• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

বলিউডে নারীকেন্দ্রিক সেরা সিনেমা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৯ মার্চ ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

সাধারণত সিনেমার গল্প নায়ক কেন্দ্রিক হয়ে থাকে। তবে এই ধারায় অনেক পরিবর্তন হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এখন নারীকেন্দ্রিক সিনেমা নির্মিত হচ্ছে। পঞ্চাশ থেকে আশির দশক পর্যন্ত নির্মিত সিনেমাগুলোর মধ্যে নারীকেন্দ্রিক সেরা পাঁচ বলিউড সিনেমা নিয়ে এই প্রতিবেদন।

মাদার ইন্ডিয়া: পরিচালক মেহবুব খান ১৯৫৭ সালে নির্মাণ করেন ‘মাদার ইন্ডিয়া’। নারীকেন্দ্রিক সর্বকালের সেরা সিনেমার কথা ভাবলেই এ সিনেমার প্রসঙ্গ সামনে চলে আসে। স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতকে সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে; যাতে নারীর অভ্যন্তরীন শক্তিকে তুলে ধরা হয়েছে। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন নার্গিস। তা ছাড়াও অভিনয় করেন সুনীল দত্ত, রাজেন্দ্র কুমার প্রমুখ। ৬ মিলিয়ন রুপি ব্যয়ে নির্মিত সিনেমাটি আয় করেছিল ৮০ মিলিয়ন রুপি।

আন্ধি: ১৯৭৫ সালে গুলজার নির্মাণ করেন ‘আন্ধি’ সিনেমা। মুক্তির পর অভিযোগ উঠে, ভারতের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির জীবন নিয়ে নির্মিত হয়েছে এটি। যেখানে তার স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টিও রয়েছে। তবে বাস্তবে রাজনীতিবিদ তারকেশ্বরী সিনহা ও ইন্দিরা গান্ধির জীবন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাণ করা হয় সিনেমাটি। এতে আরতি বোস চরিত্রে অভিনয় করেন সুচিত্রা সেন। কিন্তু তৎতকালীন সরকার সিনেমাটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। পরে এটি টিভিতে প্রিমিয়ার হয়। ২৩ তম ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডে কয়েকটি বিভাগে পুরস্কার জিতে নেয় এই সিনেমা।

ভূমিকা: সিনেমাটিতে একজন অভিনেত্রীর জীবনকে আবিস্কার করে, যে শিশুশিল্পী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করে সফলতা লাভ করে। তার নাম হাঁসা ওয়াদকর। মারাঠি ও হিন্দি সিনেমার এ অভিনেত্রীর জীবনী নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘ভূমিকা: দ্য রোল’। এটি নির্মাণ করেন শ্যাম বেনেগাল। এর প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন স্মিতা পাতিল। সম্ভবত এটি প্রথম হিন্দি সিনেমা, যা নিউ ইন্ডিয়ান সিনেমা মুভমেন্টের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৯৭৭ সালে সিনেমাটি মুক্তির পর এটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে গিয়েছিল।

আর্থ: ১৯৮২ সালে পরিচালক মহেশ ভাট নির্মাণ করেন ‘আর্থ’ সিনেমা। এতে পূজা চরিত্রে অভিনয় করেন শাবানা আজমি। অনাথ আশ্রমে বেড়ে উঠেন পূজা। কিন্তু সবসময়ই স্বপ্ন দেখেন একটি বাড়ির মালিক হওয়ার। বিয়ের পর স্বামীকে নিয়ে একটি ভাড়া অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করতে থাকেন। যখন অ্যাপার্টমেন্টটি ছেড়ে দিতে হয়, তখন নিরাপত্তহীনতায় ভুগেন পূজা। গল্প নাটকীয় মোড় নেয়, যখন পূজার স্বামী তাকে জানায়, সে অন্য নারীর প্রেমে পড়েছে। এরপর পূজা তার নিজের পরিচয় খুঁজতে থাকে। মূলত, সিনেমাটিতে ভারতীয় সমাজের নিম্ন বিত্তের পারিবারিক সহিংসতা, নারীর সংগ্রামের গল্প বলা হয়েছে।

মির্চ মসলা: ১৯৮৭ সালে কেতন মেহতা নির্মাণ করেন ‘মির্চ মসলা’। সিনেমাটিতে শক্তিশালী পারফরম্যান্স করেন স্মিতা পাতিল, ওম পুরি, নাসিরউদ্দিন শাহ। প্রতিকূল পরিবেশে একজন নারীর ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস ও মানসিক দৃঢ়তার কথা বলা হয়েছে এই সিনেমার গল্পে। সিনেমাটিতে বেশ কিছু ক্লাইম্যাক্স দৃশ্য রয়েছে; এসব দৃশ্য ভোলার মতো নয়। স্মিতা পাতিলের চরিত্র দর্শকদের মনে গেঁথে থাকবে। সিনেমাটি মুক্তির পর কয়েকটি বিভাগে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে। 

Place your advertisement here
Place your advertisement here