সেদিন মা জীবন দিলেও প্রধানমন্ত্রী সন্তানের মতো আগলে রেখেছেন
– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ২১ আগস্ট ২০২২
Find us in facebook
২০০৪ সালের একুশে আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে যোগ দিয়ে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় নিহত হন রংপুরের রেজিয়া বেগম। এ ঘটনার ১৮ বছর পার হলেও নিহত রেজিয়ার পরিবারের শোক এখনো কাটেনি। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুহাত ভরে দেওয়া অনুদানে ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে পরিবারটি।
একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত রেজিয়ার গ্রামের বাড়ি রংপুর নগরী থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নে। সেখানেই বসবাস করছেন রেজিয়ার দুই ছেলে। আরাজি শাহবাজপুরে বড় ছেলে হারুন-অর-রশিদ ও গঙ্গানারায়ণ গ্রামে ছোট ছেলে নুরুন্নবী মোস্তুল্লাহর সংসার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের গঙ্গানারায়ণ গ্রামের দরিদ্র কৃষক আফাজ উদ্দিনের ৪ মেয়ের মধ্যে রেজিয়া বেগমের উপার্জনেই চলত তাদের সংসার। বৃদ্ধ আফাজ উদ্দিনের ৪ মেয়ের মধ্যে রেজিয়া বেগম ছিলেন দ্বিতীয়। তার বিয়ের পর দুই ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়ে স্বামী খালেক মণ্ডল নিরুদ্দেশ হন। তারপর থেকে রেজিয়া অভাব-অনটনের সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে এক সময় ঢাকার বাড্ডা এলাকায় স্থায়ী বসবাস শুরু করেন। সেখানে তিনি ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাসে ভিসায় ছবি লাগানোর খণ্ডকালীন কাজ করে বৃদ্ধ বাবা-মা ও তার দুই সন্তানের ভরণ-পোষণ চালাতেন।
গ্রামে স্বামী পরিত্যাক্তা রেজিয়া বেগমের ২ ছেলেকে নিয়ে রেজিয়ার বৃদ্ধ বাবা-মা সুখেই ছিলেন। দুিই বেলা দু’মুঠো ভাতের চিন্তা ছিল না তাদের। কিন্তু এই সুখ বেশি দিন স্থায়ী হয়নি ওই বৃদ্ধ যুগলের। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক জনসভায় ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার শিকার হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান রেজিয়া বেগম।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রেজিয়া হাজারীবাগে বাড্ডায় পানির ট্যাংকের কাছে থাকতেন। সেখানকার এক আওয়ামী লীগের নারী নেত্রীর সঙ্গে নিহত রেজিয়ার সুসম্পর্ক ছিল। এরই জের ধরে ঘটনার দিন ওই নারী নেত্রী নিহত রেজিয়াসহ আরও ২০ জন নারীকে সঙ্গে নিয়ে শেখ হাসিনার জনসভায় যোগ দেন। জনসভা চলাকালীন হঠাৎ ভয়াবহ গ্রেনেড বিস্ফোরণে রেজিয়া বেগমের মৃত্যু হলে ২২ আগস্ট নিহত রেজিয়ার বাবা-মা মেয়ের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ঢাকায় গিয়ে মেয়ের মরদেহ শনাক্ত করেন। পরে তাকে ঢাকা আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
উপার্জনক্ষম মেয়ের মৃত্যুর পর থেকেই বৃদ্ধ মা আমেনা বেগম শোকে আড়াই বছর বাকরুদ্ধ অবস্থায় শয্যাসায়ী থাকার পর সুচিকিৎসার অভাবে ২০০৬ সালে মারা যান। গোটা পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া। অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটতে থাকে তাদের। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এসব খবর জানতে পেরে তাদের ঢাকায় ডেকে পাঠান এবং আফাজ উদ্দিনসহ নিহত রেজিয়ার ২ ছেলেকে আবাদি জমি কিনে চাষাবাদ করার পরামর্শ প্রদান করেন।
সম্প্রতি কাউনিয়াতে রেজিয়ার ছেলেদের পরিবারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গ্রেনেড হামলার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া টাকায় কেনা ৯ শতক জমির ওপর আধা-পাকা টিনসেড বাড়ি করেছেন ছোট ছেলে প্রতিবন্ধী নুরুন্নবী মোস্তুল্লাহ। গত বছরও খড়ের ঘরে দেশি গরু পালন করতেন তিনি। এবার বাড়ির শেষ সীমানা ঘেঁসে তৈরি করেছেন উন্নতমানের গরুর খামারের অবকাঠামো। নুরুন্নবীর খামারে এখন উন্নত শংকর জাতের ৬টি গরু রয়েছে। দুধ ও গোবর বিক্রি করে তার সংসার ভালোই চলছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে সম্প্রতি প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়া শুরু করেছেন নুরুন্নবী। এ ছাড়া ব্যাংকে গচ্ছিত টাকার মাসিক সুদ পাওয়ায় অভাব নেই তার সংসারে।
নুরুন্নবীর বড় উঠানে হাঁস-মুরগি চষে বেড়াচ্ছে। আধা পাকা নিজেদের এবং গরুর জন্য ঘর করেছে নুরুন্নবী। নুরুন্নবীর একমাত্র ছেলে মাসুদ রানা (১৪) স্থানীয় বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ছে। নুরুন্নবীর স্ত্রী মর্জিনা বেগম গরু লালন-পালনে দিনভর ব্যস্ত সময় পার করেন।
অপরদিকে নুরুন্নবীর বড় ভাই হারুন-অর-রশিদ পার্শ্ববর্তী গ্রাম আরাজি শাহবাজপুরে ৩ শতক জমির ওপরে বাড়ি করে ছিলেন। চলতি বছরে তিনি পার্শ্ববর্তী আরও ৯ শতক জমি কিনে বাড়ি ভিটা বড় করেছেন। জমি বন্ধক নিয়ে চাষবাদ বাড়িয়েছেন। তার সংসারেও অভাব নেই। একমাত্র মেয়ে হালিমা খাতুনকে (২৫) বিয়ে দেওয়ার পর এখন সুখের সংসার তার। কাজ পাগল হারুন ভোর হতেই বেরিয়ে পড়েন নিজের জমিতে কৃষি কাজে।
রেজিয়ার ছোট ছেলে নুরুন্নবী বলেন, আমার মায়ের মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার নানার হাতে এক লাখ টাকা তুলে দিলে গ্রামে ২৪ শতক জমি কিনে বাড়ি করি। এখানে আমাকে ৯ শতক, আমার বড় ভাইকে ৩ শতক ও আমার ৩ খালাদের নামে ১২ শতক লিখে দেয় আমার নানা।
এরপর ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দুই ভাইকে ৪ লাখ করে ৮ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী আরও ১২ লাখ করে দু’ভাইকে ২৪ লাখ টাকা দেন। ওই টাকা ব্যাংকে ফিক্সড করেছি। ব্যাংক থেকে প্রতি মাসে মাসে টাকা পাই। সেটা দিয়েই সংসার চলে।
নুরুন্নবী আরও বলেন, এবার গরুর খামার বড় করেছি। ভালো আয়-উন্নতি হচ্ছে। আমার মা একুশ আগস্টে জীবন দিলেও প্রধানমন্ত্রী নিজ সন্তানের মতো দায়িত্ব নিয়ে আমাদের আগলে রেখেছেন। আমরা ভালো আছি, সংসারে কোনো কষ্ট নেই। কিন্তু মাকে হারানোর কষ্ট ভুলতে পারি না। একুশে আগস্ট এলেই মাকে ভীষণ মনে পড়ে। মানুষ কত নির্মম-নিষ্ঠুর হলে এতগুলো মানুষকে একসঙ্গে বোমা মেরে হত্যা করতে পারে। আল্লাহর রহমতে আমাদের প্রধানমন্ত্রী এখনো বেঁচে আছেন। আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা। কৃতজ্ঞতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি, তিনি আমাদেরকে মায়ের অভাব বুঝতে দেয়নি।
রেজিয়ার বড় ছেলে হারুন-অর-রশিদ বলেন, বাড়ির ধান ও ব্যাংক থেকে টাকা পেয়ে খুব সুখেই দিন কাটছে আমাদের। যারা গ্রেনেড হামলা করে আমার মাকে মেরে ফেলেছে তাদের বিচার হয়েছে এতে আমরা খুশি। সরকার আমাদের খোঁজ খবর নিচ্ছে, আগামীতেও নিবে এটাই চাই।
রেজিয়ার পুত্রবধূ আনোয়ারা বেগম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া টাকায় ৯ শতাংশ বাড়ি ভিটার জমি ক্রয় করেছি। সেখানেই পুরাতন টিনের ঘরে বসবাস করছি। সরকার আমাদের দিকে মুখ তুলে তাকিয়েছে। অনেক সহযোগিতা করেছে। এতে আমরা খুব খুশি।
বর্তমানে রেজিয়ার সন্তানদের দাবি, গ্রেনেড হামলার ঘটনায় জড়িত অনেকের বিচার হয়েছে। এখনো যারা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন, তাদেরও আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক। সব খুনিদের বিচার হলে তার মায়ের আত্না শান্তি পাবে। ওইদিনের ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসবে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যার ষড়যন্ত্রে বিস্মিত হয়ে তারা বলেন, শেখ হাসিনা এতিম, তার ক্ষতি কেউ করতে পারবে না। আল্লাহ্ আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে সবসময় রক্ষা করেছেন এবং করবেনও।
#ঢাকাপোস্ট।
- গাজার ক্ষুধার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ক্রিকেটার বিথী
- ওকালতি পড়ে কৃষি উদ্যোক্তা
- চিলমারীতে পুকুরের পানিতে ডুবে প্রতিবন্ধী শিশুর মৃত্যু
- আদিতমারীতে গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা
- গঙ্গাচড়ায় সম্প্রীতির গ্রাম গঠনের লক্ষ্যে অবহিতকরণ সভা
- গঙ্গাচড়ায় আলু চাষীদের সাথে মতবিনিময় সভা
- রংপুর জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের নতুন কমিটির শপথ গ্রহণ
- বীরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- বদরগঞ্জে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা
- ঠাকুরগাঁওয়ে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা
- গাইবান্ধায় বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায়
- ফুলবাড়ীতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায়
- গাইবান্ধায় যুব উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগ নিয়ে মতবিনিময় সভা
- দিনাজপুরে বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায়
- রংপুরে ইসতিসকার নামাজ আদায়
- দ্বিতীয় সাক্ষাতেও গুজরাটকে হারাল দিল্লি
- খুন হওয়ার ভয়ে বাড়ি ছাড়লেন সালমান খান
- সব রোগ-ব্যাধি থেকে শেফা লাভের সূরা
- জিম্মি এক ইসরায়েলি-আমেরিকানের ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
- র্যাবের নতুন মুখপাত্র আরাফাত ইসলাম
- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন
- গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ
- মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- সব ডিসি-এসপির সঙ্গে ইসির বৈঠক আজ
- হিট অ্যালার্ট আরো তিনদিন বাড়লো
- বিআরটিএর অভিযানে ৪০৪ মামলায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা
- ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
- ‘সংস্কারের পাশাপাশি আগামী বাজেটে কর্মসংস্থানে নজর দেওয়া হবে’
- বুয়েটে জঙ্গি গোষ্ঠীর কার্যক্রম তদন্ত করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
- ছেলেকে নিয়ে ঈদের নামাজে যাওয়া হলো না বাবার
- ফুলবাড়ীতে পাঁচ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপি
- প্রথমবার সালমানের বিপরীতে কিয়ারা
- ঈদে সংবাদপত্রের ছুটি ঘোষণা আজ
- রাতে বেরিয়ে নিখোঁজ কিশোর, দুপুরে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- দুপুরের মধ্যে ৮০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে ঝড়
- হিলি সীমান্ত পরিদর্শনে সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীর প্রতিনিধি দল
- শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের মূল কারিগর
- ভারতবিরোধী স্লোগানের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা লুকিয়ে আছে
- সুন্দরগঞ্জে আধুনিক পদ্ধতিতে করলা চাষে ব্যাপক সাফল্য
- আজ থেকে ট্রেনের ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু
- আবারও তিনদিন বাংলাবান্ধার ইমিগ্রেশন ও বাণিজ্য বন্ধ ঘোষণা
- শরীরে মেদ জমেছে নাকি পানি, বুঝবেন যেসব লক্ষণে
- ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচকে নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান
- পুলিশের আজান, কেরাত ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
- ব্যস্ততার পরিবর্তে অস্তিত্ব টেকানোর লড়াইয়ে মৃৎশিল্পীরা
- দ্রুত শিক্ষকদের শূন্য পদ পূরণের সুপারিশ
- ইউটিউবে আসছে এআই নির্ভর ৩ ফিচার