• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

রংপুরে চতুর্থ ধাপে ইউপি নির্বাচনে ১৯ ইউপিতে ১০৬৭ প্রার্থী

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

রংপুরে চতুর্থ ধাপে বদরগঞ্জ ও গঙ্গাচড়া উপজেলার ১৯টি ইউনিয়নে ১ হাজার ৬৭ জন প্রার্থী বিজয়ের মালা পরতে মুখিয়ে আছেন। মাঠের প্রচার-প্রচারণা শেষে এখন ব্যালট যুদ্ধে ভোটারদের কেন্দ্রমুখী করতে কৌশলী ছক আঁকছেন প্রার্থীরা।

যদিও শুরু থেকে বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি বিষোদগার ও হামলার ঘটনায় শঙ্কিত সাধারণ ভোটাররা। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে নিরাপত্তা বেষ্টনীর চাদরে ঢাকা হয়েছে দুই উপজেলা।  

রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে। বদরগঞ্জ উপজেলার ১০ ও গঙ্গাচড়া উপজেলার ৯টি ইউনিয়নেও ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বদরগঞ্জ ও গঙ্গাচড়া উপজেলার ১৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১০১ জন প্রার্থী দলীয় ও বিভিন্ন প্রতীকে অংশ নিয়েছেন। এ ছাড়া সাধারণ সদস্য (পুরুষ) পদে ৭০৩ এবং সংরক্ষিত সদস্য (মহিলা) পদে ২৬৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এর মধ্যে বদরগঞ্জ উপজেলায় রাধানগর, গোপীনাথপুর, রামনাথপুর, মধুপুর, গোপালপুর, দামোদরপুর, কুতুবপুর, কালুপাড়া, বিষ্ণুপুর ও লোহানীপাড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যাদের মধ্যে কালুপাড়া ইউনিয়নের একই পরিবারের তিনভাইও চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন।

এ ছাড়া এই উপজেলার দশ ইউনিয়নের সাধারণ সদস্য পদে ৩৩৭ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৪১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সেখানকার ৯৩টি ভোটকেন্দ্রে ২ লাখ ৪ হাজার ৯৪০ জন নারী ও পুরুষ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণে ৯৩ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ৫৬২ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও ১ হাজার ১২৪ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন।

অন্যদিকে গঙ্গাচড়া উপজেলায় বেতগাড়ী, কোলকোন্দ, বড়বিল, গঙ্গাচড়া, লক্ষীটারী, গজঘণ্টা, মর্ণেয়া, আলোমবিদিতর ও নোহালী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫০ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৩৬৬  ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১২২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ উপজেলার ১০৭টি কেন্দ্রে ২ লাখ ১৭ হাজার ১৭৩ জন ভোটার তাদের ভোট প্রয়োগ করবেন। নয়টি ইউনিয়নে ১০৭ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ৬০৪ সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও ১২০৮ জন পোলিং অফিসার ভোটগ্রহণে দায়িত্ব পালন করবেন।

এদিকে সাধারণ ভোটাররাও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে চান। তাদের দাবি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনো অবনতি বা অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা না ঘটলে কেন্দ্রে কেন্দ্রে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হবে। তবে ভোটাররা প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও যোগ্য ও এলাকার উন্নয়নে কাজ করবে এমন প্রার্থীকে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন।

রংপুরের সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার ফরহাদ হোসেন জানান, প্রতিটি কেন্দ্রে ৩ জন পুলিশ ও ১৭ জন আনছার-ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। ২০০ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ১ হাজার ১৬৬ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও ২ হাজার ৩৩২ জন পুলিং অফিসারও নিয়োগ করা হয়েছে। নির্বাচনে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়াও দুই উপজেলায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক  জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্বে থাকবেন। পাশাপাশি র‌্যাব ও এপিবিএন সদস্যরা প্রতিটি ইউনিয়নে টহল দেবেন। এ ছাড়াও কোনো ঘটনার খবর পেলে যেন ১৫ মিনিটের মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসতে পারে সে জন্য স্ট্রাইকিং ফোর্স কাজ করবে। 

Place your advertisement here
Place your advertisement here