ও কাটা-মাড়াই, বাদাম, আলু, পাট, গম, ভুট্টাসহ সব ধরনের কৃষি কাজ করি। স্বামীর পাশাপাশি আমরা এই কাজ করে সংসারটা সুন্দরভাবে চালাচ্ছি। ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া করাচ্ছি। এনজিও থেকে নেয়া ঋণ শোধ করছি। কষ্ট হলেও পরিবারের জন্য কিছু করতে পারছি এটাই আনন্দের।
তার মতো মিনিবালা নামের আরেক নারী শ্রমিক বলেন, আমরা রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে কৃষকের ফসলের পরিচর্যাসহ মাড়াইয়ের কাজ করি। দারিদ্রতা আর ভাগ্য আমাদের এই পেশায় নিয়ে এসেছে। দলবেঁধে গল্প গুজব করে কাজ করি। রোজ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শ্রম দিয়ে আবার রাতে রান্নাবাড়া করে খেয়ে ঘুমাই। আমাদের কথা কেউ বলে না। সবাই ছোট করে দেখে। সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা আমাদের ভাগ্যে মেলে না।
সুরেশ চন্দ্র রায় নামে এক শ্রমিক বলেন, আমাদের দলে ১০-১২ জন নারী দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। তাদের নিয়ে আমরা বিভিন্ন কৃষকের কাজ চুক্তিতে করে থাকি। তারা এখন আর সমাজের বোঝা নয় কাজ করে খান।
কৃষি উদ্যোক্তা রবিউল ইসলাম মানিক বলেন, বিশ বছর আগে এই এলাকায় এসেছিলাম। তখন এ এলাকার মানুষরা চরম অভাবে দিন পার করতেন। কিন্তু সেই চিত্র বদলে গেছে। স্বামীর পাশাপাশি নারীরাও বিভিন্ন কৃষি খামারসহ মজুর হিসেবে কাজ করে সংসারের হাল ধরেছেন। তাদের আর আগের মতো অভাব নেই।
পরস্পর এনজিওর নির্বাহী পরিচালক ও পঞ্চগড় জেলা পরিষদের সদস্য আখতারুন্নাহার সাকী বলেন, নারীরা তাদের প্রয়োজনেই ঘর থেকে বের হয়েছেন। তারা মাঠে কাজ করে উপার্জন করছেন। আমাদের এলাকায় তেমন শিল্প কারখানা না থাকায় কৃষি শ্রমিকের কষ্টসাধ্য পেশা বেছে নিয়েছেন। ঘর সংসার সামলেও দৈনিক মজুরবৃত্তি করছেন। তারা আমাদের গর্ব।
- রৌমারীতে মুক্তিযোদ্ধাকে হুমকি ও জীবনাশের অভিযোগে মানববন্ধন
- `জগবন্ধু ঠাকুরবাড়ি` ব্রিটিশ স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন
- আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ২ কর্মীকে জরিমানা
- হাবিপ্রবিতে কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন
- ফুলবাড়ীতে শিক্ষার্থীদের শরবত বিতরণ
- তেঁতুলিয়ায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উদযাপন
- সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব
- হাকিমপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুই
- হাতীবান্ধায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নতুন কমিটি ঘোষণা
- গঙ্গাচড়ায় মাদ্রাসার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন উদ্বোধন করলেন এমপি
- বিশাল কারখানায় নেই ফ্যান-এসি
- হেলিকপ্টারে করে বউ আনলেন পোশাকশ্রমিক
- গোবিন্দগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবক নিহত, আটক ২
- চিলমারীতে প্রিজাইডিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ
- পীরগঞ্জে মাদকসহ গ্রেফতার ২
- গ্রীষ্মকালে শীতল ত্বক : শসার মাস্ক
- মুসলিম উম্মাহর একাত্মতা ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারে
- বাংলাদেশ-গাম্বিয়া জয়েন্ট বিজনেস টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব
- ডর্টমুন্ডের সঙ্গে এক যুগের সম্পর্ক ছিন্ন করছেন এই ফুটবলার
- ব্যাভিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে পুরস্কার পেলেন ‘অভাগী’ মিথিলা
- হজের ক্ষেত্রে শয়তান যেসব ওয়াসওয়াসা দেয়
- মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলার পরিকল্পনা ভেস্তে দিলো কুয়েত
- যেসব জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার বন্ধ থাকবে
- আমাদের কাছে সব প্রার্থী সমান: ইসি রাশেদা
- খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণের আহ্বান প্রধান বিচারপতির
- রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি চায় বাংলাদেশ-গাম্বিয়া
- সাত জেলায় দুপুরের মধ্যেই ঝড়-বৃষ্টির আভাস, নদীবন্দরে সতর্কতা
- ‘নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে’
- বাংলাদেশ-ভারত আজ একই লক্ষ্যে এগোচ্ছে: সেলিম মাহমুদ
- ওরাল ক্যান্সার সম্পর্কে নাগরিকদের সচেতন হতে হব- প্রতিমন্ত্রী রিমি
- ছেলেকে নিয়ে ঈদের নামাজে যাওয়া হলো না বাবার
- প্রথমবার সালমানের বিপরীতে কিয়ারা
- ঈদে সংবাদপত্রের ছুটি ঘোষণা আজ
- রাতে বেরিয়ে নিখোঁজ কিশোর, দুপুরে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- চিলমারীতে বৃষ্টির জন্য ৩য় দিন ইসতিসকার নামাজ আদায়
- হিলি সীমান্ত পরিদর্শনে সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীর প্রতিনিধি দল
- গাজার ক্ষুধার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ক্রিকেটার বিথী
- সুন্দরগঞ্জে আধুনিক পদ্ধতিতে করলা চাষে ব্যাপক সাফল্য
- আবারও তিনদিন বাংলাবান্ধার ইমিগ্রেশন ও বাণিজ্য বন্ধ ঘোষণা
- ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচকে নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান
- হিলিতে রচনা প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ রক্তিম
- বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড ৫ কূটনৈতিক দলিল সই
- সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা প্রয়োজন করা হবে: ইসি আলমগীর
- ব্যস্ততার পরিবর্তে অস্তিত্ব টেকানোর লড়াইয়ে মৃৎশিল্পীরা
- জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন গৃহীত
- দ্রুত শিক্ষকদের শূন্য পদ পূরণের সুপারিশ
- ভূরুঙ্গামারীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান মে দিবস পালিত
- মির্জা ফখরুলকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে: ওবায়দুল কাদের
- ঢাকায় ইসরায়েলের বিমান
- বদরগঞ্জে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা