• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

পীরগঞ্জে নিখোঁজের তিনদিন পর স্কুলছাত্রের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

নিখোঁজের তিনদিন পর রংপুরের পীরগঞ্জে তৌহিদুল ইসলাম নাহিফুল (১১) নামের ৬ষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সামিউল ইসলাম (১৩) নামে এক কিশোরকে আটক করা হয়েছে। নিহত তৌহিদুল ইসলাম উপজেলার শাল্টি পশ্চিমপাড়ার নুর আলমের ছেলে। সে স্থানীয় শাল্টি শমস দীঘি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

বুধবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভেন্ডাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই আসাদুজ্জামান আসাদ। এর আগে, মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) রাতে উপজেলার চৈত্রকোল ইউনিয়নের পালগড় গ্রাম সংলগ্ন একটি অগভীর নলকুপের ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, গত ২৩ এপ্রিল (শনিবার) নাহিফুল ইসলামকে প্রতিবেশী আব্দুস সালামের ছেলে সামিউল ইসলাম বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। সেদিন থেকেই নাহিফুল নিখোঁজ ছিল। এঘটনায় নাহিফুলের খোঁজ জানতে পরিবারের পক্ষ থেকে সামিউলকে একাধিকবার জিজ্ঞেস করলে সে জানায়, দু'জন একসঙ্গে স্থানীয় কলোনি বাজারে যাওয়ার পর বাজার থেকে নাহিফুল কোথায় গেছে তা সে জানে না।

পরে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সামিউলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে নাহিফুল হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দেয়। সামিউলের দেওয়া তথ্যর ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে তাদের নিজের অগভীর নলকুপ ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখা নাহিফুলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় নাহিফুল ও সামিউল পালগড় মাদরাসায় গিয়ে খেলা দেখে। এরপর তারা দুইজন মিলে কলোনি বাজারে যায় এবং খিচুড়ি খায়। খিচুড়ি বিল দেওয়ার সময় নাহিফুলের মানি ব্যাগে অনেকগুলো টাকা দেখে সামিউল। টাকা দেখে সে টাকাগুলো কেড়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে। রাত আনুমানিক ১১টায় নাহিফুলকে তার শ্যালো মেশিন ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে সে কৌশলে নাহিফুলকে পাওয়ার আটা খাইয়ে অজ্ঞান করে। এরপর সে মেশিন ঘরে থাকা ফিতা দিয়ে নাহিফুলের গলায় প্যাঁচিয়ে ধরে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর সে নাহিফুলের পকেটে থাকা ৮৯০ টাকা ও হাতঘড়ি লুট করে নেয়। এরপর শ্যালো মেশিন ঘরে থাকা কোদাল দিয়ে সে গর্ত করে এবং লাশ গর্তের মধ্যে পুঁতে রাখে। পরে মাটি চাপা দিয়ে সে হাত মুখ ধুয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। সকাল ৮টার সময় সে বাসায় এসে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে থাকে।

এ ব্যাপারে ভেন্ডাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, প্রকৃত হত্যাকারীকে গ্রেফতার করা হযেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here