• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

তারেকের মনোনয়ন বাণিজ্যের মৌসুম ‘নির্বাচন’!

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

বিএনপির সব নীতি-নির্ধারণ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের একক অধিকার এখন লন্ডনে পলাতক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতে। তার সিদ্ধান্তই বিএনপির শেষ কথা। 

পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র পরামর্শে ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দেন তারেক। ঐ নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবি হলেও ব্যাপকভাবে লাভবান হয়েছেন তারেক। তিনি সেই নির্বাচনে বিপুল পরিমাণ মনোনয়ন বাণিজ্য করেছেন বলে বিএনপির নেতারা প্রকাশ্যেই বলেন। যার পরিমাণ ১৫শ’ কোটি টাকারও বেশি। অনেক গুরুত্বপূর্ণ আসনে তিন-চারজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেবেন বলে সবার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ছেন তারেক।

বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই বলেন, ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকারও বেশি মনোনয়ন বাণিজ্য করেছেন তারেক রহমান। আবার নির্বাচন আসছে। আর এ কারণেই বিএনপির নেতাদের মাঝে জেগেছে শঙ্কা। কেননা, নির্বাচন মানেই তারেক রহমানের কাছে মনোনয়ন বাণিজ্যের মৌসুম। এই সুযোগ তারেক কখনোই হাতছাড়া করবেন না। তারেক ভালো করেই জানেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা বা না করায় সংগঠন হিসেবে বিএনপির কিছু যায় আসে না। কারণ নির্বাচনে জয়ের মতো শক্ত অবস্থানে নেই বিএনপি। আবার নির্বাচন বর্জন করলে সরকারের পতন ঘটবে এটিও আশা করে না কেউ।

এরকম পরিস্থিতিতে তারেক রহমান শেষ পর্যন্ত আর্থিক লাভের চিন্তায় শেষ মুহূর্তে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেবেন। অনেকেই বলছেন, তারেককে টাকা দিয়ে সবকিছুই করানো যায়। এমনও হতে পারে, সরকারের সঙ্গে তারেক রহমান হয়ত একটি আপস রফায় গিয়ে বা সরকারের কাছ থেকে বিশেষ কোনো সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করবেন। কারণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে ৩০০ আসনে মনোনয়ন বাণিজ্য করার সুবর্ণ সুযোগ আছে তারেক রহমানের সামনে। তাই বিএনপির অনেক নেতার প্রশ্ন, তারেক রহমান কি এই সুযোগ হাতছাড়া করবেন?

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবীরা বলেন, বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে যাবে কি না সেটা ভিন্ন বিষয়। কিন্তু সরকারবিরোধী আন্দোলনের মাঝপথে যদি ৩০০ আসনে মনোনয়ন নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয়, সেটা বিএনপির জন্য হবে আত্মঘাতী। এমন সিদ্ধান্ত যে বিএনপি নেবে না, তা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কারণ, তারেক রহমান নির্বাচন থেকে যে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার লোভ সংবরণ করতে পারবেন না। তাই বিএনপিতে তারেক-আতঙ্ক চলছে। আন্দোলন তীব্র হলেও ধান্দার ভাগ বাটোয়ারার সুযোগ তারেক মিস করবেন না, এতে কোনো সন্দেহ নেই। আর তার লোভর কারণে যে তিনি বিএনপিকে ভুল পথে পরিচালিত করতে পারেন, তার প্রমাণ দলের নেতাদের কাছেই আছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here