• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

রংপুর অঞ্চলে স্বস্তির রোদ

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৯ জানুয়ারি ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

রংপুরসহ আশে পাশের জেলা গুলোতে গত দুই সপ্তাহ ধরে চলা তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় জনজীবনে স্থবিরতার মাঝে স্বস্তির রোদ দেখা দিয়েছে। গতকাল সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকে রংপুর ও তার আশে পাশের এলাকা গুলোতে সূর্যের ঝলমলে রোদ দেখা গেছে। সূর্যের তাপে দিনভর লোকজন নিজের উষ্ণতা উপভোগ করাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ সেরেছেন।

রংপুরে গত দুই সপ্তাহ ধরে রোদের দেখা মিলছিল না। সেই সঙ্গে বইছিল হিমেল বাতাস। দুপুরের পর ঘন কুয়াশা ভেদ করে সূর্য উঁকি দিলেও রোদের তাপ ছিল না। সেই দৃশ্য পাল্টিয়ে আজ সোমবার সকাল থেকে পুব আকাশে সূর্য ঝলমল করে দেখা দেয়।

রংপুর আবহাওয়া কার্যালয়ের কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান বলেন, সোমবার সকালে রংপুরের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল রোববার ছিল ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোদ উঠলেও রোববার থেকে তাপমাত্রা কমেছে। আজ তবে একটানা কয়েক দিনের কুয়াশা কেটে গিয়ে আকাশে রোদ উঠেছে।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে রোদ পোহাচ্ছেন অনেকে। অনেক দিন পর এমন প্রাকৃতিক উষ্ণতায় স্বস্তি ফিরে এসেছে স্কুলগামী শিক্ষার্থী খেটে খাওয়া মানুষসহ সব শ্রেণি–পেশার মানুষের মাঝে। সকাল সকাল মাঠে কাজ করতে গেছেন শ্রমজীবী মানুষরা।

দুপুরে পীরগাছা উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের কান্দির বাজারের দোকানী ষাটোর্ধ শাহ মিয়াকে রোদের উষ্ণতা নিতে দেখা যায়।

তিনি বলেন, গত ১৫/২০ দিন ধরে চলা ঠান্ডায় জীবনটা মনে হয় যায়। ঠান্ডায় কিছুই করতে পারি না। ব্যবসা বাণিজ্যও ভাল চলছে না। ঠান্ডার কারণে লোকজন হাট বাজারে কম আসছে।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন,আমরা গরীর মানুষ কিন্ত এখন পর্যন্ত এ ঠান্ডায় কোন শীত বস্ত্র পাই নাই। শীত বস্ত্রের অভাবে অনেক কষ্টে আছি।

আর এক বৃদ্ধ প্রশন্ত কুমার মিশ্র বলেন, এ রকম ঠান্ডা থাকলে বেঁচে থাকা আর সম্ভব হবে না। রোদ না থাকায় ময়লা কাপড় চোপড় ব্যবহার করছি। এ কারণে শরীরে চর্ম রোগ দেখা দিয়েছে। আজ রোদ উঠায় বাড়ির লোকজন কিছু কাপড় পরিস্কারের ব্যবস্থা করেছে।

আজিজুল হক নামের একজন দিনমজুর বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহ ধরে একদিনও কাজে যাতে পারি নাই। অনেক কষ্টে দিন যাচ্ছে। ঠান্ডার মাঝে বাইরে বের হলেও কাজের সংকট ছিল। আজ সকালের রোদ দেখে কাজে যোগ দিয়েছি। দিনটি ভালই যাচ্ছে।। কাজে এসে রোদ থাকায় কোন কষ্ট মনে হচ্ছে না।

এদিকে সোমবার সকাল থেকে রংপুর নগরীর ধাপ, শাপলা চত্বর, কেরানীপাড়া চারমাথা মোড়, শিমুলবাগ, বেতপট্টিসহ বিভিন্ন এলাকায় শ্রম বেচাকেনার স্থানে শ্রমজীবী মানুষের উপস্থিতিও কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। কাজের সন্ধানে ছুটে আসা মানুষজন জানান, ঠান্ডা বাতাসের কারণে কাজ করা সম্ভব হয় না। এ কারণে কয়েক দিন ধরে শ্রমিকের সংখ্যা অনেক কম ছিলো। কিন্ত আজ রোদ উঠায় কিছুটা ঠান্ডা কমায় স্বস্থি ফিরেছে। তাঁরা আবার শ্রম বেচাকেনার স্থানে শ্রমিকের সংখ্যা কমেছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here