• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

বদরগঞ্জে উচ্চ ফলনশীল জিংক সমৃদ্ধ বোরো ধানের চাষ 

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বিষ্ণুপুর উপজেলার ওসমানপুরে পাঁচ একরে জমিতে জিংক সমৃদ্ধ ধানের চাষ করা হয়েছে। আর এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ‘সারাবাংলা কৃষক সোসাইটি’ নামে চাষিদের একটি সংগঠন। 

সারাবাংলা কৃষক সোসাইটির হিসাব রক্ষক অহেদুল হক বলেন, জিংক সমৃদ্ধ ধানের বেশ কয়েকটি জাত থাকলেও সবই আমন মৌসুমের জন্য। কিন্তু বোরো মৌসুমে ব্রিধান-৭৪ ছাড়া আর তেমন কোনো জাত নেই। এ কারণে চাষি পর্যায়ে এ ধান বীজের যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। আর এ ঘাটতি মোকাবিলায় সারাবাংলা কৃষক সোসাইটি বীজ উৎপাদন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। 

তিনি বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেয়ার পাশাপাশি সার-বীজ বিনামূল্যে সরবরাহ করেছে। এরই মধ্যে ধান পাকতে শুরু করেছে। বীজ বপণের দিন থেকে শুরু করে মোট ১৪৭ দিনে এ ধান ঘরে ওঠে। হেক্টর প্রতি সাত মেট্রিক টনের বেশি ফলনের লক্ষ্যমাত্রা হয়তো পূরণ হবেনা তবে লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি ফলন হবে। 

এদিকে জিংক সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. আরশাদ হোসেন বলেন, জিংক মানব দেহের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এর ঘাটতি হলে শিশুর স্বভাবিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়, ক্ষুধা মন্দা বৃদ্ধি পায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তবে জিংক সমৃদ্ধ চালের ভাত এ ঘাটতি পূরণ করতে পুরোপুরি সক্ষম। 

অপরদিকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা মো. জোবাইদুর রহমান বলেন, উচ্চ ফলনশীল ধানের চেয়ে জিংক সমৃদ্ধ ধানের ফলন কিছুটা কম হলেও দেহের চাহিদার কথা চিন্তা করে চাষীকে এ ধান চাষ করা উচিত। বোরো মৌসুমে চাষী পর্যায়ে জিংক সমৃদ্ধ ধানের বীজ সরবরাহের লক্ষ্যে বীজ উৎপাদন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে- যা বাস্তবায়ন করছে সারাবাংলা কৃসক সোসাইটি। 

Place your advertisement here
Place your advertisement here