• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

শাহ আবদুল করিমের গান থেকে ১০ হাজার ডলার রয়্যালিটি পেল পরিবার

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

প্রায় দেড় হাজার গানের স্রষ্টা প্রয়াত লোকসাধক শাহ আবদুল করিমের গানের রয়্যালিটি হিসেবে পরিবার পেয়েছে ১০ হাজার ডলার। ২০২১ সালের ডিসেম্বর এ বাউল সাধকের ৪৭২টি গান সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয় কপিরাইট অফিস; সেই গানগুলো থেকে গত এক বছরে এ সম্মানী পেল তার পরিবার। ব্যাংকে ডলারের বর্তমান বিনিময় হার ধরলে বাংলাদেশের মুদ্রায় তা দাঁড়ায় ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা।   

এছাড়া মরমী সাধক হাছন রাজা ও রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার গান সংরক্ষণের উদ্যোগও নিয়েছে কপিরাইট অফিস। তিন এ কীর্তিমানের গান সংরক্ষণের জন্য তৈরি করা হয়েছে ওয়েবসাইট। এ প্রক্রিয়ায় এখন থেকে শিল্পী ও তাদের উত্তরাধিকাররা নিয়মিত রয়্যালটি পাবেন।

গতকাল শনিবার ওয়েবসাইট উদ্বোধন উপলক্ষে ঢাকার আগারগাঁওয়ে কপিরাইট অফিসের সেমিনার কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শাহ আবদুল করিমের ছেলে শাহ নূর জালালের হাতে রয়্যালটির চেক হস্তান্তর করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

প্রতীকী চেক পাওয়ার পর অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে নূর জালাল বলেন, “বাবা জানতেন না, যে তার গান থেকে কখনও টাকা পাওয়া যাবে। কপিরাইট অফিসের এই উদ্যোগটি বাবা দেখে যেতে পারলে অনেক খুশি হতেন।” “বাবা অর্থ কষ্টে দিন যাপন করেছেন। বাবার চোখের সামনে আমার মা চিকিৎসার অভাবে মারা যান,”বলেন তিনি।

বাবা ছেলেকে আশ্বস্ত করেছিলেন উল্লেখ করে নূর জালাল বলেন, “আমার জন্য বাবা দোয়া করে গেছেন। বাবা বলতেন, ‘তুমি আমার কবরের পাশে বসে থাকলেও ভাতের কষ্ট থাকবে না’।” তার বাবার গানগুলো সঠিক সুরে ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাবেন বলে জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, “কপিরাইট অফিসের এই উদ্যোগের ফলে শিল্পীরা আর্থিকভাবে আরও ভালো থাকবেন। কপিরাইট আইনও সংশোধন করে যুগপযোগী করা হচ্ছে। ফলে শিল্পীদের অধিকার আরও সুরক্ষিত হবে৷ তাছাড়া আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিল্পীদের সহায়তার জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় একটি ট্রাস্ট গঠন করেছে।"


শাহ আবদুল করিমের গানের রয়্যালিটি কত জমা হল?
এতে অংশ নিয়ে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে এখনও নিজেকে তৈরি করতে পারেননি তিনি। এজন্য নিজেকে ‘ব্যাকডেটেড’ ভাবেন।

“আমাদের সময় রেডিও, টেলিভিশন কিংবা গান রেকর্ড করাটা এত সহজ ছিল না। অনেক বাছাইয়ের ব্যাপার ছিল। এখন খুব সহজেই গান রেকর্ড করে ফেলা যায়। প্রযুক্তির কারণে এখন গান সংরক্ষণ অনেক সহজ হয়েছে। কপিরাইট অফিসকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই, এমন সুন্দর একটি কাজ করার জন্য।”

হাছন রাজার প্রৌপুত্র সামারীন দেওয়ান বলেন, ১০০ বছর আগে ১৯২২ সালে হাছন রাজা মারা যান। তেমন কোনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিও পাননি। এই ওয়েবসাইটের মধ্য দিয়ে সরকার থেকে প্রথম একটি স্বীকৃতি দেওয়া হল।

হাছন রাজাকে বাউল শিল্পী হিসেবে সম্বোধন করার সমালোচনা করে তিনি বলেন, "অনেকেই হাছন রাজাকে বাউল শিল্পী সম্বোধন করেন। কিন্তু তিনি কখনোই বাউল ছিলেন না। তিনি গানে বাউলা বলতেন, ‘বাউলা মন’ আর বাউল এক নয়। অনেক পার্থক্য আছে।”

তার নামের বানানও অনেকে ভুল লেখেন দাবি করে তিনি বলেন, “অনেকেই হাছন রাজাকে ‘হাসন রাজা’ লেখেন। গানেও অনেকে ‘হাসন রাজা’ বলেন। এটা ঠিক নয়। নামটি হবে ‘হাছন রাজা’।"

কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার দাউদ মিয়ার সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠান হয়। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ডেপুটি রেজিস্ট্রার প্রিয়াংকা দেবী পাল, খুরশীদ আলম, মনির খান, সুজিত মুস্তাফা, জুয়েল মোর্শেদ ও কবি মারুফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here