• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

মানসিক স্বাস্থ্যে মনোযোগ দিন

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

স্বাস্থ্য বলতে শুধু শারীরিক স্বাস্থ্যকেই বোঝানো হয় না। শারীরিক সুস্থতা থাকলেও মানসিক সুস্থতার অভাবে নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। বিশ্বে বিভিন্ন দেশে মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে এবং এই মনোযোগ বাড়াতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।

আমাদের দেশেও এই সমস্যা ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে শুরু করেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে দেশে প্রায় ৩ কোটি মানুষ মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত। অথচ জেলা উপজেলা পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। অর্থাৎ মানসিক স্বাস্থ্যসেবা এখনও অবহেলিত। তাই নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি নিজেকেই সতর্ক হতে হবে। কারণ ভবিষ্যতে জটিল মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে তার পর্যাপ্ত চিকিৎসা নাও পেতে পারেন।

কিন্তু কিভাবে মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি মনোযোগী হবেন? তা দেখে নেওয়া যাক:

পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করুন
পুষ্টিকর খাবার শরীরের পাশাপাশি মনের জন্যেও উপকারী। আয়রন ও ভিটামিন বি১২ এর ঘাটতি হলে মেজাজ পরিবর্তন হয়। এজন্য সুষম খাবার খাওয়া দরকার। খিটখিটে মেজাজ, অধৈর্য, হতাশা কিংবা উদ্বিগ্নতার ক্ষেত্রে কফি খাওয়ার মাত্রা কমিয়ে আনতে হবে। পুষ্টিমানসম্পন্ন ও সুষম খাবারে বাড়তি মনোযোগ দিতে হবে।

নিয়ম মেনে চলুন
দৈনিক কাজের একটি খসড়া রুটিন করে নিন। নিয়ম মেনে চলা মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য জরুরি। নিয়ম মেনে চলেন যারা তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে বলে একাধিক গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে।

পর্যাপ্ত ঘুম চাই
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে। ঘুম মস্তিষ্কের রাসায়নিক পদার্থ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এই রাসায়নিকগুলো আমাদের মেজাজ ও আবেগ অনেকাংশে পরিচালিত করে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ ঠিকমতো কাজ করতে পারে না।

ব্যায়াম করুন
নিয়মিত ব্যায়াম করতে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। শরীর সক্রিয় রাখলে মস্তিষ্কের রাসায়নিক পদার্থ বেড়ে যায়। ফলে মেজাজ ভালো ও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

যন্ত্রের ব্যবহার সীমিত করুন
যন্ত্রের ব্যবহার সীমিত করতে না পারলেও মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। প্রযুক্তি আমাদের একাকীত্ব কিংবা হতাশার দিকে ঠেলে দিতে পারে। যতটুকু সম্ভব যন্ত্রের ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে।

নিজেকে অ্যাক্টিভ রাখুন
যথাসম্ভব নিজেকে অ্যাক্টিভ রাখার চেষ্টা করুন। মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকলে স্মৃতিশক্তি উন্নত হওয়ার পাশাপাশি নতুন কিছু শেখার প্রবণতা বাড়বে।

অ্যালকোহল ও মাদক পরিহার করুন
ধূমপান, মাদক কিংবা অ্যালকোহলের কারণে শরীর ও মনে বিরূপ প্রভাব পড়ে। দীর্ঘ সময় অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে থায়ামিনের ঘাটতি হতে পারে। ফলে স্মৃতি বিভ্রাট, মনোযোগের অভাব, বিভ্রান্তিসহ চোখের সমস্যা হতে পারে। 

Place your advertisement here
Place your advertisement here