একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক
– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ১৪ এপ্রিল ২০২২

Find us in facebook
নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলার সংযোগস্থলে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ। এ ব্যারেজ রক্ষার্থে বাম তীরে লালমনিরহাট অংশে নির্মাণ করা হয় ফ্লাড বাইপাস সড়ক। যা লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা থেকে ডিমলা হয়ে নীলফামারী যাতায়াতের একমাত্র সড়ক। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কজুড়ে এখন শুধু কাদামাটি।
জানা গেছে, ভারতের সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার পর নীলফামারীর ডিমলা খড়িবাড়ী সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে তিস্তা নদী। যা লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কুড়িগ্রামের চিলমারী বন্দর হয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের সঙ্গে মিশে যায়। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৩১৫ কিলোমিটার হলেও বাংলাদেশ অংশে রয়েছে প্রায় ১১৫ কিলোমিটার।
২০২১ সালের ২০ অক্টোবর হঠাৎ তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বেড়ে যায়। ওই দিন তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্প রক্ষায় নির্মিত সড়কের (ফ্লাড বাইপাস) ৩০০ মিটারের মতো অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ কারণে বন্ধ হয়ে যায় লালমনিরহাটের সঙ্গে নীলফামারীর সড়ক যোগাযোগ। পরে জরুরি বরাদ্দ নিয়ে প্রায় ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটির সংস্কার করে পাউবো।
কিছুদিন না যেতেই সড়কটি আবারো এবড়োথেবড়ো হয়ে যায়। এরপর বাইপাস সড়কটি আর সংস্কার করা হয়নি। সড়কটিতে বালু ও মাটি ভরাটের কারণে শুষ্ক মৌসুমে থাকে ধুলোবালি আর বৃষ্টিতে কাদায় ভরে যায়। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যমতে, তিস্তা ব্যারেজ বাংলাদেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প। ১৫শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প নির্মাণ করা হয়। উত্তর জনপদের বৃহত্তর রংপুর, দিনাজপুর ও বগুড়া জেলার অনাবাদি জমিতে সেচ সুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে বাড়তি ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে ১৯৩৭ সালে ব্রিটিশ সরকার তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। মূল পরিকল্পনা গৃহীত হয় পাকিস্তান আমলে ১৯৫৩ সালে। ১৯৫৭ সালে প্রকল্পের কাজ শুরুর উদ্যোগ নেয়া হলেও বিভিন্ন জটিলতার কারণে তা সম্ভব হয়নি।
পরবর্তীতে ১৯৭৯ সালে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার গড্ডিমারী ইউনিয়নের দোয়ানী ও নীলফামারীর ডিমলার খালিসা চাপানী ইউনিয়নের ডালিয়ার মধ্যবর্তী স্থানে তিস্তা নদীর ওপর ৪৪টি রেডিয়াল গেট সম্বলিত ৬১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের ব্যারেজটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। ১৯৯১ সালে মূল ব্যারেজের নির্মাণকাজ শেষ হলেও ক্যানেলসহ অন্যান্য কাজ শেষ হয় ১৯৯৮ সালের জুন মাসে। ওই সময় রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের পাগলাপীর থেকে লালমনিরহাট-বুড়িমারী স্থলবন্দর মহাসড়কের বড়খাতা এলাকা পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটারের সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে পাউবো।
২০০১ সালে তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের ওপর দিয়ে সংযোগ সড়কটি চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হলে সে সময় ভারী যানবাহনের কাছ থেকে টোল আদায় করা হতো। এ সংযোগ সড়কের ফলে বিভিন্ন জেলার দূরত্ব ও সময় অনেকটা কমে আসে। লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরসহ এ অঞ্চলের ব্যবসা বাণিজ্যের ব্যাপক বিপ্লব ঘটে। তবে ব্যারেজ প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় ২০১৪ সালের ২৫ নভেম্বর ওই সড়ক দিয়ে অধিক ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়ে হালকা যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারের চরম অবহেলা ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের সঠিক তদারকি না থাকায় সড়কটির বেহাল অবস্থা। একটু বৃষ্টি হলেই সড়কের গর্তগুলোতে পানি জমে বেহাল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন যাত্রী ও চালকরা। শুধু তাই নয়, রোগী পরিবহন ও জরুরি কোনো প্রয়োজনে দ্রুত যাতায়াত করা যায় না এ সড়ক দিয়ে। সড়কটি দ্রুত সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন পরিবহনের চালক ও যাত্রীরা।
