• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

বর্ষায় রোগবালাই থেকে কীভাবে মুক্ত থাকবেন

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১ জুলাই ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

বর্ষা এলে ক্ষতিকারক সব ব্যাকটেরিয়া সক্রিয় হয়ে উঠে। খাদ্য ও পানি দূষণের ফলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিভিন্ন রোগে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। ডায়রিয়া, কলেরা, পেট খারাপ, বদহজম, ঠাণ্ডাজনিত সর্দি-কাশি তো লেগেই থাকে। সেই সঙ্গে আছে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত বিভিন্ন রোগ। বর্ষায় নিজেকে সুস্থ রাখাটা একটা বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়। তাই বর্ষায় সুস্থ থাকতে কিছু বিষয় মেনে চলুন।

একে তো করোনা সংক্রমণের ভয় তার ওপর বর্ষায় অতিরিক্ত রোগবালাইয়ে আক্রান্ত হওয়ার আশাঙ্কা। তাই ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাটা জরুরি। খাবার আগে ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, বাইরে থেকে বাড়িতে প্রবেশ করার পর হাত, মুখ, পা পরিষ্কার রাখা, বিশুদ্ধ পানি পান করা, বাড়ির তৈরি খাবার খাওয়া—এসব মেনে চলুন। অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল যুক্ত সাবান দিয়ে হাত ধুলে ডায়ারিয়া রোগের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

বাড়ির আশেপাশে বৃষ্টির পানি জমতে দেবেন না। বাগান থেকে শুরু করে উঠান এমনকি বাড়ির ভেতরেও পরিষ্কার রাখবেন। জীবাণুমুক্ত রাখার জন্য বাড়ির চারদিকে ইনসেক্ট কিলার স্প্রে ছড়িয়ে দিতে পারেন। এতে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গুর হাত থেকে রক্ষা পাবেন।

নিজেকে সুস্থ ও ফিট রাখতে প্রতিদিন ব্যায়াম করুন। বৃষ্টির কারণে যদি বাইরে বের হতে না পারেন তবে বাড়িতেই স্কোয়াট, পুশ-আপ ও বিভিন্ন ধরনের ফ্রি-হ্যাণ্ড এক্সারসাইজ এবং যোগব্যায়াম করতে পারেন। এগুলো শরীরের রক্ত সঞ্চালনকে স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।

বর্ষাকালে রাস্তার খাবার—কাটা ফল ও ফুটপাতে বিক্রি হওয়া ভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। খোলা খাবারগুলোতে খাদ্যজনিত ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা ডায়ারিয়া, কলেরা এবং টাইফয়েডের মতো রোগ সৃষ্টি করে। অন্যদিকে নিজেকে ফিট রাখতে বেশি পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করুন। কারণ পানি শরীরে থাকা ক্ষতিকারক উপাদানগুলো বের করে দিতে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়ায়।

সর্দি, জ্বর এড়াতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে বর্ষাকালে। কারণ ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে জ্বর, সর্দি-কাশি ও বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি হার্বাল চা পান করুন। আদা, গোলমরিচ, মধু, পুদিনা, তুলসীযুক্ত চা খেতে পারেন। এই সমস্ত উপাদানে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

বৃষ্টির দিনগুলোতে সবসময় পরিষ্কার ও শুকনো পোশাক পরবেন। ভেজা বা স্যাঁতস্যাঁতে কাপড় পরা থেকে বিরত থাকুন। আলমারিতে থাকলেও বর্ষায় জামাকাপড়ে স্যাঁতসেঁতে ভাব হতে পারে। অনেক দিন ব্যবহার হয়নি এমন জামাকাপড় বর্ষায় পরার আগে একবার ইস্ত্রি করে নিবেন। কাপড়ের পাশপাশি ভেজা জুতা বেশিক্ষণ পরে থাকবেন না। বৃষ্টিতে ভিজে গেলে সঙ্গে সঙ্গে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে প্রবেশ করবেন না। ভেজা পোশাক পরিবর্তন করে শরীর ভালো করে মুছে নিয়ে তারপর প্রবেশ করুন।

তৈলাক্ত ও ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন। গরম স্যুপ, ভেষজ চা পানের পাশপাশি অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে উন্নত রাখতে প্রতিদিন টক দই খেতে পারেন। বর্ষাকালে কেনা সবজি পরিষ্কার পানিতে ভালো করে ধুয়ে নেবেন। কাটার পর আবার ধুবেন। গোসলের পানিতে জীবাণুনাশক যুক্ত করুন এবং প্রয়োজনে গরম পানিতে গোসল করবেন। নিয়মিত ৭-৮ ঘন্টা ঘুমান এবং ঘুমানোর সময় মশারি খাটিয়ে ঘুমাবেন। 

Place your advertisement here
Place your advertisement here