দেহের দুর্বল পাশের শক্তি বাড়াবেন যেভাবে
– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
Find us in facebook
মানব দেহের ডান দিক আর বাম দিক দেখতে প্রায় একই রকম হলেও কার্যকরণে অনেক পার্থক্য রয়েছে। যেমন, কেউ ডানহাতি; কেউ বা আবার বাঁহাতি। তবে দুপাশ সমান মাত্রায় ব্যবহার করেন এমন মানুষের সংখ্যা বিশ্বে এক শতাংশ।
এই তথ্য জানিয়ে পেশাদার খেলোয়ারদের মানসিক-শারীরিক মার্কিন প্রশিক্ষক ডানা স্যান্টাস বলেন, ‘দেহের একটা দিক বেশি কর্মক্ষম অন্যদিক একটু দুর্বল- এটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। তবে সমস্যা শুরু হয় তখনই, যখন শক্তিশালী দিকটা দিয়ে বেশি কাজ করা হয়’।
সিএনএন ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি ব্যাখ্যা করেন, ‘ছোটখাট কাজে তেমন সমস্যা হয় না। তবে ভারী বা দীর্ঘক্ষণ ধরে করতে হয় এরকম কোনো কাজ দেহের এক পাশ দিয়ে বেশি করলে ব্যথা, পেশিতে টান পড়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়’।
আর এর থেকে পরিত্রাণের উপায় হলো দেহের দুই পাশকেই সচল রাখার চেষ্টা করা।
দেহের একপাশ দিয়ে বেশি কাজ করার সমস্যা
পেশাদার খেলোয়ারদের প্রশিক্ষক হিসেবে স্যান্টাস বলেন, ‘অভিজ্ঞতায় দেখেছি, যে বাস্কেটবল খেলোয়াড় তার বেশি সক্রিয় হাত দিয়ে বল ছুড়ছেন সব সময়, পরে সেই হাতের ব্যথা নিরাময়ের জন্য অস্ত্রোপচার পর্যন্ত করতে হয়েছে’।
‘তবে আপনি হয়ত পেশাদার খেলোয়াড় না, যে কারণে দেহের এক পাশের ওপর সব-সময় জোর দিতে হবে। তবে চিন্তা করে দেখুন- সুপার মার্কেটের যে ক্যাশিয়ার শুধু ডান হাত দিয়েই কাজ করে যাচ্ছেন বা কোনো মা শিশুকে বেশিরভাগ সময় কোমড়ের একদিকেই নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তাদের দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা হওয়ার পাশাপাশি আঘাতের মাত্রা বেড়ে যাবে যদি সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয়’।
দেহের একপাশ দিয়ে বেশি কাজ করার আরেকটি সাধারণ প্রবণতা বেশি দেখা যায় যখন কোনো আঘাত থেকে সেরে ওঠা হয়।
স্যান্টাস বলেন, ‘ধরা যাক আপনার যে দিকটা অপেক্ষাকৃত দুর্বল সেদিকের পা মচকে ফেলেছেন। তখন দেহের যে পাশটা বেশি কর্মক্ষম সেটার ওপর বেশি নির্ভশীল হয়ে যেতে হয়। এমনকি পা মচকানো সেরে গেলেও একই কাজ করে যেতে থাকবেন। কারণ ততদিনে আপনি আরো বেশি কর্মক্ষম দিকটায় নির্ভশীল হয়ে গেছেন’।
দৈনিক কার্যক্রম থেকে ভারসাম্যহীনতা চিহ্নিত করা
স্যান্টাস বলেন, ‘দৈহিক নড়াচড়ায় দুপাশের ভারসাম্য রক্ষা করে চলার প্রধান চাবিকাঠি হলো সচেতনতা’।
সারাদিন কীভাবে কাজ করছেন সে দিকে নজর দিতে হবে। আর সাধারণ কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে অদল বদল করে কাজ করা সম্ভব।
যেমন যদি একদিকে ব্যাগ বহন করার অভ্যাস থাকে তবে সেটা বাদ দিয়ে নিয়মিত পাশ বদল করে বহন করতে হবে। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার সময় যদি এক পায়ে ভর বেশি দেওয়া হয় তবে দুপায়েই নিয়ম করে ভর পরিবর্তন করতে হবে।
