• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

ক্ষোভে ইউপি চেয়ারম্যানকে হত্যা, স্বীকার আসামির

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৭ নভেম্বর ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

রংপুরের মিঠাপুকুরের পায়রাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা মাহবুবার রহমানকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার হারুন মিয়া দায় স্বীকার করেছেন। 

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মিঠাপুকুর থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান।
   
জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জানিয়েছেন, পারিবারিক বিরোধ নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দিয়েছিলেন তিনি। তবে বিচার না করায় ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।

এর আগে সোমবার আদালতের মাধ্যমে হারুনকে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনায় চেয়ারম্যানের ছেলে লাবিব রহমান বাদী হয়ে তাঁকে একমাত্র আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। সোমবার বিকেলে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে মাহবুবার রহমানকে।

জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার মাহবুবার রহমান (৬৫) জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সংগঠন রংপুর জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহসভাপতি ছিলেন। তিনি উপজেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি। সোমবার বিকেলে পায়রাবন্দ বেগম রোকেয়া মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

মিঠাপুকুর থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান বলেন, রোববার রাতে চেয়ারম্যানকে ধারালো বঁটি দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন সদরপুর গ্রামের হারুন মিয়া (৪৫) নামে একজন। স্থানীয় জনতার সহায়তায় তাকে আটক করে থানায় আনা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ইউপি চেয়ারম্যানকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।

ওসি জানান, কিছুদিন আগে পারিবারিক বিষয় নিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দিয়েছিলেন বলে জানান। কিন্তু বিচার না করায় ক্ষুব্ধ হন। এর জেরেই এ কাজ করেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, পায়রাবন্দ বাজারে ইউপি চেয়ারম্যানের ফার্মেসির দোকান আছে। রাত ৯টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার সময় হারুন ভাইয়ের মাছের দোকান থেকে বঁটি নিয়ে তার কাছে যান।

এ সময় পেছন দিক থেকে চেয়ারম্যানের গলায় কোপ মারেন হারুন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। রাত ১০টার দিকে তিনি মারা যান।

Place your advertisement here
Place your advertisement here