• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

‘বেরোবিতে ১০০% চান্স’ চক্রের মূলহোতা গ্রেফতার

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ২০২০-২১ সেশনে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তির জালিয়াত চক্রের মূলহোতা মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি’র সাইবার টিম। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) নড়াইলের লোহাগড়ায় অভিযান চালিয়ে চক্রের মূলহোতা মেহেদীকে গ্রেফতার করা হয়। 

সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মুহাম্মদ রেজাউল মাসুদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শনিবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী রংপুর মেট্রোপলিটন তাজহাট থানায় এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

সিআইডি জানায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য একটি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে- এমন তথ্য পায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার পুলিশ সেন্টারের নিয়মিত অনলাইন মনিটরিং টিম। টিম জানতে পারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জালিয়াতি করে ভর্তির প্রলোভন দিয়ে যাচ্ছে একটি অসাধু চক্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির বিষয়ে ভুয়া তথ্য সরবরাহ করে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থও হাতিয়ে নিচ্ছে তারা।

‘brur চান্স ১০০% করে দিব’ নামের গ্রুপ থেকে একটি বার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা হয়। ওই বার্তায় বলা হয়, ‘যারা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায়নি, তাদের চান্স পেয়ে দেবো। এতে খরচ হবে ২০ হাজার টাকা। অগ্রিম পেমেন্ট করতে হবে ৮৫০ টাকা।’ একই গ্রুপ থেকে আরেকটি বার্তা শেয়ার করা হয়। সেখানে লেখা ছিল, ‘যারা রেজাল্ট চেঞ্জ করার জন্য ৮৫০ টাকা দিয়েছেন তাদের রেজাল্ট চেঞ্জ হয়েছে। বিকেল ৫টার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে রেজাল্ট পাবেন। বাকি টাকা ভর্তির পর দেবেন।’

সিআইডি সাইবার টিম এ ব্যাপারে তৎপর হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। অনুসন্ধান চালানো হয় বেশ কয়েকদিন। অবশেষে প্রতারক চক্রকে শনাক্ত করে সিআইডি।

অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রতারক চক্রটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি জালিয়াতির সঙ্গেও যুক্ত। এই পদ্ধতি অবলম্বন করে চক্রটি বিভিন্ন মোবাইল নম্বর ও হোয়াটসআ্যপ গ্রুপ ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিতো।

গ্রেফতার মেহেদীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে ২০১৭ সাল থেকে বিভিন্ন সময় এভাবে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল। প্রতারক চক্র মূলত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছুদের সঙ্গে যোগাযোগ করতো। তাদের দেওয়া নম্বরে যোগাযোগ করলে বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাইয়ে দেওয়ার জন্য আশ্বস্ত করা হতো এবং নিবন্ধনের টাকা দেওয়ার জন্য বাধ্য করা হতো। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির রেজাল্টের পর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ বন্ধ করে দেওয়া হতো। সঙ্গে অ্যাডমিন নম্বর ও বিকাশ নম্বরও বন্ধ করে দিতো।

গ্রেফতারের সময় মেহেদীর কাছ থেকে বিকাশ অ্যাকাউন্টসহ মোট ১০টি সিম, তিনটি মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।

Place your advertisement here
Place your advertisement here