• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

হাঁসের ঝাঁকে হাসি ফুটেছে লিটনের

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৭ নভেম্বর ২০১৯  

Find us in facebook

Find us in facebook

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় রয়েছে পাটানোছার বিল। এ বিলের উন্মুক্ত জলাশয়ে ঘুরে বেড়ায় ঝাঁকে ঝাঁকে হাঁস। আর এই হাঁসই লিটন মিয়া নামে এক যুবকের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। তরুণ এই উদ্যোক্তা লিটন মিয়া সাদুল্লাপুর উপজেলার বুজরুক পাটানোছা গ্রামের গনি মিয়ার ছেলে।

জানা যায়, প্রায় একযুগ আগে অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে দিন কাটাতেন লিটন মিয়া। সে সময় সিরাজগঞ্জ জেলায় একটি হাঁসের খামারে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে যান। এক বছর কাজ করে এলাকায় ফিরে আসেন তিনি।

এরপর গরু বিক্রি করে ৮ হাজার টাকা দিয়ে হাঁস পালনের কাজ শুরু করেন। প্রথমে সিরাজগঞ্জ থেকে ২০ টাকা দরে ২০০ পিস হাঁস ক্রয় করেন। ধীরে ধীরে বাচ্চাগুলো বড় হয়ে তিন মাস পরই ডিম দেয়া শুরু করে। এভাবে এক বছরে ৬০ হাজার টাকার ডিম ও হাঁস বিক্রি করেন। এতে তার মোট খরচ হয়েছিল ২০ হাজার টাকা। বর্তমানে তার খামারে রয়েছে ১ হাজার ৫০০টি হাঁস। প্রতি মাসে ডিম বিক্রি করে আয় করেন ৩০ হাজার টাকা।

লিটন মিয়া জানান, সকাল হলে হাঁসগুলো বিলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সারাদিন বিলের পানিতে থেকে বিভিন্ন ধরনের শামুক, কেঁচো, শাপলা, সবুজ শেওলা খায় হাঁসগুলো। সন্ধ্যার পর হাঁসগুলো একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। আর সঙ্গে কিছু খাবার দেয়া হয়।

সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. সিদ্দিকুর রহমান জানান, ভাসমান পদ্ধতিতে হাঁস পালনে খরচ অনেকটাই কম হয়। লাভ তুলনামূলক অনেক বেশি।

Place your advertisement here
Place your advertisement here