এমনকি প্রতিদিন যদি সোফার একপাশে বসে টিভি দেখার অভ্যাস থাকে, তবে সময়ে সময়ে পাশ বদল করেও সার্বিকভাবে দেহের অপেক্ষাকৃত দুর্বল দিকটা সচল করা যায়।
যদিও হাঁটার ক্ষেত্রে মনে হতে পারে ভারসাম্যহীনতা নেই। তবে এরপর হাঁটার সময় খেয়াল করুন কোন দিকটা বেশি চাপ দিচ্ছেন। আর এটা বোঝার সহজ উপায় হলো কোন পায়ের জুতা বেশি ক্ষয় হয়েছে।
স্যান্টাস বলেন, ‘সাধারণভাবেই আমরা দেহের একপাশ দিয়ে বেশি কাজ করতে অভ্যস্ত। তবে কিছু বিষয় হয়ত পরিবর্তন করা যায় না। যেমন, কলম দিয়ে লেখা বা এই ধরনের কোনো কাজ’।
তবে ভারসাম্য রক্ষার বিভিন্ন ব্যায়াম ও দৈনিক চর্চার মাধ্যমে দেহের দুপাশকে প্রায় সমানভাবে কর্মক্ষম করে তোলা যায়।
ভারসাম্যের জন্য ব্যায়াম
শুনতে হয়ত উল্টা লাগতে পারে, তবে দেহের একপাশ দিয়ে ব্যায়াম করার মাধ্যমে দুপাশের সামঞ্জস্য ফিরিয়ে আনা যায়।
পদ্ধতিটা হলো একবার ডান পা ও হাতের ব্যায়াম করা। পরপরই একই সময় ধরে বাম পা ও হাতের ব্যায়াম করা। এভাবে শরীরচর্চার মাধ্যমে শুধু সামঞ্জস্যহীনতাই দূর করা যায় না, পরবর্তী সময়ে এই সমস্যা পুনরায় হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
স্যান্টাস এক্ষেত্রে ‘ডাম্বেল’ ব্যাবহার করার পরামর্শ দেন। দুপাশে আলাদা আলাদা ভাবে একই হারে ডাম্বেল দিয়ে ব্যায়াম করতে হবে। এছাড়াও ‘সিঙ্গেল লেগ রোমানিয়ান ডেড লিফ্ট’ ‘সিঙ্গেল আর্ম শোল্ডার প্রেস’ ও ‘সিঙ্গেল আর্ম রোস’ ব্যায়ামগুলো বেশ কার্যকর।
এক্ষেত্রে একজন ব্যায়াম প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে শরীরচর্চার করার পরামর্শ দেন তিনি।
সংশোধন-মূলক ব্যায়ামের অন্য সুবিধা
সাধারণ দুপাশের ব্যায়ামের তুলনায় একপাশ ধরে ব্যায়াম করার আরেকটি সুবিধা হলো, যখন দেহের একপাশের ব্যায়াম করা হয় তখন অন্য পাশটারও গতি বাড়ে।
এই বিজ্ঞান সমর্থিত ব্যায়ামকে বলা হয় ‘ক্রস এডুকেইশন ট্রেইনিং’ জানান স্যান্টাস।
সাধারণ দেহের একপাশের আঘাত সারিয়ে তুলতে এই পদ্ধতি অনুসরণ করা হলেও, যারা সুস্থ তাদের ক্ষেত্রেও দেহের ভারসাম্যতার সামঞ্জস্য ফিরিয়ে আনতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
স্যান্টাস বলেন, ‘দেহের দুর্বল দিকটা নিয়ে তাই বলে দুশ্চিন্তায় ভুগতে হবে না। খালি দৈনিক কার্যক্রমে ওপরের বিষয়গুলো পালন করতে থাকুন। তাহলেও একসময় দুর্বল দিকটা আরো সচল হয়ে উঠবে’।
- হাফিজুল এখন পরিবারের বোঝা
- পীরগঞ্জে প্রতিজ্ঞা দিবস পালিত
- গঙ্গাচড়ায় বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
- নীলফামারীতে আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফ দিবস পালন
- ধূমপান বা তামাক স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর
- সত্যি কী আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা পাচ্ছেন শাকিব খান?
