• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

ট্রাফিক সদস্যের মাথায় আঘাত: রংপুর থেকে অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

উল্টো পথে যেতে বাধা দেওয়ায় ডিএমপির ট্রাফিক পুলিশ সদস্যকে স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে জখমের ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার নাম ইসমাইল হোসেন জীবন। সোমবার রংপুরের গঙ্গাচড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গত ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানার সেকশন বেড়িবাঁধ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ কনস্টেবলের নাম মতিয়ার রহমান। পিটিয়ে জখমের ঘটনায় তিনি মারাত্মক আহত হয়েছেন।

জানা গেছে, অভিযুক্ত সিটি কর্পোরেশনের ময়লাবাহী ভ্যান গাড়ির চালক। উল্টো পথে যেতে বাধা দেওয়ায় ওই ট্রাফিক কনস্টেবল মতিয়ার রহমানের ওপর হামলা করে ইসমাইল।

মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) জাফর হোসেন এ তথ্য জানান।

ডিসি জাফর বলেন, কামরাঙ্গীরচর থানার সেকশন বেড়িবাঁধ এলাকায় গত ২০ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে একটি সিটি কর্পোরেশনের ময়লাবাহী ভ্যান গাড়ি উল্টো পথে যাওয়ার সময় ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল মতিয়ার রহমান বাধা দেন। এই বিষয় নিয়ে পুলিশ সদস্যের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে যায় জীবন। পরবর্তী সময়ে উপস্থিত অন্য পুলিশ সদস্য ও সার্জেন্টরা বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। কিন্তু তাকে বাধা দেওয়া ও কথা কাটাকাটির জেরে ক্ষুব্ধ হয়ে ট্রাফিক সদস্য মতিয়ারের ওপর হামলার পরিকল্পনা করেন। পরের দিন (২১ ডিসেম্বর) একই স্থানে দায়িত্বরত ট্রাফিক কনস্টেবল মতিয়ার দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় কাঠের স্ট্যাম্প দিয়ে পেছন থেকে মাথায় আঘাত করে অভিযুক্ত ইসমাইল। হামলায় কনস্টেবল মতিয়ারের মাথা ফেটে গুরুতর আহত হন।

পরবর্তী সময়ে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় প্রথমে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে পরবর্তী সময়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঘটনায় আহত ট্রাফিক সদস্যের ছেলে সাব্বির বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে কামরাঙ্গীরচর থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তে নেমে ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করা হয়। হামলার ঘটনায় জড়িত ময়লাবাহী ভ্যানের চালক ইসমাইলকে শনাক্ত করতে কামরাঙ্গীচরসহ আশপাশের এলাকার ময়লা সংগ্রহকারী ইজারাদারসহ ৩০০ থেকে ৩৫০ জন পরিচ্ছন্ন কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এতে আসামি ইসমাইলের অনুপস্থিতির বিষয়টি বেরিয়ে আসে। পরবর্তী সময়ে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের কাছ থেকে আসামি ইসমাইল হোসেন জীবনের পরিচয় ও ঠিকানা পাওয়া যায়। তবে এই ঘটনায় কাজ করতে গিয়ে উঠে আসে যে, ময়লা পরিবহন ও সংগ্রহের সঙ্গে জড়িত কর্মীদের কোনো তথ্য ভান্ডার নেই। ফলে তাকে শনাক্ত করতে বেগ পেতে হয় তদন্তকারী কর্মকর্তাকে।

লালবাগ বিভাগের ডিসি আরও বলেন, ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের ওপর হামলায় জড়িত পলাতক আসামি জীবনের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ শেষে পুলিশ জানতে পারে রংপুর গঙ্গাচড়া থানা এলাকায় আত্মগোপনে আছে। পরবর্তী সময়ে গঙ্গাচড়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় হামলাকারী জীবনকে (ইসমাইল) গ্রেপ্তার করে ঢাকায় আনা হয়।

এই হামলার ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কি না জানতে চাইলে ডিসি জাফর বলেন, ঘটনার পর আসামি জীবন দুজনের সঙ্গে কথা বলার তথ্য আমাদের দিয়েছেন। কিন্তু হামলায় তাদের সংশ্লিষ্টতা আছে কি না সে বিষয় তদন্ত করা হবে। তবে হামলার সময়ে তিনি একা ছিলেন। আর হামলায় ব্যবহৃত স্ট্যাম্পটি তার বাসায় ছিল বলে দাবি তার। সব কিছু সামনে রেখে আমরা তদন্ত করছি। পুলিশের ওপর হামলার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here