• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

রমজানে কখন ব্যায়াম করবেন

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

রমজান মাসে ব্যায়াম করা যাবে কি না এই ব্যাপারে অনেকের ভুল ধারণা আছে। অনেকেই মনে করেন সেহরির পর থেকে সারাদিন না খেয়ে থাকা হয় বলে আলাদা করে শারীরিক ব্যায়াম করার প্রয়োজন নেই।  অথচ চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, রোজার সময়ে যদি ব্যায়াম বা ইয়োগা করা হয়, তাহলে সুস্থ থাকার পাশাপাশি আপনার এনার্জি লেভেলও বাড়বে, মানসিকভাবে ভালো থাকবেন এবং মেটাবলিজম স্বাভাবিক থাকবে। 

খালি পেটে ব্যায়াম করলে ব্লাড সুগার কন্ট্রোলে থাকে এবং উচ্চ রক্তচাপ কমে, যা কিনা মাথা ঘোরানো বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া রোধ করতে সাহায্য করে। এ সময় যে ওয়ার্কআউটগুলো করা হবে, সেগুলো নিয়ে আগে অবশ্যই পরিকল্পনা করে নিতে হবে। সারা বছর যদি ভারী ব্যায়াম করে থাকেন, তাহলে এ সময় সেটার পরিমাণ কিছুটা কমিয়ে দিতে হবে। এ সময় ইয়োগা করলেও শরীর বেশ আরাম পাবে। 

রমজানে কী ধরনের ব্যায়াম করবেন সেটা নির্ভর করবে শরীরের চাহিদা এবং রোজা রেখে আপনার কেমন লাগছে তার ওপর। এ সময় নিয়মিত হাঁটাহাঁটি, হালকা জগিং, ইয়োগা বা ওয়েট লিফটিং করা যায়। অনেকেই রেগুলার কার্ডিও করেন। ৩০ মিনিটের কার্ডিও আপনি করতে পারেন। তবে মনে রাখতে হবে, এ সময় আপনার শরীর ডিহাইড্রেটেড থাকবে। তাই শরীরে যে ফ্যাট জমা আছে, সেখান থেকেই শরীর এনার্জি গ্রহণ করবে। কার্ডিও শুরুর আগে তাই বডি ওয়ার্মআপ করে নিতে এবং শেষে বিশ্রাম নিতে চেষ্টা করুন। 

কোন সময়ে ব্যায়াম করলে ভালো হয় তাহলে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

সেহরির আগে
সাধারণত ফজর নামাজের পড়ে সবাই হাঁটতে বের হন বা ব্যায়াম করে থাকেন। রমজানে এই সময়টা শুরু হবে একটু আগে। যেমন– আপনি যখন সেহরি খাবেন, তার কিছুটা আগে উঠবেন। খাওয়ার আগে হালকা ব্যায়াম করে নেবেন। কারণ, ইফতার খাওয়ার পর আপনি যা খাবেন, তা থেকেই এনার্জি তৈরি হবে, যা শরীরে সঞ্চিত থাকবে। তবে খাওয়ার আগে ব্যায়াম করার কারণে দ্রুত খাবার হজম হয়ে দিনের শুরুর দিকেই ক্ষুধা লাগতে পারে। এজন্য আপনি আগে থেকেই খাদ্য তালিকায় ফাইবার জাতীয় খাবার রাখতে চেষ্টা করুন।

দুপুরে
দিনের মাঝামাঝি সময়ে ব্যায়াম করলে বাকি সময়টুকুও বেশ ভালো কাটে। তা ছাড়া বেশ এনার্জিও পাওয়া যায়। পানি পান করা যায় না বলে প্রথম তিন-চার দিন অ্যাডজাস্ট হতে একটু সময় লাগতে পারে। ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে। 

ইফতারের আগে 
এই সময়েও ব্যায়াম করা যায়। কারণ, ব্যায়াম শেষ করার অল্প সময়ের মধ্যেই খাবার ও পানি খাওয়া যায়। যদিও এ সময়ে সারাদিনের সঞ্চিত শক্তি অনেকটাই কমে আসে। যদি দুর্বল লাগে, তাহলে শরীরে বাড়তি চাপ নিয়ে ব্যায়াম করার প্রয়োজন নেই। 

ইফতারের পর
সবচেয়ে ভালো হয় যদি ইফতার করে ব্যায়াম করতে পারেন। পানি ও খাবার খাওয়া হয় বলে এ সময় এনার্জি লেভেল বেশি থাকে। তা ছাড়া ওয়ার্কআউট করার সময়ও পানি পান করতে পারবেন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here