- হজের জন্য মাহরাম না পেলে নারীদের করণীয় কী?
- রাশিয়ার সাথে সম্ভাব্য সংঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে ন্যাটো : মস্কো
- অপসাংবাদিকতা মূল সাংবাদিকতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
- ট্রেন সুবিধায় আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল দক্ষিণবঙ্গ: রেলমন্ত্রী
- ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে আমরা পাপমুক্ত হয়েছি’
- ‘মৎস্যসম্পদ রক্ষার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে হবে’
- উপজেলা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে যে নির্দেশনা দিল ইসি
- টেনিস খেলাকে জনপ্রিয় করতে কাজ করা হচ্ছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- ট্রেন সার্ভিসের মাধ্যমে রাজধানীর চাপ কমে আসবে: চিফ হুইপ
- ‘উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারি’
- তীব্র গরমেও শীতল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
- চাই না মুক্তিযুদ্ধ চেতনাবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় আসুক
- ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৫ শতাংশ কার্বণ নিঃসরণ কমাতেই হবে
- খুলেছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
- রৌমারীতে মুক্তিযোদ্ধাকে হুমকি ও জীবনাশের অভিযোগে মানববন্ধন
- `জগবন্ধু ঠাকুরবাড়ি` ব্রিটিশ স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন
- আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ২ কর্মীকে জরিমানা
- হাবিপ্রবিতে কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন
- ফুলবাড়ীতে শিক্ষার্থীদের শরবত বিতরণ
- তেঁতুলিয়ায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উদযাপন
- সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব
- হাকিমপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুই
- হাতীবান্ধায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নতুন কমিটি ঘোষণা
- গঙ্গাচড়ায় মাদ্রাসার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন উদ্বোধন করলেন এমপি
- ছেলেকে নিয়ে ঈদের নামাজে যাওয়া হলো না বাবার
- প্রথমবার সালমানের বিপরীতে কিয়ারা
- ঈদে সংবাদপত্রের ছুটি ঘোষণা আজ
- রাতে বেরিয়ে নিখোঁজ কিশোর, দুপুরে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- চিলমারীতে বৃষ্টির জন্য ৩য় দিন ইসতিসকার নামাজ আদায়
- হিলি সীমান্ত পরিদর্শনে সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীর প্রতিনিধি দল
- গাজার ক্ষুধার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ক্রিকেটার বিথী
- সুন্দরগঞ্জে আধুনিক পদ্ধতিতে করলা চাষে ব্যাপক সাফল্য
- আবারও তিনদিন বাংলাবান্ধার ইমিগ্রেশন ও বাণিজ্য বন্ধ ঘোষণা
- ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচকে নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান
- হিলিতে রচনা প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ রক্তিম
- বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড ৫ কূটনৈতিক দলিল সই
- সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা প্রয়োজন করা হবে: ইসি আলমগীর
- ব্যস্ততার পরিবর্তে অস্তিত্ব টেকানোর লড়াইয়ে মৃৎশিল্পীরা
- জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন গৃহীত
- দ্রুত শিক্ষকদের শূন্য পদ পূরণের সুপারিশ
- ভূরুঙ্গামারীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান মে দিবস পালিত
- মির্জা ফখরুলকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে: ওবায়দুল কাদের
- ঢাকায় ইসরায়েলের বিমান
- বদরগঞ্জে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা