• মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৬ ১৪৩১

  • || ০৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

গাইবান্ধায় দুই দফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬৪৩৬ হেক্টর জমির ফসল

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২ আগস্ট ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

গাইবান্ধায় দুই দফা বন্যায় ছয় হাজার ৪৩৬ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৬৮ হাজার ৮০০ কৃষক। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কোথাও কোথাও আমন রোপণ করছেন কৃষকরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, বন্যায় অন্তত ৭৬ কোটি টাকার ফসল ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কৃষকদের নানা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া, চন্ডিপুর, বেলকা হরিপুর ইউনিয়ন, সদর উপজেলার গিদারি, মোল্লারচর, কামারজানি ইউনিয়ন, ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর, এড়েন্ডাবাড়ি ও সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের পাট, তিল, আউশ, ভুট্টা, চিনাবাদাম, আউশ, রোপা ধানের বীজতলা, কলা ও শাক-সবজি বন্যার পানিতে দীর্ঘদিন তলিয়ে থাকায় নষ্ট হয়ে গেছে। কিছু জমিতে ক্ষত নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে পাট গাছ।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া চরের মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, তিন বিঘা জমিতে তিল লাগিয়ে ছিলাম। দুই দফায় বন্যায় নষ্ট হয়ে গেছে। কিছুদিন আগে জমি ভর্তি পানির মধ্য থেকে নৌকায় করে সামান্য পরিমাণ আনা সম্ভব হয়েছিল।

আরেক কৃষক বেলাল মিয়া বলেন, হামরা চরে মানুষ। হামারে কপাল খারাপ। শস্য লাগিয়ে ভোগ করতে পারি না। এ দুঃখ কাকে বলল?

ফুলছড়ি এরেন্ডাবাড়ির সন্ন্যাসী চরের কৃষক আবুল হাসনাত বলেন, বন্যায় মরিচ, আমান ধানের বীজতলাসহ শাক-সবজি বানের জলে তলিয়ে গেছে। দীর্ঘদিন পানি থাকার কোনো ফসলই আর টিকে নাই। এবার অনেক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।

সদর উপজেলার চর খামারজানির কৃষক রেজাউল করিম বলেন, বন্যায় সব ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। শুধু সামান্য পাটগাছ টিকে আছে। পাটে যেটুকু পর্যন্ত বন্যার পানিতে তলে ছিল, সেটুকু পচে গেছে। আঁশ হবে না।

এ বিষয়ে গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. খোরশেদ আলম বলেন, এ মুহূর্তে কৃষকদের কোনো প্রণোদনা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বন্যার পানি থেকে যেসব ফসল জেগে উঠছে সেগুলোতে পটাশ মিশিয়ে পানি স্প্রে করাসহ বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিচ্ছি।

Place your advertisement here
Place your advertisement here