কথা হয় তিস্তা ব্যারেজ এলাকার বাবুল হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলে কাদার জন্য চলাচলই করা যায় না। গাড়ির চাকা আটকে যায় কিংবা পিছলে পড়ে উল্টে যায়। আবার বৃষ্টি না হলে ধুলার জন্য চলাচল করা দুষ্কর হয়ে পড়ে।
এই সড়কে নিয়মিত ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালান শাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, একটু বৃষ্টির কারণে রাস্তার যে অবস্থা, এখানকার মানুষ অনেক কষ্ট করছে। সরকারের কাছে বিনীত আবেদন, অন্তত কিছু ভাঙা ইটের খোয়া যদি এ রাস্তায় ফেলা যেতো, তাহলেও গাড়িগুলো কোনোরকমে চলতো, মানুষের এত দুর্ভোগ হতো না।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ফ্লাড বাইপাস সড়ক সংস্কারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে সড়কটি চলাচলের উপযোগী করা হবে। বন্যার আগেই সড়কটি সংস্কারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
- করোনা আপডেট: গত ২৪ ঘন্টায় দেশে আরো ২৩ জনের শনাক্ত, মৃত্যু নেই
- ‘গুপ্তধন পেতে জিনের বাদশাহকে ৮ লাখ টাকা দিয়েছি’
- লিচুকে ঘিরে দিনাজপুরে দৈনিক ১০ কোটি টাকার লেনদেন
- নীলফামারীতে দুস্থ ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ
- মরণোত্তর দ্যাগ হ্যামারশোল্ড মেডেল পেলেন ২ বাংলাদেশি
- আগামীকাল দেশে আসছে গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ
- ‘ভারত থেকে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের পুশব্যাক করা হবে’
- সারা দেশে বাড়বে ঝড়-বৃষ্টি, থাকবে আরো পাঁচ দিন
- ‘খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে অর্থনীতিকে গতিশীল রেখেছে সরকার’
- নির্মাণ হচ্ছে অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু
- ‘বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় কবির জীবনাদর্শ একই দর্শনের ধারাবাহিক রূপ’
- মিথ্যাচারের মামলায় বড় অঙ্কের জরিমানা দেবে টুইটার
- ক্ষমতায় যেতে উন্মত্ত হলেও নির্বাচনে অনীহা বিএনপির
- ফাইনালে রিয়ালের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে চায় লিভারপুল
- তাহসান-তিশার ভক্তদের জন্য সুখবর, আন্তরিকতার কমতি নেই দু’জনের
- একজন মুসলিম কখন নামাজ বর্জনকারী হিসেবে গণ্য হবে
- সাহিত্য-সংস্কৃতি ও মেধায় বাঙালি অনেক এগিয়ে: তথ্যমন্ত্রী
- সেভেরোদনেৎস্কে রুশ হামলায় নিহত ১৫০০
- দেশের রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধু পরিবার এক বিরল দৃষ্টান্ত: কাদের
- পর্যটন প্রসারে প্রচারণায় বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে: মাহবুব
- দেশের ভালো হোক বিএনপি কখনোই চায় না: আইনমন্ত্রী
- সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমেই বাংলাদেশকে থ্যালাসেমিয়া মুক্ত করা সম্ভব
- সনাতন কৃষি আধুনিকে রূপান্তরিত হচ্ছে: কৃষিমন্ত্রী
- যুব উন্নয়নে দাতাগোষ্ঠীর সঙ্গে একযোগে কাজ করছে সরকার
- কত ডলার সঙ্গে নিতে পারবেন হজযাত্রীরা
- শেষ হলো ৪৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা
- হাবিপ্রবিতে শিক্ষকদের জন্য দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- ৫ লাখ ডলার পাচ্ছে ইউক্রেনে নিহত হাদিসুরের পরিবার
- ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ম্যানিপুলেট করা অসম্ভব: ড. জাফর ইকবাল
- বাংলাদেশে কম্বাইন হারভেস্টার তৈরি করবে জাপানি প্রতিষ্ঠান
- নবাবগঞ্জে বাঁশ কাটতে গিয়ে প্রাণ গেলো যুবকের
- সাঘাটায় ট্রাফিক আইন ও যাত্রী সেবার মান উন্নয়নে ওয়ার্কশপ
- নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ চায় আওয়ামী লীগ: ড. হাছান মাহমুদ
- ঝড়ে গাছ উপড়ে রেললাইনের উপর
- প্রতিষ্ঠার পর কখনো জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করেনি বিএনপি
- চাচার ট্রাক্টরের নিচে পড়ে প্রাণ গেলো ভাতিজার
- নীলফামারীতে জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগীতা শুরু
- ১৩০ নেতার তালিকা প্রধানমন্ত্রীর হাতে
- রংপুরে বাবা-মাকে বাড়ি থেকে বের করে দিলো ছেলে
- ‘হাসিনা: আ ডটার’স টেল’ দেখতে নাইজেরিয়ায় উপচে পড়া ভিড়
- কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে নেমে শিশু নিখোঁজ
- বাসি খাবার ফেলে না দিয়ে তৈরি করুন নতুন কিছু সুস্বাদু পদ
- নতুন সড়ক নয়, সংস্কারে জোর দেওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- টিকটক করতে গিয়ে নদীতে ঝাঁপ কিশোরের, ভেসে ওঠল লাশ
- ২০২৫ সালে ফিস্টুলা মুক্ত হবে রংপুর: বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক
- `ভ্যাকসিনেশনে আমেরিকার চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ`
- হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় বাড়লো
- বাহাদুরাবাদ-বালাসী রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ
- ‘আর মারিস না বাবা, আমি তোর মা’, তবু মন গলেনি ব্যাংকার ছেলের
- কুড়িগ্রামে এক গুচ্ছগ্রামে থাকছে দুই জেলার মানুষ